কলকাতা, 5 অগস্ট: ইডি হেফাজতে কেটেছে 14 দিন ৷ এই সময়ে মেলেনি পছন্দসই খাবার ৷ মাটন চেয়ে পাননি ৷ নিদেনপক্ষে ভাতটুকু পেতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে ৷ বারবারই শারীরিক অবস্থার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা ৷ তুলে ধরেছেন ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ৷ তবে যত যা-ই হোক, তাতে ফল মিলেছে ৷ গত কয়েকদিনের 'মনখারাপি' নানা ঘটনার মাঝে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee loses 3 Kgs) কিছুটা স্বস্তিতে রাখছে তাঁর স্বাস্থ্য ৷ তাঁর ওজন কমেছে ৷ 111 কেজির পার্থ এই ক'দিনেই 3 কেজি ওজন কমিয়ে এখন 108 ৷
এ দিন আদালতে পেশ করার আগে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)৷ কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স থেকে সিআরপিএফের কনভয় করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় জোকার ইএসআই হাসপাতালে । সেখানে আলাদা আলাদা ভাবে পার্থ ও অর্পিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা । তখনই দেখা যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আগের ওজন ছিল 111 কেজি (Partha Chatterjee loses weight)। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর তিন কেজি ওজন কমেছে । বর্তমানে তাঁর ওজন 108 কেজি । জোকা ইএসআই হাসপাতাল সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷
হেফাজতে থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাধিক মশলাদার খাবার খেতে চান । ইডি হেফাজতে তিনি খাসির মাংস ও ভাত খেতে চাইলেও তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা । জানা গিয়েছে, পার্থর শারীরিক পরীক্ষা করে ভুবেনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে চিকিৎসকরা একটি বিশেষ প্রেসক্রিপশন করে দিয়েছিলেন । সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট-সহ প্রেসক্রিপশন কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয় । আদালতের নির্দেশ ছিল, এইমস হাসপাতালের করে দেওয়া সেই প্রেসক্রিপশন এবং ডায়েট চার্ট অনুযায়ী যেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খাওয়া-দাওয়া এবং ওষুধপত্রের উপর নজর রাখেন গোয়েন্দারা । পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সকালে, দুপুরে এবং রাতে সেই ডায়েট চার্ট মেনে খাবার দেওয়া হচ্ছিল ।
ইডি হেফাজতে কী ছিল পার্থর ডায়েটে ?
- সকালে ব্রেকফাস্টে এক কাপ লিকার চা, কখনও কখনও দেওয়া হত গ্রিন টি এবং ব্রেড
- দুপুরে ভাত, ডাল, সবজি ও মাছ
- রাতে দুটি রুটি, কখনও ডাল বা কখনও সবজি
আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন খারিজ, 14 দিনের জেল হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা
হেফাজতে থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাধিকবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দাদের কাছ থেকে তেলে ভাজা, মুড়ি, খাসির মাংস, ভাত খাওয়ার আর্জি জানালেও তা মানা হয়নি ৷ প্রথমে তাঁকে ভাতও দেওয়া হয়নি । কারণ এইমস হাসপাতালের দেওয়া প্রেসক্রিপশনে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডায়াবিটিস টু-এর রোগী । কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী পরে পার্থকে ভাত দেওয়া হয় ৷ তবে খাসির মাংস বা তাঁর আবদারের তেলেভাজা, মুড়ি - এ সমস্ত কিছুই দেওয়া হয়নি তাঁকে ।
এ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জোকার ইএসআই হাসপাতালে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয় । দুজনেরই সুগার এবং প্রেশার কন্ট্রোলে রয়েছে ।