কলকাতা, 29 অগাস্ট: প্রথমে আশুতোষ কলেজ, পরে বজবজ কলেজ এবং শেষে বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ। বিভিন্ন কলেজের মেধা তালিকায় পর্ন তারকাদের নাম। পর্ন ইন্ডাস্ট্রির মতোই এখানেও এগিয়ে সানি লিওন। তবে, উঠে আসছে মিয়া খলিফা থেকে শুরু করে অন্য পর্ন তারকাদের নামও। যেভাবে একের পর এক কলেজে এই ঘটনা ঘটছে তাতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের গন্ধ পাচ্ছে অনেকেই। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এটি কোনও সংগঠিত চক্রের কাজ কি না। যদিও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
ঘটনার শুরু বৃহস্পতিবার। সেদিন আশুতোষ কলেজের ইংরেজি অনার্সের মেধা তালিকার স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। দেখা যায় তালিকার এক নম্বরে রয়েছে সানি লিওনের নাম। যেহেতু তিনি 400 নম্বরের মধ্যে 400 পেয়ে আবেদন করেছেন তিনি! এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। বিষয়টি নজরে আসে সানিরও। তিনি টুইট করেন, "তাহলে সামনের সেমিস্টারে দেখা হচ্ছে। আশা করি ক্লাসের সবার সঙ্গে দেখা হবে।" এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে সামনে আসে বজবজ কলেজের তালিকা-বিভ্রাট। দেখা যায় সেখানে বাংলা অনার্সের মেধা তালিকায় নাম রয়েছে সানি লিওনের। যে খবর প্রথমে ETV ভারতে প্রকাশিত হয়। পরে বারাসত কলেজের তালিকা-বিভ্রাটের একটি স্ক্রিনশটও ভাইরাল হয়। সেখানে ইংরেজি অনার্সে নাম রয়েছে ড্যানি ড্যানিয়েলস, মিয়া খলিফা, জনি সিন্স ও সানি লিওনের। কিন্তু, বারবার এমন ঘটনা ঘটছে কেন?
তদন্তে নেমে পুলিশ মনে করছে, গলদ রয়েছে পদ্ধতিতে। এবার যে প্রক্রিয়ায় অনলাইনে আবেদন করা হচ্ছে তা রীতিমতো পলকা। যে কেউ যা খুশি নাম দিয়ে আবেদন করতে পারেন। আবেদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ের নম্বরও তিনি ইচ্ছে মতো বসাতে পারেন। তার ভিত্তিতে তৈরি হবে মেরিট লিস্ট। সেই লিস্ট অনুযায়ী কলেজে যাবে ছাত্র-ছাত্রীরা। সেখানে তাঁদের মার্কশিট ও অন্য নথি খতিয়ে দেখার পর ভরতি নেওয়া হবে। এই পলকা ব্যবস্থার সুযোগ নিচ্ছে কেউ বা কারা।
গোয়েন্দাপ্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, "আমরা মামলা করেছি। তদন্তের কাজ চলছে। আশা করছি কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা দ্রুত সামনে আসবে।"
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি গোয়েন্দাপ্রধান। তিনি বলেন, "যতক্ষণ পর্যন্ত না অপরাধীকে ধরা যাচ্ছে, ততক্ষণ কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।"