কলকাতা, 20 অগস্ট: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন ৷ দল থেকেও নির্বাসিত করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে । তৃণমূল ক্রমশ দূরত্ব বাড়ালেও দলের সঙ্গেই আছেন প্রাক্তন মহাসচিব ৷ শনিবার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় নাকতলার বিধায়ক বলেন, "দলের সঙ্গেই ছিলাম, দলের সঙ্গেই আছি ।"
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে এদিন দুপুরে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি'র হাতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় । তখনই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে । জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই । পাশাপাশি কমে গিয়েছে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও । এসএসকেএম হাসপাতালে ঢোকার সময় এদিন পার্থ বলেন, "শরীর ভালো নেই ।" এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে ৷ করা হয়েছে রক্ত পরীক্ষা ও এক্স-রে ৷ স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ৷ সেখানেই বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব ৷
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় । অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের থেকেই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । এই মুহূর্তে গোটা বিষয়টি বিচারাধীন । যদিও গ্রেফতারির পর থেকেই ক্রমশ পার্থর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে জোড়াফুল শিবির ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । একইভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়েছেন । দলের হেভিওয়েট নেতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, আইন আইনের পথে চলবে ।
আরও পড়ুন : অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, নিয়ে যাওয়া হল এসএসকেএমে
ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে নানাভাবে কাঠগড়ায় তুলেছেন দলের নেতা-নেত্রীরা ৷ প্রকাশ্যে তাঁকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ৷ নিউ ব্যারাকপুরের চেয়ারম্যান প্রবীর সাহা বলে দিয়েছেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই ক্যানসার, তাই তাঁকে কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে ।" পার্থর বিধানসভা এলাকায় গিয়ে অনুব্রতর পাশে দাঁড়ালেও পার্থর প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন মমতা ৷ তারমধ্যেই পার্থর এহেন উক্তি রাজ্য-রাজনীতির প্লাবন বাড়াল, তা এককথায় মানছেন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদরাও ৷