কলকাতা, 18 জুন : লাদাখের গালওয়ান উপত্যাকায় চিনা জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন 20 জন ভারতীয় জওয়ান ৷ সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে খবর ভারতীয় সেনার পালটা জবাবে প্রাণ গেছে প্রায় 43 জন চিনা সেনার ৷ এই পরিস্থিতিতে চিনের আগ্রাসনের নিন্দা করে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ ৷ বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও ৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সংগঠেনর তরফ থেকে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ দেখানো হয় । চিনা পণ্য বয়কটের ডাকও দেওয়া হয় । বিভিন্ন জেলায় দাহ করা হয় চিনের রাষ্ট্রপতির কুশপুতুল ।
পশ্চিম বর্ধমান
রানিগঞ্জে চিনের রাষ্ট্রপতির কুশপুতুল দাহ করা হয় ৷ একই সঙ্গে প্ল্যাকার্ড হাতে চিনা সামগ্রী বয়কটের দাবি তোলা হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে ৷ 60 নম্বর জাতীয় সড়কে স্কুল মোড়ে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় ৷ পরিষদের সভাপতি শুভম রাউত বলেন, ‘‘গালওয়ানে ভারতীয় সেনার উপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে চিন ৷ তার প্রতিবাদে আমরা চিনা পণ্য বয়কটের দাবি জানাচ্ছি ৷’’
বাঁকুড়া
চিনের সেনাদের এই আগ্রাসনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয় বাঁকুড়াতেও ৷ শহরের মাচানতলায় চিনা দ্রব্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তরফে ৷ বাঁকুড়া শহরের নতুন গঞ্জ থেকে মাচানতলা পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয় ৷ চিনের রাষ্ট্রপতির কুশপুতুলও দাহ করা হয় ৷
উত্তর দিনাজপুর
জেলার সদর শহর রায়গঞ্জে চিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয় কয়েকশো সাধারণ মানুষ ৷ এখানেও চিনা সমগ্রী বয়কটের দাবি তোলা হয় ৷ চিনের রাষ্ট্রপতির কুশপুতুল পুড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা ৷
দক্ষিণ দিনাজপুর
একই ছবি ধরা পরে দক্ষিণ দিনাজপুরেও ৷ জেলার বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান অকিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ ও BJP যুব মোর্চার তরফে ৷ চিনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে এক হতে ও চিনা পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হয় বিক্ষোভে ৷ একইসঙ্গে থানা মোড়ে চিনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয় ৷
দক্ষিণ 24 পরগনা
জেলার ডায়মন্ড হারবার শহরে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় BJP কর্মী-সমর্থকদের ৷ সংঘর্ষে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ডায়মন্ড হারবার ইয়ং স্টার ক্লাব এলাকা থেকে স্টেশন মোড় পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করে BJP কর্মী-সমর্থকরা ৷ চিনা পণ্য বয়কটেরও ডাক দেওয়া হয় ৷
কলকাতা
শহর কলকাতাতেও চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয় ৷ প্রধামমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিনা আগ্রাসনের যোগ্য জবাব দেওয়ার আহ্বান করা হয় ছাত্র পরিষদের তরফে ৷ ভারত সরকারে বিদেশ নীতি ব্যর্থ ও ভারতীয় জওয়ান হত্যার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী সক্রিয় পদক্ষেপ করছেন না বলে অভিযোগ তোলা হয় বিক্ষোভে ৷ শহরের MG রোড ও কলেজস্ট্রিটের সংযোগস্থলে বিভোক্ষ দেখায় ছাত্র পরিষদ ৷