কলকাতা, 3 অক্টোবর: সপ্তমীর (Durga Puja 2022) রাতে কলকাতার (Kolkata) সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) পুজোমণ্ডপে জনজোয়ার ৷ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয় পুজোর উদ্যোক্তাদের ৷ নাজেহাল দশা হয় পুলিশেরও ৷ অবশেষে রাত 10টা 30 নাগাদ কিছুক্ষণের জন্য এই মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয় ৷ সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয় লেজার শো (Laser Show) ৷ আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর (Political Conflict) ৷ বিজেপি নেতা সজল ঘোষ (Sajal Ghosh) দাবি করেছেন, পরিকল্পিতভাবে এই পুজো বন্ধ করার চেষ্টা করছে প্রশাসন ৷ তাঁর আরও অভিযোগ, যেহেতু এই পুজোর সঙ্গে 'বিজেপি নেতা সজল ঘোষের নাম' যুক্ত, সেই কারণেই মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে ! রাজ্য়ের কোনও মন্ত্রীর পুজো হলে এমনটা কখনই করা হত না ৷
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর নামও উল্লেখ করেন সজল ৷ বলেন, রাজ্য়ের কোনও মন্ত্রীর পুজো হলে এভাবে লেজার শো বন্ধ করে দেওয়া হত না ৷ প্রসঙ্গত, গত বছর সুজিত বসুর পুজোতেও (শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো) লেজার শো করা হয়েছিল ৷ পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ এক্ষেত্রে সজলের মন্তব্য, অনেকেই সুজিত বসুর পুজোয় লেজার শো বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলতে পারেন ৷ কিন্তু, সেই আলো বন্ধ করা হয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট অভিযোগের পর ৷ সরকার নিজে থেকে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ ওই আলোর জন্য বিমান চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল ৷ এমনকী, ভিড়ের চোটে বহু মানুষ সঠিক সময়ের মধ্যে ওই রাস্তা দিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছতে পর্যন্ত পারেননি ৷ ভিআইপি রোড কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ৷ তবে, এ তো নতুন কিছু নয় ৷ বছরের পর বছর ধরে এমনটা হয়ে আসছে ৷
আরও পড়ুন: দিকে দিকে চলছে অষ্টমীর অঞ্জলি, মাকে অর্ঘ্য নিবেদন ভক্তদের
সজলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই কি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের লেজার শো বন্ধ করা হয়েছিল ? জবাবে তিনি বলেন, যে পুজোয় শুভেন্দু অধিকারী আসবেন, সুকান্ত মজুমদার আসবেন, সেখানে বিসর্জন শান্তিতে হবে, তাও কি আবার হয় নাকি !পুরো ঘটনাটিই পরিকল্পনা করে ঘটানো হয়েছে ৷ একইসঙ্গে, কলকাতা পুলিশেরও সমালোচনা করেছেন তিনি ৷
যদিও কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা মোটেও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর লেজার শো বন্ধ করার নির্দেশ কাউকে দেয়নি ৷ বরং মণ্ডপে যে প্রচণ্ড ভিড় তৈরি হয়েছিল, তা হালকা না করলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত ৷ এই অবস্থায় মাত্র দেড় ঘণ্টা ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ৷ তারপর আবার ধাপে ধাপে মণ্ডপ সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় ৷