কলকাতা, 2 জুলাই: রাজ্য সরকারকে অন্তরালে রেখে মৌলালি যুব কেন্দ্রে রেশন ডিলারদের ‘গোপন বৈঠক’ (Ration Dealers Association Meeting) ৷ রাজ্যে দুয়ারে রেশন বন্ধ করতেই এই বৈঠক ডিলারদের ৷ কমিশন বৃদ্ধি-সহ একাধিক ইস্যুতে সরকারের কাছে দরবার করেও কোনও ফল হয়নি ৷ তাই দুয়ারে রেশন বন্ধ করতে এই সিদ্ধান্ত রেশন ডিলারদের ৷ এই বৈঠকেই বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে বৈঠক হয়। তাঁদের সঙ্গে ডিলারদের আরও কয়েকটি সংগঠন উপস্থিত ছিল বলে সূত্রের খবর ।
রেশন ডিলারদের দাবি, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই রেশন ডিলারদের ব্যবহার করেছে রাজ্য সরকার ৷ তাই রাজ্য সরকারকেও রাজনৈতিকভাবে ফাঁদে ফেলতেই তাদের এই আক্রমণ ৷ এই বৈঠকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বেশ কিছু রেশন ডিলার জানান, করোনার সময়ে যখন সকলেই ঘর বন্দি তখন একমাত্র রেশন ডিলাররাই গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছে গিয়ে রেশন বন্টন করেছিল । সেই সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক ডিলারের ৷ কিন্তু, কোনও প্রকার সরকারি সাহায্য মেলেনি । এদিকে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হলে সরকারি সাহায্য মেলে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রেশন ডিলাররা ৷ নিজেদের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে চান তাঁরা।
আরও পড়ুন: দু'মাসের বকেয়া রেশন না-দেওয়ায় ডিলারকে ওয়াটার এটিএমে আটকে রাখল জনতা
আগামী অগস্ট মাস থেকে রাজ্য জুড়ে দুয়ারে রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেশন ডিলাররা । তবে 30 জুনের গোপন বৈঠক নিয়ে কিছু বলতে না-চাইলেও বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ এবং ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নিমাই দাস ইটিভি ভারত-কে বলেন, "আগে কুইন্টাল প্রতি 75 টাকা কমিশন ছিল রেশন ডিলারদের । এখনও তাই আছে । দুয়ারে রেশনের জন্য লোক নিয়োগ হলেও তাদের পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছ ৷ কারণ এই নতুন নিয়োগকারীদের পারিশ্রমিক মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দেবেন বললেও তা হচ্ছে না । উপরন্তু, এই দুয়ারে রেশনের কারণে প্রতিমাসে বাড়তি 20 হাজার টাকা খরচ হচ্ছে । সেই খরচ আর কতদিন চালানো যায় ? মুখ্যমন্ত্রীকে বহুবার বলা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রীকেও জানিয়েছি আমরা। কোনও উত্তর মেলেনি। তাই, কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।"