ETV Bharat / city

বিদ‍্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে একের পর এক মিছিল কলকাতার রাজপথে

বিদ্যাসাগর কলেজে হামলা ও বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে কলকাতার রাস্তায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকরা । সঙ্গে প্রতিবাদ মিছিল বুদ্ধিজীবীদের।

rally
author img

By

Published : May 15, 2019, 11:37 PM IST

Updated : May 16, 2019, 2:33 AM IST

কলকাতা, 15 মে: গতকাল বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে আজ কলকাতার রাস্তায় একাধিক মিছিল হল । সকাল 11টায় বামেদের মিছিল হয়। বিকেলে WBCUPA মিছিল করে। যৌথভাবে প্রতিবাদ মিছিল করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন AISA, RYA ও CPI(ML)।

এছাড়া কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ও বুদ্ধিজীবীদের মিছিল হয়। কলেজ স্কয়্যারে বিদ‍্যাসাগরের মূর্তি থেকে বিদ‍্যাসাগর কলেজ পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ‍্যাপক সমিতি (WBCUTA)।

WBCUTA-র মিছিলে নেতৃত্ব দেন শিক্ষাবিদ আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, " কালকে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে এক হাতে তালি বাজে না। কারা ছিল সবাই দেখেছে, আমরা টিভিতেও দেখেছি সারাক্ষণ যা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।"

WBCUTA-র সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিরাজ প্রহরাজ বলেন, " এই ঘটনা আমাদের সবার পক্ষেই খুব নিন্দার এবং উদ্বেগের। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙছে মানুষ রাজনীতির দোহাই দিয়ে। এটাই এখন আমাদের রাজ্যের, দেশের জন্য বড় বিপজ্জনক প্রবণতা।"

বিদ্যাসাগর কলেজে আজ আসেন CITU নেতা শ‍্যামল চক্রবর্তী। তিনি এই কলেজের প্রাক্তনী। তিনি বলেন, " আমরা সব বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র ছিলাম। সেই জন্য আমরা যাঁরা বিদ্যাসাগর কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, আমরা মনে করি আমাদের একটা দায়িত্ব, কর্তব্য আছে। সেটা হল এই মূর্তি নতুন করে তৈরি করা।"

কলকাতা, 15 মে: গতকাল বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে আজ কলকাতার রাস্তায় একাধিক মিছিল হল । সকাল 11টায় বামেদের মিছিল হয়। বিকেলে WBCUPA মিছিল করে। যৌথভাবে প্রতিবাদ মিছিল করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন AISA, RYA ও CPI(ML)।

এছাড়া কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ও বুদ্ধিজীবীদের মিছিল হয়। কলেজ স্কয়্যারে বিদ‍্যাসাগরের মূর্তি থেকে বিদ‍্যাসাগর কলেজ পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ‍্যাপক সমিতি (WBCUTA)।

WBCUTA-র মিছিলে নেতৃত্ব দেন শিক্ষাবিদ আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, " কালকে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে এক হাতে তালি বাজে না। কারা ছিল সবাই দেখেছে, আমরা টিভিতেও দেখেছি সারাক্ষণ যা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।"

WBCUTA-র সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিরাজ প্রহরাজ বলেন, " এই ঘটনা আমাদের সবার পক্ষেই খুব নিন্দার এবং উদ্বেগের। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙছে মানুষ রাজনীতির দোহাই দিয়ে। এটাই এখন আমাদের রাজ্যের, দেশের জন্য বড় বিপজ্জনক প্রবণতা।"

বিদ্যাসাগর কলেজে আজ আসেন CITU নেতা শ‍্যামল চক্রবর্তী। তিনি এই কলেজের প্রাক্তনী। তিনি বলেন, " আমরা সব বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র ছিলাম। সেই জন্য আমরা যাঁরা বিদ্যাসাগর কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, আমরা মনে করি আমাদের একটা দায়িত্ব, কর্তব্য আছে। সেটা হল এই মূর্তি নতুন করে তৈরি করা।"

Intro:কলকাতা, 15 মে: গতকাল বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভাঙার প্রতিবাদে আজ কলকাতার রাজপথে একের পর এক মিছিল হল। সকাল 11টায় বামেদের মিছিল থেকে শুরু করে বিকেল সন্ধেবেলায় WBCUPA-র মিছিল। যৌথভাবে প্রতিবাদ মিছিল করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন AISA, RYA ও CPIML। তারপরে পর পর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ও বুদ্ধিজীবীদের মিছিল হয়। কলেজ স্কোয়ারের বিদ‍্যাসাগরের মুর্তি থেকে বিদ‍্যাসাগর কলেজ পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ‍্যাপক সমিতি (WBCUTA)। শিক্ষাবিদ আনন্দদেব মুখোপাধ্যায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, এক হাতে তালি বাজে না।


