কলকাতা, ২৭ মার্চ: একেবারে সামনের সারিতে থেকে কোরোনা মোকাবিলায় লড়াই চালাচ্ছেন । এমন অনেককে নিয়েই ছড়াচ্ছে গুজব। তার জেরে কোথাও কোথাও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাংবাদিকদের। তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । আর এবার বেলেঘাটা ID হাসপাতালে এক চিকিৎসককে নিয়ে তৈরি হওয়া গুজবের জেরে তদন্তে নামল কলকাতা পুলিশ।
দিন কয়েক আগের কথা। তখনও লকডাউন ঘোষণা হয়নি। কিন্তু আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাজ্যের এক পদস্থ আধিকারিকের ছেলে কোরোনায় আক্রান্ত হয়। এরপর থেকেই বসিরহাটে ছড়াতে শুরু করে গুজব। সেখানকার এক চিকিৎসক কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে রটে যায় । তিনি চিন থেকে ফিরে এসেছেন। তাঁকে বাড়িতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় খবর দেওয়া হয়। তারপরই সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ওই চিকিৎসক। সেখানে তিনি জানান, এক বছরেরও বেশি দিন আগে তিনি চিন থেকে ফিরেছেন । তারপর থেকে দিল্লিতেই ছিলেন। এখনও সেখানেই রয়েছেন। বহুদিন আগে একবার বসিরহাটে এসেছিলেন। তাঁকে নিয়ে ছড়ানো গুজবের জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের ।
শহরের একাধিক হাসপাতালে যেসব স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন তাঁদের কয়েকজনকে নিয়েও গুজব ছড়াচ্ছে । তবে গতকাল সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায়।বেলেঘাটা ID হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাকি কোরোনা আক্রান্ত। দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে গুজব। শেষে গতকালই স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়, এখানকার কোনও চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্যকর্মী কোরোনায় আক্রান্ত হননি ।
এর আগে কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, গুজব কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার অনুরোধ করছেন গুজব না ছাড়াতে। কিন্তু তারপরও গুজব ছড়াচ্ছে। ওই চিকিৎসকের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায়। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে শুরু হয়েছে তদন্ত। কে এই গুজব ছড়ালেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।