কলকাতা, 11 মে: এ যেন আলোর নিচেই অন্ধকার । নেট দুনিয়া যেমন আমাদের সামনে খুলে দিয়েছে এক অপরিসীম জগৎ, তেমনই সৃষ্টি করেছে একাধিক সমস্যাও । কোনও বিষয় নিয়ে জানতে হলে শুধু একটা ক্লিক । চোখের সামনে খুলে যাবে সেই বিষয়ে শয়ে শয়ে লেখা বা 'কনটেন্ট'। নেটের মাধ্যমে আমরা এখন অনেকের লেখা পড়তে পারি । সেগুলি পড়তেই পারি (Plagiarism checker launched)। বড় জোর রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারি । তবে অন্য কারও লেখা নিজের বলে চালাতে পারি না । তবে অনেকেই সেই অপরাধে অভিযুক্ত ৷ এ বার লেখা চুরি আটকাতে ও লেখকের লেখাকে আরও উকৃষ্ট করে তুলতে আইইএমএ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বাজারে নিয়ে এল দুটি সফটওয়্যার (plagiarism checker)।
পড়ার উদ্দেশ্যে লেখা যে কখন পণ্য হিসেবে চুরি হয়ে যাচ্ছে, তা লেখকই টের পাচ্ছেন না । তবে এ বার একটি বিশেষ সটওয়্যারের মাধ্যমে খুব সহজেই জানা যাবে কে চুরি করল আপনার লেখা । তথ্য সুরক্ষা ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত দুটি বিশেষ সটওয়্যারের উদ্বোধন করা হল শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইটি অ্যান্ড ই ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্টেট ইনফরমেশন সিকিউরিটি বিভাগের যুগ্ম সচিব সঞ্জয়কুমার দাস ।
সফটওয়্যারগুলির নাম - প্লেজারিজম চেকার ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রাইটার (artificial intelligence software)। দুটি সফটওয়্যার তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় এক বছর । সংস্থার চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ঋত্বিক লাল বিষয়টি বুঝিয়ে দেন । তিনি বলেন, "আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রাইটারের কাজ - এই সটওয়্যারে বিষয়বস্তুর নাম বা টাইটেল, শব্দ সংখ্যা ও কিওয়ার্ড দিয়ে দিলে ইন্টারনেটে থাকা মানানসই কনটেন্ট স্ক্যান করে ফলাফল তুলে আনবে । এই সফটওয়্যারটি পাওয়া যাবে 50 টি ভাষায় ।"
আরও পড়ুন: কনটেন্ট চুরির অভিযোগ 'বালা'-র বিরুদ্ধে, কোর্টের দ্বারস্থ দুই পরিচালক
অপর সফটওয়্যারটির নাম প্লেজারিয়াম চেকার (Kolkata news)। এখানে যদি কোনও লেখা দেওয়া হয়, তবে মুহূর্তেই এই লেখাটি অন্য কোনও লেখা থেকে টোকা বা চুরি করা হয়েছে কি না কিংবা টোকা হলেও কতটা টোকা হয়েছে, নিমেষেই প্রায় 10 বিলিয়নের কাছাকাছি কনটেন্ট স্ক্যান করে হদিস দিয়ে দেবে ।
লেখক, যেসব সংস্থা কনটেন্ট তৈরি করে থাকে, ব্লগার, স্কুল ও কলেজ, পড়ুয়া, পিআর সংস্থা-সহ বাকি আরও সংস্থা যাঁরা মূলত কনটেন্ট ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাঁরা উপকৃত হবেন । প্লেজারিজম চেকারে 500 শব্দ ও মাসে 5টি কনটেন্ট মিলিয়ে দেখা যাবে একেবারে বিনামূল্য । সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ডক্টর সত্যজিৎ চক্রবর্তী বলেন, "কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আমরা এই কাজটি করছি । সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে আমাদের আশা যে, এই দুটি সটওয়্যার পুলিশ থেকে প্রশাসন সর্বত্রই ব্যবহার করা হবে ।"