কলকাতা, 30 মার্চ : ছেঁড়া-ফাটা জিন্স পরে আসা যাবে না কলেজে । সম্প্রতি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ যে নির্দেশিকা জারি করেছিলেন তাতে সমর্থন জানালেন কলেজ পড়ুয়াদের একাংশ (Part of AJC Bose College students support dress code issue) । কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়াদের মতে স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে পোশাক বাছাই করা উচিত । তাই এবার কলেজের প্রাক্তনীরাও এসে পোশাক নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করে কলেজ ক্যাম্পাসে । এই মর্মে কলেজের দেওয়ালে ও গেটের বাইরে লাগানো হয়েছে পোস্টারও ।
কলেজের এক প্রাক্তনী ধীরাজ কুমার বলেন, "আমাদের অভিভাবকরাও যেমন আমাদের ভাল-মন্দ শিখিয়ে দেন ৷ ঠিক তেমনভাবেই অধ্যক্ষ আমাদের বাবা-মার মত। তিনি জিন্স পড়া নিয়ে কোনও আপত্তি করেননি । তবে ছেঁড়া-ফাটা জিন্স যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়া অশোভন সেই জিন্স পড়াতেই আপত্তি জানিয়েছেন ।" কলেজের এক বর্তমান পড়ুয়া কিরণ মল্লিক বলেন, "ক্রপটপ হোক বা ছেঁড়া-ফাটা জিন্স বাইরে নিজের মনমত পোশাক পড়লেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেখানকার শালীনতা বজায় রেখে সেইমতো পোশাক পরা উচিত ।" কলেজের আর এক পড়ুয়া জহিরুল হক বলেন, "শুধু কলেজের ক্ষেত্রেই নয় অফিস থেকে 'ডিসকোথেক' সর্বত্রই একটা ড্রেস কোড থাকে জায়গা অনুসারে। তবে ঠিক একইভাবে অশোভন পোশাক পড়ে কলেজে এলে সেটা তো দৃষ্টিকটু লাগবেই।"
রাজ্যের কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও অনেকেই বিষয়টি নিয়ে যেমন কোনও মন্তব্য করতে চাননি তেমন অনেকেই আবার এর সমর্থনেও কথা বলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ঠিক একইভাবে গুরুদাস কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর বলেন, "যেহেতু আমাদের এটি একটি অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী এবং পুরানো কলেজ সেহেতু আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের সবসময় শোভন জামাকাপড় পড়ে আসতে বলি। তবে তবুও যদি কেউ এই ধরনের পোশাক পড়ে কলেজে আসেন আমি নিশ্চয়ই তাকে ডেকে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলব যেন সেই ধরনের পোশাক পড়ে কলেজে না আসে।"
আরও পড়ুন: ছেঁড়া জিন্স পরে এলেই টিসি ! ফতোয়া কলকাতার কলেজে
23 মার্চ জারি করা হয় নোটিফিকেশনটি । বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শুধু পড়ুয়ারাই নয় পোশাক বিধি বেঁধে দেওয়া হয়েছে কলেজকর্মী-সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেও। ছেঁড়া জিন্স পড়ে কলেজে প্রবেশ করা যাবে না। ঠিক একইভাবে কলেজকর্মী বা শিক্ষক-শিক্ষিকারাও পড়ে আসতে পারবেন না ছেঁড়া জিন্স।