ETV Bharat / city

কোরোনা বা আমফানের সঙ্গে গ্রহণের সম্পর্ক আছে ?

2020 সালে একের পর এক বিপর্যয় ঘটেই চলেছে। এরমধ্যে পরপর তিনটি গ্রহণ হওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেই আতঙ্ক দূর করে বিড়লা তারামণ্ডলের অধিকর্তা ও পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক জানালেন, পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সঙ্গে কোরোনা ভাইরাস বা আমফানের কোনও সম্পর্ক নেই।

Solar eclipse
Solar eclipse
author img

By

Published : Jun 21, 2020, 1:00 AM IST

Updated : Jun 25, 2020, 1:52 PM IST

কলকাতা, 20 জুন : বছরে এক -দুবার সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। অথচ এই বছর একমাসেই তিনটি গ্রহণ হচ্ছে । তবে কি কোরোনা ভাইরাস বা ঘূর্ণিঝড় আমফানের মতো বিপর্যয়ের সঙ্গে গ্রহণের কোনও সম্পর্ক রয়েছে? এই প্রশ্ন এখন অনেকের মনে। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গ্রহণের সঙ্গে চলতি বছরে ঘটা বিপর্যয়ের কোনও সম্পর্ক নেই ।

পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময় চাঁদ যখন অমাবস্যায় পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে একই সরলরেখায় এসে পড়ে, তখন চাঁদের আড়ালে চলে যাওয়ায় সূর্যকিরণ দেখা যায় না । একে সূর্যগ্রহণ বলা হয় । একইভাবে পূর্ণিমাতে প্রদক্ষিণ করার সময় সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে একই সরল রেখায় পৃথিবী এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ায় কিছুক্ষণের জন্য চাঁদ ঢাকা পড়ে যায়, তাকে বলা হয় চন্দ্রগ্রহণ। এই সূর্যগ্রহণ তিন ধরণের হয়, খণ্ড গ্রহণ, গ্রহণ ও পূর্ণ গ্রহণ। চাঁদ সম্পূর্ণভাবে সূর্যকে ঢেকে দিলে কেবল একটি আলোর সরু রেখা বা গোলা দেখা যায়। এই আলোর গোলাকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ বা রিং অফ ফায়ার বলা হয়।

বিড়লা তারামণ্ডলের অধিকর্তা দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলেন, "মাত্র কয়েকটি দেশের উপর দিয়ে এই বলয় গ্রাস সূর্য গ্রহণের পথ অতিক্রান্ত হবে । গ্রহণ শুরু হবে আফ্রিকার মধ্য অঞ্চলের কংগো থেকে, তারপরে ইথিওপিয়া, দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের ছোট্ট একটি অঞ্চলের উপর দিয়ে গিয়ে ওমান, ইয়েমেন, সৌদি আরব, পাকিস্তান হয়ে কিছুটা অংশ ভারতে প্রবেশ করে তা আবার তিব্বত, চিন ও তাইওয়ানে প্রবেশ করবে । অবশেষে প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝামাঝি গিয়ে শেষ হবে এই গ্রহণ । তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সূর্যের খণ্ড গ্রহণ দেখা যাবে।"

তিনি আরও বলেন, "কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের সময় অনুযায়ী এই গ্রহণ শুরু হবে সকাল 10:40 মিনিটে । গ্রহণের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি হবে দুপুর 12.35 মিনিটে । দুপুর 3টে নাগাদ ছেড়ে যাবে গ্রহণ । ভারতে পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, দেরাদুন, কুরুক্ষেত্র, সুরাতনগর এবং রাজস্থানের ঘরশানা থেকে। এর আগে 2019 সালে শেষবার দেখা গিয়েছিল সূর্যগ্রহণ। 2034 সালে ফের পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে । তখন কাশ্মীরের একটি খুব ছোটো অংশ থেকে দেখা যাবে সেই গ্রহণ ।"

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ মহাপাত্র বলেন, "গত ডিসেম্বর মাস থেকে এখনও পর্যন্ত আমরা পরপর তিনটি গ্রহণ দেখলাম । যদিও আমাদের কাছে এটি একটি বিরল ঘটনা । তবে প্রাকৃতিকভাবে দেখতে গেলে এটি একেবারেই স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই ঘটছে । এটা শুধুমাত্র একটা সমাপতন । এই বছরে কোরোনা বা আমফানের মতো বিপর্যয়ের সাক্ষী হয়ে রইলাম বলে এই তিনটি গ্রহণও অবিশ্বাস্য কোনও ঘটনা, তেমনটা একেবারেই নয় । তাই কোনওভাবেই কোরোনা ভাইরাসের সঙ্গে এই গ্রহণের কোনও সম্পর্ক নেই ।"

