ETV Bharat / city

Kolkata App Fraud: আমিরের ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট থেকে বাজেয়াপ্ত আরও 14 কোটি 53 লক্ষ টাকা !

কলকাতা অ্যাপ জালিয়াতি (Kolkata App Fraud) কাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্ত আমির খানের (Amir Khan) ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট (Cryptocurrency Wallet) থেকে মিলল 14 কোটি 53 লক্ষ টাকা ৷ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ৷

Police seized 14 crore 53 lakh rupees from a cryptocurrency wallet of Amir Khan in Kolkata App Fraud case
Kolkata App Fraud: আমিরের ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট থেকে বাজেয়াপ্ত আরও 14 কোটি 53 লক্ষ টাকা !
author img

By

Published : Sep 28, 2022, 12:26 PM IST

Updated : Sep 28, 2022, 12:42 PM IST

কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর: কলকাতা অ্যাপ জালিয়াতি (Kolkata App Fraud) কাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্ত আমির খানের (Amir Khan) ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট (Cryptocurrency Wallet) থেকে 14 কোটি 53 লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ৷ উল্লেখ্য, এর আগেই আমিরের বাবা নিসার খানের (Naser Khan) শাহি আস্তাবল লেনের (Shahi Astabal Lane) বাড়ি থেকে নগদ 17 কোটি 32 লক্ষ উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি (ED) ৷ গত 10 সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনা ঘিরে শহর তথা রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায় ৷ এদিকে, ঘটনার পরই বেপাত্তা হয়ে যান আমির ৷ গত 24 সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ৷ আদালত আগামী 8 অক্টোবর পর্যন্ত আমিরকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ৷

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তদন্ত যেটুকু এগিয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে, ই-নাগেট (E-Nugget) নামে একটি মোবাইল অ্য়াপ চালাতেন আমির খান ৷ তার মাধ্যমেই বহু মানুষের সঙ্গে আর্থিক জালিয়াতি করেন তিনি ৷ অন্যায়ভাবে উপার্জন করেন কোটি কোটি টাকা ! ইডি এই ঘটনায় অভিযানে নামতেই টনক নড়ে কলকাতা পুলিশের ৷ যদিও তাদের কাছে এই সংক্রান্ত অভিযোগ অনেক আগেই এসেছিল ৷ কিন্তু, সেই সময় কলকাতা পুলিশের তরফে ন্যূনতম তৎপরতা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ ৷ কলকাতা পুলিশ তাদের তদন্তে জানতে পেরেছে, আমির খানের যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটটি রয়েছে, সেটির নাম বাইন্যান্স (Binance) ৷ সেই ওয়ালেট থেকেই 14 কোটি 53 লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷

আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে মিলেছিল 18 কোটি, গার্ডেনরিচের সেই ব্যবসায়ী আমির খানকে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার

এদিকে, আমিরকে নিজেদের হেফজতে নিতে মরিয়া ইডি ৷ তাদের বক্তব্য, আমিরের অ্য়াপের ফাঁদে পা দিয়ে অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৷ তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমিরকে জেরা করা দরকার ৷ সেই কারণেই আমিরকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি ৷ এদিকে, আগামী 8 (আট) অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের হেফাজতে থাকবেন আমির ৷ তারপর তাঁকে ফের নিম্ন আদালতে পেশ করা হবে ৷ সেদিন আদালত কী নির্দেশ দেয়, তার উপরই নির্ভর করছে ইডি-এর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ ৷ ইডি সূত্রে অন্তত এমনটাই জানা গিয়েছে ৷

প্রসঙ্গত, আমির খানের বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধী আইন (Prevention of Money Laundering Act) বা পিএমএলএ (PMLA)-এর আওতায় তদন্ত শুরু করেছে ইডি ৷ এই আইনের অধীনেই গত 10 সেপ্টেম্বর একসঙ্গে কলকাতার ছ'টি জায়গায় অভিযানে নামেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা ৷ অপা কাণ্ডের পর ফের একবার উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ৷ এছাড়া গত কয়েকদিনের মধ্যে এই ঘটনায় আরও একটি বড় পদক্ষেপ করে লালবাজার । পার্ক স্ট্রিট থানার এক আধিকারিককে ক্লোজ করার সিদ্ধান্ত নেয় লালবাজার । তার কারণ গার্ডেনরিচের ঘটনার প্রায় দেড় বছর আগে পার্ক স্ট্রিট থানায় এই ধরনের একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল । কিন্তু পুলিশ জানতে পেরেছে তদন্তকারী অফিসার কোনও ব্যবস্থাই করেননি । আর তাই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল লালবাজার ।

কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর: কলকাতা অ্যাপ জালিয়াতি (Kolkata App Fraud) কাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্ত আমির খানের (Amir Khan) ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট (Cryptocurrency Wallet) থেকে 14 কোটি 53 লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ৷ উল্লেখ্য, এর আগেই আমিরের বাবা নিসার খানের (Naser Khan) শাহি আস্তাবল লেনের (Shahi Astabal Lane) বাড়ি থেকে নগদ 17 কোটি 32 লক্ষ উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি (ED) ৷ গত 10 সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনা ঘিরে শহর তথা রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায় ৷ এদিকে, ঘটনার পরই বেপাত্তা হয়ে যান আমির ৷ গত 24 সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ৷ আদালত আগামী 8 অক্টোবর পর্যন্ত আমিরকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ৷

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তদন্ত যেটুকু এগিয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে, ই-নাগেট (E-Nugget) নামে একটি মোবাইল অ্য়াপ চালাতেন আমির খান ৷ তার মাধ্যমেই বহু মানুষের সঙ্গে আর্থিক জালিয়াতি করেন তিনি ৷ অন্যায়ভাবে উপার্জন করেন কোটি কোটি টাকা ! ইডি এই ঘটনায় অভিযানে নামতেই টনক নড়ে কলকাতা পুলিশের ৷ যদিও তাদের কাছে এই সংক্রান্ত অভিযোগ অনেক আগেই এসেছিল ৷ কিন্তু, সেই সময় কলকাতা পুলিশের তরফে ন্যূনতম তৎপরতা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ ৷ কলকাতা পুলিশ তাদের তদন্তে জানতে পেরেছে, আমির খানের যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটটি রয়েছে, সেটির নাম বাইন্যান্স (Binance) ৷ সেই ওয়ালেট থেকেই 14 কোটি 53 লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷

আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে মিলেছিল 18 কোটি, গার্ডেনরিচের সেই ব্যবসায়ী আমির খানকে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার

এদিকে, আমিরকে নিজেদের হেফজতে নিতে মরিয়া ইডি ৷ তাদের বক্তব্য, আমিরের অ্য়াপের ফাঁদে পা দিয়ে অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৷ তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমিরকে জেরা করা দরকার ৷ সেই কারণেই আমিরকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি ৷ এদিকে, আগামী 8 (আট) অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের হেফাজতে থাকবেন আমির ৷ তারপর তাঁকে ফের নিম্ন আদালতে পেশ করা হবে ৷ সেদিন আদালত কী নির্দেশ দেয়, তার উপরই নির্ভর করছে ইডি-এর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ ৷ ইডি সূত্রে অন্তত এমনটাই জানা গিয়েছে ৷

প্রসঙ্গত, আমির খানের বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধী আইন (Prevention of Money Laundering Act) বা পিএমএলএ (PMLA)-এর আওতায় তদন্ত শুরু করেছে ইডি ৷ এই আইনের অধীনেই গত 10 সেপ্টেম্বর একসঙ্গে কলকাতার ছ'টি জায়গায় অভিযানে নামেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা ৷ অপা কাণ্ডের পর ফের একবার উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ৷ এছাড়া গত কয়েকদিনের মধ্যে এই ঘটনায় আরও একটি বড় পদক্ষেপ করে লালবাজার । পার্ক স্ট্রিট থানার এক আধিকারিককে ক্লোজ করার সিদ্ধান্ত নেয় লালবাজার । তার কারণ গার্ডেনরিচের ঘটনার প্রায় দেড় বছর আগে পার্ক স্ট্রিট থানায় এই ধরনের একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল । কিন্তু পুলিশ জানতে পেরেছে তদন্তকারী অফিসার কোনও ব্যবস্থাই করেননি । আর তাই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল লালবাজার ।

Last Updated : Sep 28, 2022, 12:42 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.