কলকাতা, 17 মে: লকডাউনের মধ্যেও মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রধান পরীক্ষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে মাধ্যমিকের নম্বর তথা মার্কস-ফয়েল। কাজ চললেও কোরোনার ভ্রুকুটি রয়েছেই। তাই কোরোনা ভাইরাসকে রুখতে এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ভবনের গেটের বাইরে বসানো হল স্যানিটাইজিং টানেল। রবিবার থেকেই এই টানেল সক্রিয় হল।
কোরোনা আবহে লকডাউনের মধ্যেই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের লক্ষ্যে বর্তমানে 25 শতাংশ কর্মচারী নিয়ে কাজ চলছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। বিভিন্ন জেলার প্রধান পরীক্ষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে মাধ্যমিকের নম্বর তথা মার্কস-ফয়েল। সব মিলিয়ে প্রতিদিনই বাইরে থেকে জিনিসপত্র আসছে, মানুষ আসছেন। সে কথা মাথায় রেখেই পর্ষদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ স্যানিটাইজিং টানেল বসানো হল পর্ষদ ভবনের গেটের বাইরে। শুধু কর্মী ও বাইরে থেকে আসা লোকজনকে জীবাণুমুক্ত করাই নয়। মাধ্যমিকের নম্বর সংগ্রহের নথিও জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে বলে জানান পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। গত সপ্তাহ থেকেই মাধ্যমিকের বিভিন্ন বিষয়ের নম্বরের তালিকা তথা মার্কস-ফয়েল প্রধান পরীক্ষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পর্ষদ। প্রথমে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে কলকাতার মতো রেড জোন জেলাগুলি থেকেও নম্বর সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া চালু করেছে পর্ষদ। সংগৃহীত সেই মার্কস-ফয়েলও স্যানিটাইজ করা হচ্ছে বলে জানান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।
রবিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি বলেন, এখন থেকে পর্ষদের অফিসে ঢুকতে গেলে প্রত্যেককেই স্যানিটাইজিং টানেলের মধ্যে দিয়েই যেতে হবে। তা নিশ্চিত করার জন্য নিরাপত্তারক্ষীরা নজর রাখবেন।
নম্বর সংগ্রহের পর ফলাফল প্রকাশের পরবর্তী পর্যায়ের কাজ দ্রুত সারতে চাইছে পর্ষদ। সেই লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহ থেকে পর্ষদের কর্মচারীর সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানানো হল আজ।