কলকাতা, 1 ডিসেম্বর : বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন । অথচ বছর দেড়েক হাসপাতালে থাকলেও, একবারের জন্যেও পরিবারের কেউ আসেননি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে । শেষ পর্যন্ত, পাভলভ থেকে জীবিত অবস্থায় আর বাড়ি ফেরা হল না বছর চল্লিশের আশা ভার্মা-র ।
আদালতের নির্দেশে গত বছর 25 মে থেকে তাঁর চিকিৎসা চলছিল কলকাতার পাভলভ হাসপাতালে । শুক্রবার সন্ধ্যায় এই হাসপাতালে তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে । হাসপাতাল সূত্রে খবর, বাইপোলার ডিপ্রেশনের রোগী ছিলেন আশা ভার্মা । চিকিৎসা চলছিল । তবে, স্থিতিশীল অবস্থায় ছিলেন তিনি । বাড়িতে ফিরে যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল তাঁর ।
অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ রোগীদের ওষুধ দিচ্ছিলেন নার্সরা । সেই সময় সকলের অলক্ষ্যে সিঁড়ি দিয়ে চার তলায় উঠে যান আশা ভার্মা । তাঁকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন নার্সরা । কিছুক্ষণের মধ্যেই চারতলায় ছাদের সিঁড়ির রেলিং থেকে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ।
হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আশা ভার্মার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছিল । হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন সময়ে চিঠি পাঠানো হলেও, পরিবারের তরফে কোনও উত্তর আসেনি । তাঁর বাড়ির লোকের সঙ্গে দু-একবার ফোনে যোগাযোগ হয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের । হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, "বাড়িতে ফিরতে চাইতেন আশা ভার্মা । তবে, হাসপাতালে ভরতির পর থেকে ওঁর বাড়ির লোকেরা কোনও দিন আসেননি । বার বার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে রাজি হচ্ছিলেন না ।"