কলকাতা, 25 জুলাই: বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর নির্দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় সংশোধন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । কিন্ত তাতে কোনও সাড়াই দিলেন না বিচারপতি । "কোনও অংশ সংশোধন করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না", সাফ জানিয়ে দিলেন বিচারপতি । প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, রবিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত মামলায় এমন কিছু পর্যবেক্ষণ বিচারপতি করেছেন, যা নিম্ন আদালতের বিচারক দেখলে তাঁর পক্ষে মন্ত্রীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা কঠিন হয়ে পড়বে (Revision Application of Partha Chatterjee dismissed) ।
বিচারপতি রবিবার নির্দেশ দিতে গিয়ে লেখেন, সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার প্রয়োজন পড়লে সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন । এই ধরনের অভিযুক্ত, যাদের নামে এফআইআর রয়েছে, টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তাঁরা যদি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে হাজার হাজার যোগ্য চাকরি প্রাপকের প্রতি সুবিচার করা হবে না ।
নির্দেশের এই অংশ সংশোধন করার আবেদন জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী দেবাশিস রায় । তিনি বলেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে কোথাও এফআইআরে নেই । তিনি সরাসরি টাকা নিয়েছেন, এই অভিযোগ এখনও প্রমাণিত নয় । তাই এই অংশ বাদ দেওয়া প্রয়োজন ।" তাঁর বক্তব্য শুনে বিচারপতি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, "একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করা । কিন্তু তার ব্যাখ্যা বা সংশোধন করতে হবে কেন ?" পাশাপাশি তল্লাশি অভিযানের সময় অভিযুক্তর আইনজীবীকে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি বলে যেই অভিযোগ ওঠে ৷ সেটাও খারিজ করে দেন বিচারপতি ।
আরও পড়ুন : মিথ্যা অসুস্থতা দেখিয়েছেন পার্থ, তাঁকে ফের হেফাজতে চাইল ইডি
কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এমভিরাজু বলেন, "নির্দেশের এই অংশ বাদ দেওয়া হলে, এই নির্দেশের আর কোনও অর্থই থাকবে না ।"