Body:WBCUTA-র মিছিলে নেতৃত্ব প্রদানকারী শিক্ষাবিদ আনন্দদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, " আমাদের দাবি যারা এই কাজ করেছে তাদের শাস্তি। এই শাস্তি এই প্রশাসকরা দিতে পারবে না। কারণ, তাদের লোকেরাও এর সঙ্গে যুক্ত। কালকের যে ঘটনা ঘটেছে, এক হাতে তালি বাজে না। তারা ছিল সবাই দেখেছে, আমরা টিভিতেও দেখেছি সারাক্ষণ যা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার রাজত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে। এবং দুর্বিতানের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। হাতে লোহার রড আর বন্দুক নিয়ে, আর ওখানে জয় শ্রী রাম বলে এই করা। এই দুর্বিত্তানের রাজনীতি দু'দলেরই বন্ধ করতে হবে। আমাদের এখানে শান্তি চাই। পশ্চিমবাংলার কৃষ্টি পুনরুদ্ধার করতে হবে। তা নাহলে পশ্চিমবাংলার বাঁচার উপায় নেই।"

WBCUTA-র সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিরাজ প্রহরাজ বলেন, " এই ঘটনা আমাদের সবার পক্ষেই খুব নিন্দার এবং খুবই উদ্বেগের। শুধুই নিন্দে জানালে তো কাজ শেষ হবে না। বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভাঙছে যে অংশের মানুষ রাজনীতির দোহাই দিয়ে। এটাই এখন আমাদের রাজ্যের, দেশের জন্য বড় বিপদজনক প্রবণতা। এদের হাতে রাজনৈতিক পতাকা এসেছে যারা বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভাঙতেও দ্বিধা করে না। এদের যদি বিচ্ছিন্ন না করা যায় সমাজ থেকে তাহলে বিপদ বাড়বে। এমনিতেই এই বছর বিদ্যাসাগরের দ্বিশতবর্ষ পালনের সার্বিক উদ্যোগ চলছে। তা না হলে বিদ্যাসাগরের ভূমিকাকে তো আমরা কেউই বাঙালি, বাংলাদেশের বাইরের মানুষ কেউই অস্বীকার করতে পারি না। সেই মুর্তিতে হাত দিচ্ছে রাজনৈতিক পতাকাধারী কিছু মানুষ। যাতে প্ররোচনা যোগাচ্ছে আরেক অংশের মানুষ। দুটোই সমান বিপদজনক বলে আমরা মনে করি। আমরা মাস্টারমশাইরা পথে নামলাম। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছেও বার্তা দেওয়ার আছে, কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ সেটা বুঝতে হবে অন্তত। না হলে ভবিষ্যতে এই বিপদ কে আমরা ঠেকাতে পারব না।"

বিদ্যাসাগর কলেজে আসেন CITU-র নেতা শ‍্যামল চক্রবর্তী। তিনি এই কলেজের প্রাক্তনী। তিনি বলেন, " আমরা সব বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র ছিলাম। আমরা বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি ছিলাম, ইউনিয়নের কর্মকর্তা ছিলাম। এখানে প্রাক্তন ছাত্রদের একটা সংগঠন আছে। আমরা এসেছিলাম একটাই উদ্দেশ্য নিয়ে। যে আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে একটা আবেদন করব। আমরা খুব লজ্জিত, দুঃখিত এবং আমাদের ঘৃণা জানানোর ভাষা নেই। এরকম হতে পারে আমার ধারণারও অতীত ছিল। সেই জন্য আমরা যাঁরা বিদ্যাসাগর কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, আমরা মনে করি আমাদের একটা দায়িত্ব, কর্তব্য আছে। সেটা হচ্ছে এই মুর্তি নতুন করে তৈরি করে দেওয়া। আমরা যেটা প্রাথমিকভাবে ঠিক করেছিলাম যে, আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব যে, আমাদের সাহায্য গ্রহণ করতে। তাঁরা যেভাবে বলবেন আমরা সেভাবেই সাহায্য করব। কারণ এটা আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য বিদ্যাসাগরের মুর্তি পুনর্প্রতিষ্ঠিত করা।"





Conclusion:
Last Updated : May 16, 2019, 2:33 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.