কলকাতা, 5 জুন: সাইকেলের ব্যবহারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব। পাশাপাশি শহরে সাইকেলের ব্যবহার বাড়লে পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে৷ সেই কারণে কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য শহরে রাস্তায় সাধারণ মানুষ যাতে সাইকেলের ব্যবহার করতে পারেন, তার অনুমোদনের দাবিতে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন। এবার, কলকাতায় নো-সাইক্লিং জ়োন তুলে দেওয়ার দাবি উঠল। এই দাবিতে শুক্রবার, 5 জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে কলকাতায় সাইকেল মিছিল করল যুব সংগঠন AIDYO৷ অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ অর্গানাইজেশনের কলকাতা জেলা কমিটি।
সংগঠনটির যুক্তি, সাইকেল একটি পরিবেশ বান্ধব যান। COVID-19 পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে যানবাহনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে সাইকেল ভরসার যান হয়ে উঠতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে কলকাতাতেও নো-সাইক্লিং জোন তুলে দেওয়া হোক৷ শুক্রবার নো-সাইক্লিং জ়োন তুলে দেওয়ার দাবিতে সাইকেল মিছিল করে যুব সংগঠনটি। দক্ষিণ কলকাতার ভবানী সিনেমা হলের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়৷ তবে, রাসবিহারী মোড়ে পৌঁছালে ওই সাইকেল মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। এরপর সংগঠনের প্রতিনিধিরা কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ট্র্যাফিক)-এর কাছে ডেপুটেশন জমা দেয়।
সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়, জয়েন্ট কমিশনার জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ কোথাও সাইকেল আটকাবে না। সর্বত্র সাইকেলে যাতায়াত করা যাবে। আগামী দিনে যাতে কলকাতার সর্বত্র সাইকেলে যাতায়াত করা যায়, সেই বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন তিনি৷
AIDYO জেলা কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, "কলকাতার সব রাস্তায় সব সময়ের জন্য সাইকেল চালানোর অনুমতির দাবিতে সাইকেল মিছিলের আয়োজন করি আমরা। COVID-19 পরিস্থিতিতে সাইকেল ব্যবহারের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব। অপরিকল্পিত লকডাউনের বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার অপরিহার্য বাহন হয়ে উঠবে সাইকেল। প্রশাসন দাবি না মানলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।"