ETV Bharat / city

আগামীকাল উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক শিক্ষামন্ত্রীর, উঠতে পারে আচার্য-বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গও

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নয়া বিধি চালু হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আচার্যের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে ৷ পাশাপাশি উঠে আসতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যের ভূমিকার পরিসরও ৷

partha chatterjee
বিকাশ ভবন
author img

By

Published : Dec 12, 2019, 11:29 PM IST

কলকাতা, 12 ডিসেম্বর : রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । উচ্চশিক্ষা সংসদের তরফে এই বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । বিকাশ ভবনে আগামীকাল দুপুর সাড়ে তিনটেয় এই বৈঠক হবে ৷ রাজ্যপাল তথা আচার্যের ক্ষমতা খর্ব করার জন্য বিধানসভায় নয়া বিল পেশ হওয়ার পরই উপাচার্যদের সঙ্গে এই বৈঠক ডাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে ।

কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে?

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নয়া বিধি চালু হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আচার্যের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে ৷ পাশাপাশি উঠে আসতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যের ভূমিকার পরিসরও ৷

সাম্প্রতিককালে রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কাজকর্মের সঙ্গে নিজেকে বিশেষভাবে জড়ানোর চেষ্টা করছিলেন । সাম্প্রতিক কালে তিনিই প্রথম আচার্য যিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন । তারপর রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিদর্শনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন । চলতি মাসের শুরুতেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন নিয়ে সেনেট বৈঠকেও উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের । কিন্তু, বৈঠকের আগের দিন তা স্থগিত রাখার কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিলেও বৈঠকের দিনই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যপাল । কিন্তু সেখানে তাঁকে সম্বর্ধনা না জানানো, বসার উপযুক্ত ব্যবস্থা না করা, উপাচার্যের ঘর বন্ধ থাকার মতো একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি । বিষয়টি নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ক্রমশ তীব্র হচ্ছিল ।

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে পৌঁছায় 10 ডিসেম্বর । বিধানসভায় আচার্যের ক্ষমতা খর্ব করতে বিল পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । এই বিলে আচার্যের ভূমিকা খর্ব করে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা বাড়ানো হয়েছে । বিভিন্ন মহলে সমালোচনাও হচ্ছে এই নিয়ে । সমাবর্তন, সাম্মানিক ডক্টরেট দেওয়া, উপাচার্য নিয়োগ, পরিচালন সমিতির নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠক ডাকার ক্ষেত্রে আচার্যের ভূমিকা খর্ব করা হয়েছে নতুন বিধিতে ।

এই বিল পেশের পরদিনই মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় । ওই সমাবর্তনেও উপস্থিত থাকার কথা ছিল আচার্য জগদীপ ধনকড়ের । স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির বৈঠকও । সেখানেও রাজ্যপালের উপস্থিত থাকার কথা ছিল বলে জানা গেছে । সবমিলিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যন্ত গড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । তারমধ্যেই আগামীকাল উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসার ডাক দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা সংসদের তরফে বৈঠকের কথা রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । আগামীকাল বিকাশ ভবনে দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে হবে এই বৈঠক ।

কলকাতা, 12 ডিসেম্বর : রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । উচ্চশিক্ষা সংসদের তরফে এই বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । বিকাশ ভবনে আগামীকাল দুপুর সাড়ে তিনটেয় এই বৈঠক হবে ৷ রাজ্যপাল তথা আচার্যের ক্ষমতা খর্ব করার জন্য বিধানসভায় নয়া বিল পেশ হওয়ার পরই উপাচার্যদের সঙ্গে এই বৈঠক ডাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে ।

কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে?

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নয়া বিধি চালু হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আচার্যের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে ৷ পাশাপাশি উঠে আসতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যের ভূমিকার পরিসরও ৷

সাম্প্রতিককালে রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কাজকর্মের সঙ্গে নিজেকে বিশেষভাবে জড়ানোর চেষ্টা করছিলেন । সাম্প্রতিক কালে তিনিই প্রথম আচার্য যিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন । তারপর রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিদর্শনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন । চলতি মাসের শুরুতেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন নিয়ে সেনেট বৈঠকেও উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের । কিন্তু, বৈঠকের আগের দিন তা স্থগিত রাখার কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিলেও বৈঠকের দিনই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যপাল । কিন্তু সেখানে তাঁকে সম্বর্ধনা না জানানো, বসার উপযুক্ত ব্যবস্থা না করা, উপাচার্যের ঘর বন্ধ থাকার মতো একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি । বিষয়টি নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ক্রমশ তীব্র হচ্ছিল ।

