কলকাতা, 14 অক্টোবর : বহু চেষ্টা-চরিত্রের পর করোনাকে জব্দ করার টিকা বার করেছেন বিজ্ঞানীরা ৷ কিন্তু শরীরে তার প্রয়োগ নিয়ে কম দোলাচলে ছিলেন না মানুষ ৷ শিশুদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও আশঙ্কায় ভুগছেন অভিভাবকরা ৷ কিন্তু ভয়ের কোনও কারণই নেই বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা ৷ তাঁদের মতে, যথেষ্ট পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের উপযোগী টিকা এনেছেন বিজ্ঞানীরা ৷ তার কার্যকারিতা যাচাই করে তবেই অনুমোদন দিয়েছে সরকার ৷ তাই নির্ভয়ে ছেলেমেয়েকে করোনার টিকা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন: Puja Parikrama : আসানসোল আপকার গার্ডেনের পুজোয় কুমোরপাড়ার গরুর গাড়ি
সম্প্রতি ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন টিকাকে জরুরি পরিস্থিতিতে 2 থেকে 18 বছর বয়সিদের উপর প্রয়োগের সুপারিশ করেছে করোনা বিশেষজ্ঞ কমিটি ৷ এর পর নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিলমোহর পড়লেই, তা বাজারে চলে আসবে ৷ তবে এখনও সংশয় কাটিয়ে উঠতে পারছেন না বহু অভিভাবকই ৷ তা নিয়ে যোগাযোগ করলে শিশু চিকিৎসক জয়দেব রায় বলেন, ‘‘অভিভাবকদের বলব, নির্ভয়ে শিশুদের টিকা দেওয়ান ৷ কারণ শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ৷ আবার করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে ৷ তার থেকে সন্তানকে রক্ষা করতে হলে, এই টিকা দেওয়ানো বাঞ্ছনীয় বলেই আমার মনে হয় ৷’’
শরীরে রোগ প্রতিক্ষমতা বেশি বলে শিশুদের উপর এখনও পর্যন্ত সে ভাবে করোনার প্রকোপ দেখা যায়নি ৷ তবে টিকা নিয়ে রাখলে সব দিক থেকে নিশ্চিন্ত বলে মনে করছেন চিকিৎসক মলয় সরকারও ৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘বড় থেকে ছোট, সকলের ক্ষেত্রেই আশঙ্কা রয়েছে ৷ তাই টিকা নেওয়াই বাঞ্ছনীয় ৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি বলে শিশুদের করোনা হলেও, তা ঠিকও হয়ে যাচ্ছে ৷ তবে তা যাতে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে না পারে, তার জন্য প্রত্যেক অভিভাবকেরই উচিত সন্তানকে টিকা দেওয়ানো ৷’’ আবার শুধু টিকা দেওয়ানো হয়ে গেলেই যে ঝাড়া হাত পা হয়ে যাওয়া নয়, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মলয়বাবু ৷ টিকা নেওয়ার পরও করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আবশ্যক বলে মত তাঁর ৷