কলকাতা, 20 জুন : বছরে এক -দুবার সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। অথচ এই বছর একমাসেই তিনটি গ্রহণ হচ্ছে । তবে কি কোরোনা ভাইরাস বা ঘূর্ণিঝড় আমফানের মতো বিপর্যয়ের সঙ্গে গ্রহণের কোনও সম্পর্ক রয়েছে? এই প্রশ্ন এখন অনেকের মনে। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গ্রহণের সঙ্গে চলতি বছরে ঘটা বিপর্যয়ের কোনও সম্পর্ক নেই ।

পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময় চাঁদ যখন অমাবস্যায় পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে একই সরলরেখায় এসে পড়ে, তখন চাঁদের আড়ালে চলে যাওয়ায় সূর্যকিরণ দেখা যায় না । একে সূর্যগ্রহণ বলা হয় । একইভাবে পূর্ণিমাতে প্রদক্ষিণ করার সময় সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে একই সরল রেখায় পৃথিবী এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ায় কিছুক্ষণের জন্য চাঁদ ঢাকা পড়ে যায়, তাকে বলা হয় চন্দ্রগ্রহণ। এই সূর্যগ্রহণ তিন ধরণের হয়, খণ্ড গ্রহণ, গ্রহণ ও পূর্ণ গ্রহণ। চাঁদ সম্পূর্ণভাবে সূর্যকে ঢেকে দিলে কেবল একটি আলোর সরু রেখা বা গোলা দেখা যায়। এই আলোর গোলাকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ বা রিং অফ ফায়ার বলা হয়।

বিড়লা তারামণ্ডলের অধিকর্তা দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলেন, "মাত্র কয়েকটি দেশের উপর দিয়ে এই বলয় গ্রাস সূর্য গ্রহণের পথ অতিক্রান্ত হবে । গ্রহণ শুরু হবে আফ্রিকার মধ্য অঞ্চলের কংগো থেকে, তারপরে ইথিওপিয়া, দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের ছোট্ট একটি অঞ্চলের উপর দিয়ে গিয়ে ওমান, ইয়েমেন, সৌদি আরব, পাকিস্তান হয়ে কিছুটা অংশ ভারতে প্রবেশ করে তা আবার তিব্বত, চিন ও তাইওয়ানে প্রবেশ করবে । অবশেষে প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝামাঝি গিয়ে শেষ হবে এই গ্রহণ । তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সূর্যের খণ্ড গ্রহণ দেখা যাবে।"

তিনি আরও বলেন, "কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের সময় অনুযায়ী এই গ্রহণ শুরু হবে সকাল 10:40 মিনিটে । গ্রহণের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি হবে দুপুর 12.35 মিনিটে । দুপুর 3টে নাগাদ ছেড়ে যাবে গ্রহণ । ভারতে পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, দেরাদুন, কুরুক্ষেত্র, সুরাতনগর এবং রাজস্থানের ঘরশানা থেকে। এর আগে 2019 সালে শেষবার দেখা গিয়েছিল সূর্যগ্রহণ। 2034 সালে ফের পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে । তখন কাশ্মীরের একটি খুব ছোটো অংশ থেকে দেখা যাবে সেই গ্রহণ ।"

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ মহাপাত্র বলেন, "গত ডিসেম্বর মাস থেকে এখনও পর্যন্ত আমরা পরপর তিনটি গ্রহণ দেখলাম । যদিও আমাদের কাছে এটি একটি বিরল ঘটনা । তবে প্রাকৃতিকভাবে দেখতে গেলে এটি একেবারেই স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই ঘটছে । এটা শুধুমাত্র একটা সমাপতন । এই বছরে কোরোনা বা আমফানের মতো বিপর্যয়ের সাক্ষী হয়ে রইলাম বলে এই তিনটি গ্রহণও অবিশ্বাস্য কোনও ঘটনা, তেমনটা একেবারেই নয় । তাই কোনওভাবেই কোরোনা ভাইরাসের সঙ্গে এই গ্রহণের কোনও সম্পর্ক নেই ।"

Last Updated : Jun 25, 2020, 1:52 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.