কলকাতা, 5 জুন : রানাঘাটের সাংসদের আনা অভিযোগে তোলপাড় গেরুয়া শিবির । বিজেপির অন্দরেই তিনি তুলেছেন একাংশের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ । বলেছেন অনুশাসনের অভাব রয়েছে দলে ।
আর এই নিয়েই প্রতিক্রিয়া দিলেন স্বয়ং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । প্রতিক্রিয়া দিলেন শুধু তাই নয়, এক অর্থে মেনেও নিলেন সেই অভিযোগ । ঘটনার সূত্রপাত শনিবার, ওইদিন সকালে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার দাবি করেন, বিজেপিতে তৃণমূলের চর রয়েছে । দলে অনুশাসনের অভাবেই এই চরেরা ঢুকে পড়ছেন দলে, বলে মত তাঁর । তিনি ওই সমস্ত চরদের সনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান ।
এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর রবিবার সকলকে অবাক করে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমের সামনে বিবৃতি দেন, "প্রত্যেক দলই অপর দলে লোক ঢুকিয়ে রাখে । আমাদেরও কিছু লোক আছে, যাঁরা ওদিক থেকে খবর দেয় ।" সুকান্ত মজুমদারের কথার জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে জানান, "উনি রাজনীতিতে শিক্ষানবিশ । তাঁকে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই । দু-চারটে কথা বলার অধিকার পেয়েছেন, তাই বলছেন । ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছে ভিতরটা । চাপের মুখে পালটা কথা বলেছেন । ছেলেমানুষি করেছেন । এছাড়া আর কিছুই নয় । তাঁর এই মন্তব্যের সঙ্গে বিস্ফোরক, চাঞ্চল্যকর কোনও ব্যাপার নেই । দিলীপ ও সুকান্তর মধ্যে প্রলাপের লড়াই চলছে । ঘুম থেকে উঠে কে বক্তব্য রাখবেন, তার লড়াই চলছে । ডাহা ফেল করা একজন সভাপতি কীই বা বলতে পারেন ৷"
আরও পড়ুন : Kunal vs Dilip : 'কেন্দ্রের প্রতিহিংসায় বঞ্চিত রাজ্য', তোপ কুণালের ; 'আগে হিসাব দিন', পাল্টা দিলীপ
সম্প্রতি কল্যাণী এইমসে নিয়োগ নিয়ে নাম জড়ায় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের । দিন কয়েক আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, এসএসসি দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতে তৃণমূল অভিযোগ করিয়েছে । তিনি আরও বলেন, "এটা দলের অনুশাসনের ঘাটতির জন্য হচ্ছে । যারাই করুক, সে সত্যিকারের তৃণমূলের চর । তাঁর ব্যাখা, ভারতবর্ষে বা অন্য দেশের লোকের মধ্যেও চরবৃত্তির কাজ চলে । র-এর লোক যেমন থাকে, তেমনই বিভিন্ন অন্য সংস্থার গোয়েন্দা সংস্থার লোকও থাকে । তা দলের মধ্যেও কিছু খোচর, কিছু দালাল থাকে । তৃণমূলের মধ্যেও থাকে । বিজেপির মধ্যেও থাকে । একে অপরকে খবর পাস করে ।" সেই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে এদিন নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি । এবার তা নিয়েই চলছে রাজনৈতিক তরজা (political turmoil continues on spy issue between TMC and BJP) ।