ETV Bharat / city

অধিবেশন বসলেই আস্থা ভোটের পরিকল্পনা বিরোধীদের

বিরোধীদের প্রশ্ন, মিটিং-মিছিল, পরিবহণ ব্যবস্থা যখন স্বাভাবিক হয়েছে, তখন বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে আপত্তি কোথায়? নতুন বছরের সূচনাতেই অধিবেশন ডাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে তারা। বেশ কিছু জনস্বার্থ সংক্রান্ত ইশু রয়েছে, যেগুলি বিধানসভায় আলোচনা করার জরুরি বলে মনে করেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা।

opposition of west bengal wants vote confidence against tmc at assembly
বিধানসভার অধিবেশন বসলেই আস্থা ভোট চাইবে বিরোধীরা
author img

By

Published : Dec 26, 2020, 6:00 PM IST

Updated : Dec 26, 2020, 6:26 PM IST

কলকাতা, 26 ডিসেম্বর: বিধানসভার অধিবেশন বসানোর জন্য একাধিকবার কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কোরোনা পরিস্থিতির পর লকডাউন এবং আতঙ্কের জেরে বসানো যায়নি বিধানসভার অধিবেশন‌। অল্প কয়েকদিনের জন্য এই পরিস্থিতির মধ্যেও বিধানসভার অধিবেশন বসানো হয়েছিল। স্বল্পকালীন এই অধিবেশনে সন্তুষ্ট নয় বিরোধীরা। বিরোধীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে হবে।

বিরোধীদের প্রশ্ন, মিটিং-মিছিল, পরিবহণ ব্যবস্থা যখন স্বাভাবিক হয়েছে, তখন বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে আপত্তি কোথায়? নতুন বছরের সূচনাতেই অধিবেশন ডাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে তারা। বেশ কিছু জনস্বার্থ সংক্রান্ত ইশু রয়েছে, যেগুলি বিধানসভায় আলোচনা করার জরুরি বলে মনে করেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিধানসভার অধিবেশন বসলেই বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আস্থা ভোট চাওয়া হবে। অর্থাৎ শাসকদল তৃণমূলের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতার ওপর আস্থা ভোট হবে। শাসক দলের বিধায়কদের অবস্থান স্পষ্ট করতে আস্থা ভোট চাইবে তারা। বিরোধীরা জানিয়েছে, দাবি মানা না হলে অবস্থান-বিক্ষোভ করা হবে বিধানসভায়।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই রয়েছেন। তিনি বলেন, ''তৃণমূল থেকে বিজেপিতে বহু বিধায়ক চলে গিয়েছেন। আরও বেশকিছু বিধায়ক চলে যাবেন বিজেপিতে। এই অবস্থায় আমরা চাইছি, ভাঙা ঘরের তৃণমূলকে দেখতে। যে সময়ে কংগ্রেস থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে তৃণমূল শক্তিশালী হয়েছিল, এখন শাসকদলের বিধায়ক ভাঙানোর পর কী অবস্থায় রয়েছে তৃণমূল, তা আমরা দেখতে চাই। অধিবেশন শুরু হলেই স্পিকারের কাছে আস্থা ভোটের দাবি জানানো হবে।"

