কলকাতা, 24 জুন : সর্বভারতীয় বেতনক্রম চালুর দাবিতে প্রাইমারি শিক্ষক সংগঠনের মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ধর্মতলায় । ধর্মতলায় ব্যারিকেড করে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ । ব্যারিকেড খুলে দেওয়ার দাবিতে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ায় বিক্ষোভকারীরা । তারপর ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে তারা । নামানো হয়েছে র্যাফ ।
রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে অবস্থানে বসেছেন বিক্ষোভকারীরা । ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বিধানসভায় যায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তাঁরা জানিয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী বেতন বৈষম্য মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন । কিন্তু পে স্কেল কতটা দেওয়া হবে তা স্পষ্টভাবে বলেননি শিক্ষামন্ত্রী । বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । তাঁদের দাবি, যেহেতু শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তা রেকর্ডেড ছিল না তাই মিডিয়ার সামনে প্রেস বিবৃতি দিতে হবে শিক্ষামন্ত্রীকে।
সর্বভারতীয় বেতনক্রমের দাবিতে আজ মিছিলের ডাক দেয় উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (UUPTWA) । সুবোধ মল্লিক স্কয়্যার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল করার কথা জানায় তারা । সুবোধ মল্লিক স্কয়্যারের সামনে জমায়েত করেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রায় 4000 প্রাথমিক শিক্ষক । তার জেরে সুবোধ মল্লিক স্কয়্যারের সামনের রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয় । পরে সেখান থেকে মিছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দিকে এগিয়ে যায় । ধর্মতলায় মিছিল যেতেই আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ । তা নিয়ে প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় বিক্ষোভকারীদের । পরে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে তারা ।
উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক পৃথা বিশ্বাস বলেছেন, "শুধু আজকের মিছিল নয়। বিগত দেড় বছর ধরে আমরা আমাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য বেতন চেয়ে আন্দোলন করে আসছি। আমরা জানতে পেরেছি সরকারি ক্ষেত্রেও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আমাদের বেতনক্রম বাড়ানো হবে। কিন্তু সেই বেতনক্রম আমরা যতটা যোগ্য সেই যোগ্যতা অনুযায়ী ততটাও বাড়ানো হবে না বলে জানতে পেরেছি। আমাদের একটাই দাবি আমরা সর্বভারতীয় যোগ্যতা মান অর্জন করেছি। তাই সর্বভারতীয় স্কেলে আমাদের বেতন দেওয়া হোক। তার জন্য আলোচনার দরজা আমরা সব সময় খোলা রেখেছি। আমরা শিক্ষা দপ্তর এবং শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এখন চাই বেতন বঞ্চনার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করুন। সেই সঙ্গে পে কমিশনের আগেই পেরিভিশনের যে প্রক্রিয়া সরকার যে শুরু করেছে সেটা সঠিকভাবে রূপায়িত হোক। সেই সঙ্গে এই আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের 14 জন সহকর্মী প্রতিহিংসামূলক বদলির শিকার হয়েছেন । তাদের আমরা ঘরে ফিরিয়ে দিতে চাই ।"
পৃথা আরও বলেন, "আমরা বর্তমানে 5400 থেকে 25826 স্কেলে বেতন পাই। অর্থাৎ পে ব্যান্ড 2 স্কেলে বেতন পাচ্ছি । আমাদের দাবি হচ্ছে পে ব্যান্ড 4 । মানে সর্বভারতীয় বেতন কাঠামো অনুযায়ী আমাদের রাজ্যে যে স্কেল রয়েছে তা হল 9000 থেকে শুরু হয়ে 40800। সেটা আমরা দাবি করছি। আমরা অনড় অবস্থান নিয়েছি । দরকার হলে ধরনায় বসব আমরা ।"