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে পৌঁছায় 10 ডিসেম্বর । বিধানসভায় আচার্যের ক্ষমতা খর্ব করতে বিল পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । এই বিলে আচার্যের ভূমিকা খর্ব করে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা বাড়ানো হয়েছে । বিভিন্ন মহলে সমালোচনাও হচ্ছে এই নিয়ে । সমাবর্তন, সাম্মানিক ডক্টরেট দেওয়া, উপাচার্য নিয়োগ, পরিচালন সমিতির নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠক ডাকার ক্ষেত্রে আচার্যের ভূমিকা খর্ব করা হয়েছে নতুন বিধিতে ।

এই বিল পেশের পরদিনই মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় । ওই সমাবর্তনেও উপস্থিত থাকার কথা ছিল আচার্য জগদীপ ধনকড়ের । স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির বৈঠকও । সেখানেও রাজ্যপালের উপস্থিত থাকার কথা ছিল বলে জানা গেছে । সবমিলিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যন্ত গড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । তারমধ্যেই আগামীকাল উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসার ডাক দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা সংসদের তরফে বৈঠকের কথা রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । আগামীকাল বিকাশ ভবনে দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে হবে এই বৈঠক ।

Intro:কলকাতা, ১২ ডিসেম্বর: আগামীকাল দুপুর সাড়ে তিনটেয় রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে বৈঠক করতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উচ্চশিক্ষা সংসদের এই বৈঠকের আমন্ত্রণ ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, রাজ্যপাল তথা আচার্যের ক্ষমতা খর্ব করার জন্য বিধানসভায় নয়া বিধি পেশ হওয়ার পরপরই উপাচার্যদের নিয়ে এই বৈঠক ডাকা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে? তা জানা যায়নি। তবে, সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নয়া বিধি লাগু হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আচার্যের সম্পর্ক, বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যের ভূমিকার পরিসর কতটা হবে সেইসব বিষয়েই আলোচনা হতে পারে আগামীকালের বৈঠকে।
Body:সাম্প্রতিককালে রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। সাম্প্রতিককালের ইতিহাসেও তিনিই প্রথম আচার্য যিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারপরে তিনি সব বিশ্ববিদ্যালয়েই যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এই মাসের শুরুতেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন নিয়ে সেনেট বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, বৈঠকের আগের দিন তা স্থগিত রাখার কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিলেও বৈঠকের দিনেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখানেও তাঁকে সম্বর্ধনা না জানানো, বসার উপযুক্ত না দেওয়া, উপাচার্যের ঘর বন্ধ থাকার মতো একাধিক বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যান তিনি। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নজির গড়ে হাজির হওয়ায় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছিল।

সেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে পৌঁছায় গত ১০ ডিসেম্বর। বিধানসভায় রাজ্যপাল তথা আচার্যের ক্ষমতা খর্ব করতে বিধি পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই বিধিতে আচার্যের ভূমিকা খর্ব করে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা বাড়ানো হয়েছে। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনাও হচ্ছে। সমাবর্তন, সান্মানিক ডক্টরেট দেওয়া, উপাচার্য নিয়োগ, পরিচালন সমিতির নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠক ডাকার ক্ষেত্রে আচার্যের ভূমিকা খর্ব করা হয়েছে এই বিধিতে।

নতুন বিধি পেশের পরেরদিনই হঠাৎ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাদের সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সমাবর্তনেও উপস্থিত থাকার কথা ছিল আচার্য জগদীপ ধনকড়ের। গতকালই জানা গেছিল, স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির বৈঠকও। সেখানেও রাজ্যপালের উপস্থিত থাকার কথা ছিল বলে জানা গেছে। সবমিলিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যন্ত গড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারমধ্যেই হঠাৎ উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসার ডাক দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা সংসদের তরফে ই-মেল করে বৈঠকের কথা রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকাশ ভবনে দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে হবে এই বৈঠক। কিন্তু, বৈঠকে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে, আচার্যের ক্ষমতা খর্বের বিধি পেশের পর এই বৈঠকে সেই বিধি নিয়েই আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কীভাবে কাজ করতে হবে তা বোঝানো হতে পারে উপাচার্যদের।
Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.