আরও পড়ুন: বর্ষশেষে আরও 2000 কোটি টাকা বাজার থেকে ঋণ করতে চলেছে রাজ্য

বামপন্থী দলের পক্ষ থেকে সুজন চক্রবর্তী জানান, আস্থা ভোট হলে সরকার বিপর্যস্ত হবে। তাই তাঁরা আস্থা ভোটের পক্ষে। তবে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই সরকারের ভঙ্গুর দশা হবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচন এবং তার আগে থেকেই শাসকদলের বিধায়কদের এবং সমর্থকদের দল ছাড়ার লাগাতার ঘটনার কথা উল্লেখ করে সুজন জানান, শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বোঝা উচিত তিনি আগুন নিয়ে খেলছিলেন। একসময় বিরোধীদের দল ভাঙিয়েছেন। আগুন নিয়ে খেলার পরে এখন তাঁর হাত পুড়ছে। তাঁর দল ভাঙছে। পশ্চিমবঙ্গে দল ভাঙানোর সংস্কৃতি শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের ভোটের সংখ্যা কমলেও দল দুটো টিকে যাবে। তৃণমূল ইতিহাস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কলকাতা, 26 ডিসেম্বর: বিধানসভার অধিবেশন বসানোর জন্য একাধিকবার কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কোরোনা পরিস্থিতির পর লকডাউন এবং আতঙ্কের জেরে বসানো যায়নি বিধানসভার অধিবেশন‌। অল্প কয়েকদিনের জন্য এই পরিস্থিতির মধ্যেও বিধানসভার অধিবেশন বসানো হয়েছিল। স্বল্পকালীন এই অধিবেশনে সন্তুষ্ট নয় বিরোধীরা। বিরোধীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে হবে।

বিরোধীদের প্রশ্ন, মিটিং-মিছিল, পরিবহণ ব্যবস্থা যখন স্বাভাবিক হয়েছে, তখন বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে আপত্তি কোথায়? নতুন বছরের সূচনাতেই অধিবেশন ডাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে তারা। বেশ কিছু জনস্বার্থ সংক্রান্ত ইশু রয়েছে, যেগুলি বিধানসভায় আলোচনা করার জরুরি বলে মনে করেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিধানসভার অধিবেশন বসলেই বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আস্থা ভোট চাওয়া হবে। অর্থাৎ শাসকদল তৃণমূলের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতার ওপর আস্থা ভোট হবে। শাসক দলের বিধায়কদের অবস্থান স্পষ্ট করতে আস্থা ভোট চাইবে তারা। বিরোধীরা জানিয়েছে, দাবি মানা না হলে অবস্থান-বিক্ষোভ করা হবে বিধানসভায়।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই রয়েছেন। তিনি বলেন, ''তৃণমূল থেকে বিজেপিতে বহু বিধায়ক চলে গিয়েছেন। আরও বেশকিছু বিধায়ক চলে যাবেন বিজেপিতে। এই অবস্থায় আমরা চাইছি, ভাঙা ঘরের তৃণমূলকে দেখতে। যে সময়ে কংগ্রেস থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে তৃণমূল শক্তিশালী হয়েছিল, এখন শাসকদলের বিধায়ক ভাঙানোর পর কী অবস্থায় রয়েছে তৃণমূল, তা আমরা দেখতে চাই। অধিবেশন শুরু হলেই স্পিকারের কাছে আস্থা ভোটের দাবি জানানো হবে।"

আরও পড়ুন: বর্ষশেষে আরও 2000 কোটি টাকা বাজার থেকে ঋণ করতে চলেছে রাজ্য

বামপন্থী দলের পক্ষ থেকে সুজন চক্রবর্তী জানান, আস্থা ভোট হলে সরকার বিপর্যস্ত হবে। তাই তাঁরা আস্থা ভোটের পক্ষে। তবে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই সরকারের ভঙ্গুর দশা হবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচন এবং তার আগে থেকেই শাসকদলের বিধায়কদের এবং সমর্থকদের দল ছাড়ার লাগাতার ঘটনার কথা উল্লেখ করে সুজন জানান, শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বোঝা উচিত তিনি আগুন নিয়ে খেলছিলেন। একসময় বিরোধীদের দল ভাঙিয়েছেন। আগুন নিয়ে খেলার পরে এখন তাঁর হাত পুড়ছে। তাঁর দল ভাঙছে। পশ্চিমবঙ্গে দল ভাঙানোর সংস্কৃতি শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের ভোটের সংখ্যা কমলেও দল দুটো টিকে যাবে। তৃণমূল ইতিহাস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Last Updated : Dec 26, 2020, 6:26 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.