কলকাতা, 15 জুন : করোনা আবহে রাজ্যজুড়ে কার্যকর করা হয়েছে নানা বিধিনিষেধ ৷ আপাতত তার মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও আগামী 1 জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে গণপরিবহণ ৷ এর ফলে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে বেসরকারি বাস মালিকদের মধ্যে ৷
বেসরকারি বাস মালিকদের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই জ্বালানির দাম লাগাতার বেড়েছে ৷ তাতে নাভিশ্বাস উঠেছে মালিক ও কর্মচারী, দু’পক্ষেরই ৷ এই অবস্থায় লাগাতার গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় রোজগারের পথও বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ এর ফলে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন বেসরকারি বাস পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ৷
আরও পড়ুন : ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে নতুন কমিটির উপর আস্থা নেই বাস মালিকদের একাংশের
অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অফিস, দোকান-পাট, শপিং মল ও অন্যান্য ক্ষেত্র খোলা রাখা হলেও আগামী 1 জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে গণপরিবহণ ৷ আসলে গণপরিবহণ খোলার কথা ঘোষণা করলেই তো সরকারকে অনেক দায় নিতে হবে। সমস্যা আরও জটিল হবে। আমাদের এখন যা অবস্থা হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বাস রাস্তায় নামাতে পারব না ৷ তাই সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে বাস না পেলেই নানা প্রশ্ন উঠবে ৷’’ রাহুলের অভিযোগ, সমস্য়া মোকাবিলায় সরকারের কোনও সুষ্পষ্ট নীতি নেই ৷ সেই কারণেই বেসরকারি গণপরিবহণকে উপেক্ষা করা হচ্ছে ৷
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গতবারের লকডাউনের পর থেকেই তেমনভাবে আর যাত্রী সংখ্যা বাড়েনি ৷ গত সেপ্টেম্বর মাসে পরিস্থিতি কিছুটা ঠিক হয়েছিল। এবার আবার টানা দেড় মাস পরিবহণ বন্ধ ৷ তার মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে তেলের দাম ৷ গণপরিবহণ, যা শহরের লাইফলাইন, তা এখন একেবারেই কোমা স্টেজে চলে গিয়েছে ৷ গতবারের লকডাউনের পর থেকেই আমরা রাজ্য সরকারের কাছে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে চলেছি ৷ কিন্তু সরকার আমাদের প্রতি উদাসীন ৷’’
আরও পড়ুন : আর্থিক সংকটে বাস মালিকরা, চিঠি পরিবহণ মন্ত্রীকে
ওয়েস্টবেঙ্গল বাস অ্য়ান্ড মিনি বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘অতিমারি পরিস্থিতিতে সরকার যদি মনে করে থাকে গণপরিবহণ বন্ধ রাখলেই সংক্রমণ কিছুটা আটকানো যাবে, তাহলে তাতে ক্ষতি নেই ৷ তবে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো যদি 25 শতাংশ বাস চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হত, তাহলে কিছু দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের উপকার হত ৷’’