ETV Bharat / city

বিরোধীদের এড়াতেই সকালে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী : মান্নান

রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথা ভেঙে তড়িঘড়ি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে আসেন । আদতে বিকেল পাঁচটার সময় রাজভবনের চা-চক্রে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব এবং বিশিষ্টজনেরা ।

Opposition
Opposition
author img

By

Published : Aug 16, 2020, 9:30 PM IST

কলকাতা, 16 অগাস্ট : গতকাল রাজভবনের ঘটনায় প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে এরাজ্যে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক এবং কলকাতার নগরপাল বলে কেউ নেই । আজ এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হল রাজ্যের প্রধান দুই বিরোধী দল । স্বাধীনতা দিবসের দিন তো আড্ডা মারার দিন নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ বিরোধীদের । পূর্ব সূচিবদ্ধ চা-চক্রে রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রী না গিয়ে বিরূপ বার্তা দিলেন । মুখ্যমন্ত্রী কেবল রাজনীতি করতে শিখেছেন। সৌজন্যবোধ বিসর্জন দিয়েছেন । বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান।

রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথা ভেঙে তড়িঘড়ি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে আসেন । আদতে বিকেল পাঁচটার সময় রাজভবনের চা-চক্রে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব এবং বিশিষ্টজনেরা ।


লকডাউনের নিয়ম মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে গতকাল বিকেলে রাজভবনের চা-চক্রে হাতেগোনা 30 জন উপস্থিত ছিলেন । দৈহিক দূরত্ব বজায় রেখেই বসেছিলেন তাঁরা । মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিকেল পাঁচটায় । মুখ্যমন্ত্রী তড়িঘড়ি রাজভবনে পৌঁছে গেলেন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । মুখ্যমন্ত্রী যদিওবা গেলেন প্রথা ভেঙে সকালবেলায় । তাঁর সঙ্গেই রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক এবং কলকাতার নগরপাল কেন গেলেন? প্রশ্ন সুজন চক্রবর্তীর । রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিক বলে কিছু নেই । সবটাই দলদাসে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি । তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ করে দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা সকলেই ভেক ধরা পার্টি । স্বাধীন মনোভাব এঁদের নেই । মুখ্যমন্ত্রীর তল্পিবাহক হয়ে নিয়ম ভেঙে সকালেই পৌঁছে গেলেন রাজভবনে । অথচ এঁদের নিমন্ত্রণ ছিল বিকেল পাঁচটার সময় ।"

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন । স্বাধীনতা দিবসের দিন তিনি আড্ডা মারতে রাজভবনে গেলেন সকালবেলায় । সামান্য সৌজন্যবোধটুকু তাঁর নেই । প্রতিবছর বিকেলের চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রী যান এটাই রীতি । এবছর তিনি বিরোধীদের এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই সকালবেলায় গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এলেন । আসলে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের ভয় পান । কোরোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি । রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে । বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে যদি মুখ্যমন্ত্রীকে বেকায়দায় পড়তে হয়, সেই ভেবেই নির্ধারিত সময়ে রাজভবনের চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রী এলেন না ।"

কলকাতা, 16 অগাস্ট : গতকাল রাজভবনের ঘটনায় প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে এরাজ্যে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক এবং কলকাতার নগরপাল বলে কেউ নেই । আজ এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হল রাজ্যের প্রধান দুই বিরোধী দল । স্বাধীনতা দিবসের দিন তো আড্ডা মারার দিন নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ বিরোধীদের । পূর্ব সূচিবদ্ধ চা-চক্রে রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রী না গিয়ে বিরূপ বার্তা দিলেন । মুখ্যমন্ত্রী কেবল রাজনীতি করতে শিখেছেন। সৌজন্যবোধ বিসর্জন দিয়েছেন । বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান।

রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথা ভেঙে তড়িঘড়ি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে আসেন । আদতে বিকেল পাঁচটার সময় রাজভবনের চা-চক্রে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব এবং বিশিষ্টজনেরা ।


লকডাউনের নিয়ম মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে গতকাল বিকেলে রাজভবনের চা-চক্রে হাতেগোনা 30 জন উপস্থিত ছিলেন । দৈহিক দূরত্ব বজায় রেখেই বসেছিলেন তাঁরা । মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিকেল পাঁচটায় । মুখ্যমন্ত্রী তড়িঘড়ি রাজভবনে পৌঁছে গেলেন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । মুখ্যমন্ত্রী যদিওবা গেলেন প্রথা ভেঙে সকালবেলায় । তাঁর সঙ্গেই রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক এবং কলকাতার নগরপাল কেন গেলেন? প্রশ্ন সুজন চক্রবর্তীর । রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিক বলে কিছু নেই । সবটাই দলদাসে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি । তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ করে দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা সকলেই ভেক ধরা পার্টি । স্বাধীন মনোভাব এঁদের নেই । মুখ্যমন্ত্রীর তল্পিবাহক হয়ে নিয়ম ভেঙে সকালেই পৌঁছে গেলেন রাজভবনে । অথচ এঁদের নিমন্ত্রণ ছিল বিকেল পাঁচটার সময় ।"

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন । স্বাধীনতা দিবসের দিন তিনি আড্ডা মারতে রাজভবনে গেলেন সকালবেলায় । সামান্য সৌজন্যবোধটুকু তাঁর নেই । প্রতিবছর বিকেলের চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রী যান এটাই রীতি । এবছর তিনি বিরোধীদের এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই সকালবেলায় গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এলেন । আসলে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের ভয় পান । কোরোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি । রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে । বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে যদি মুখ্যমন্ত্রীকে বেকায়দায় পড়তে হয়, সেই ভেবেই নির্ধারিত সময়ে রাজভবনের চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রী এলেন না ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.