কলকাতা, 19 অগাস্ট : কখনও মেট্রোর দরজায় হাত আটকে মৃত্যু, তো কখনও রেকে আগুনের ফুলকি । বেশ কিছুদিন ধরেই কলকাতা মেট্রোয় নিত্যযাত্রীদের একাধিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । সেইসব সমস্যা নথিভুক্ত হয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে । তাই মেট্রো পরিষেবার হাল হকিকত সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আজ সকাল 9টা নাগাদ গিরিশ পার্ক থেকে পার্ক স্ট্রিট স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোয় গেলেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে । কথা বললেন কামরায় উপস্থিত যাত্রীদের সঙ্গে । শুনলেন অভিযোগ । যাত্রীরাও মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন মেট্রো পরিষেবা নিয়ে ।
13 জুলাই মেট্রোর দরজায় হাত আটকে মৃত্যু হয় লিটল ম্যাগাজ়িন বিক্রেতা সজল কাঞ্জিলালের । পার্কস্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে কামরায় ওঠার সময়ে দরজায় হাত আটকে যায় তাঁর । মারা যান তিনি । ঘটনার দশ দিনের মাথায় 23 জুলাই ফের মেট্রোর দরজায় হাত আটকায় এক যাত্রীর । এবার ঘটনাস্থান নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশন । শুধু এই নয়, এর আগে মেট্রোর থার্ড রেলে আগুনের ফুলকি, একাধিকবার মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনায় ব্যাহত হয় পরিষেবা । যার জন্য দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা । অনেকেই অভিযোগ জানান ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে । সেই সব অভিযোগ পেয়েই আজ সাধনবাবু সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মেট্রোয় চাপেন । যাত্রীদের পাশাপাশি কথা বলেন গিরিশপার্ক ও পার্কস্ট্রিট মেট্রোর স্টেশন মাস্টারদের সঙ্গে ।
সকলের সঙ্গে কথা বলার পর সাধনবাবু মেট্রো কর্তৃপক্ষকে কয়েকটি প্রস্তাব দেন । তাঁর প্রস্তাবগুলির মধ্যে রয়েছে "সব AC রেক চালানো, মেট্রোয় সুইসাইড এড়াতে দু'টি ট্রেনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমানো ইত্যাদি ।"