কলকাতা, 6 জানুয়ারি : 13 জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে জরুরি ভিত্তিতে কোরোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। মঙ্গলবার এমনই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এদিকে এরাজ্যে যে সব স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তাঁদের নামের তালিকা এখন যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে তৈরি করে চলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। বেসরকারি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের নামের তালিকা পাওয়ার জন্য ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি, আগামী 13 জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ যাতে সফলভাবে হয়, সেই লক্ষে রাজ্যজুড়ে এবার ভ্যাকসিনেশনের মহড়া শুরু হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে এখনও কোরোনার বিভিন্ন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। এদিকে কলকাতায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজ়িজ়েসে চলছে কোভ্যাকসিনের থার্ড ফেজ়ের ট্রায়াল। এর পাশাপাশি কলকাতায় স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে কোরোনার ভ্যাকসিন কোভোভ্যাক্স এবং কলকাতার পঞ্চসায়রে অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতাল আর কামারহাটিতে অবস্থিত কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালে কোরোনার ভ্যাকসিন- স্পুটনিক ভি’র ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক ঘোষণা করেছে, 13 জানুয়ারি থেকে দেশে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। তাঁদের পাশাপাশি বয়স্ক নাগরিকদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এদিকে এরাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের নামের তালিকা এখনও তৈরি করে চলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এর জন্য কার্যত দিন-রাত এক করে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে স্বাস্থ্য দপ্তর কাজ করে চলেছে। চিকিৎসক, নার্স এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে এরাজ্যে ছয় লাখের মতো স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী বলেন, "ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত।" কোনও খামতি কি রয়েছে ? স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, "দিন-রাত জেগে সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের নামের তালিকা আমরা তৈরি করছি। বেসরকারি ক্ষেত্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের নামের তালিকা পাওয়ার জন্য ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।"
ইতিমধ্যেই রাজ্যের তিন জায়গায় কোরোনার ভ্যাকসিনের মহড়া দিচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে, আগামী 13 জানুয়ারি থেকে যাতে সফলভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করা যেতে পারে তার জন্য আগামী শুক্রবার, 8 জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে ভ্যাকসিনের মহড়া দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এ দেশে কোরোনার দুটি ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।