কলকাতা, 11 মে : দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় আজ থেকে বেসরকারি বাস চালানোর কথা ছিল । কিন্তু, একটি বাসও রাস্তায় নামেনি ।
ঝাড়গ্রাম জেলা বাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দীপক পাল বলেন, "ইতিমধ্যেই আমাদের জেলার নয়াগ্রাম ও ঝাড়গ্রাম শহরে কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে । তাই রবিবার পরিবহন দপ্তর থেকে আমাকে ফোন করে বাস নামাতে নিষেধ করা হয় । তাই আজ জেলায় একটিও বাস চলেনি । যদিও আমরা আজ থেকে বাস চালাতে প্রস্তুত ছিলাম ।"
বাঁকুড়া জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক দীপক সুকুল বলেন যে, "বাঁকুড়া জেলায় কোথাও বেসরকারি বাস চালানো হয়নি । জেলা প্রশাসনের কাছে আমরা ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে লিখিত জানতে চেয়েছিলাম । যাতে যাত্রীরা সরকারি কাগজ দেখতে চাইলে আমরা দেখতে পারি । কিন্তু পরিবহন দপ্তর থেকে আমাদের লিখিতভাবে কিছুই দেওয়া হয়নি । পাশাপাশি ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টিও আমাদের কাছে তেমন স্পষ্ট নয় । কারণ জেলা প্রশাসনের তরফে আমাদের বলা হয়েছিল চাইলে আমরা দ্বিগুণ ভাড়াও নিতে পারি বা তার কমও নিতে পারি ।"
পুরুলিয়া বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রতিভা রঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন যে, "সারা পুরুলিয়া জেলায় কোথাও বেসরকারি বাস চলেনি । আমরা আগেও বলেছি যে মাত্র 20 জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো অসম্ভব । যদিও ভাড়া বৃদ্ধি করে বাস চালাতে বলা হয়েছিল তবে সবাই তা দিতে চাইবে না । তা ছাড়া লকডাউনে কেউ রাস্তায় বেরোচ্ছেন না খুব দরকার না পড়লে। বেশিরভাগ মানুষ বাড়ির কাছাকাছি যাতায়াত করছে । তাই বাস চালালেও সে ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়িয়ে জ্বালানির খরচ উঠবে না ।"
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির ক্ষেত্রে আঞ্চলিক প্রশাসন ও আঞ্চলিক পরিবহন বিভাগের আন্তরিক উদ্যোগের অভাব রয়েছে । এই সংকটের মুহূর্তে একটি নতুন পদ্ধতিতে গাড়ি চালাতে গেলে, ভয়-ভীতি কাটানোর জন্য প্রশাসনিক সাহায্যের দরকার । সেই জায়গায় অনেক গাফিলতি রয়েছে । আমাদের ইচ্ছে থাকলেও বাস চালাতে পারছি না । "