ETV Bharat / city

দেশ বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় সরকার, অভিযোগ বিরোধী দলের - সোমেন মিত্র

কোরোনা সংক্রমণ ও তার জেরে বেহাল অর্থনীতির হাল ফেরাতে "আত্মনির্ভর ভারত অভিযান" নামে ২০ লাখ কোটি টাকার মেগা প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই আর্থিক ঘোষণাকে সমালোচনা করে এর পিছনে দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। অন্যদিকে CPI(M)-এর রাজ‍্য সম্পাদক সূর্য মিশ্র বলেন," প্রতিরক্ষায় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের সীমা বেড়ে হয়েছে 74 শতাংশ। আরও ছটি বিমানবন্দর বেসরকারি হাতে যাবে। আসলে কর্পোরেট সংস্থার কাছে দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্র করছে কেন্দ্রীয় সরকারের।"

CPI(M)
সূর্যকান্ত মিশ্র
author img

By

Published : May 17, 2020, 11:15 PM IST

কলকাতা,17 মে: মহাকাশ থেকে কয়লা খাদান সর্বত্র বেসরকারি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চতুর্থ দফায় দেশ বিক্রির কাজ চলছে ।এই অভিযোগ রাজ্যের বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের। কোরোনা সংক্রমণ ও তার জেরে বেহাল অর্থনীতির হাল ফেরাতে "আত্মনির্ভর ভারত অভিযান" নামে ২০ লাখ কোটি টাকার মেগা প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই আর্থিক ঘোষণাকে সমালোচনা করে এর পিছনে দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। অন্যদিকে CPI(M)-এর রাজ‍্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন," প্রতিরক্ষায় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের সীমা বেড়ে হয়েছে 74 শতাংশ। আরও ছটি বিমানবন্দর বেসরকারি হাতে যাবে। আসলে কর্পোরেট সংস্থার কাছে দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্র করছে কেন্দ্রীয় সরকারের।"

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, "বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে হবে সার্বিক বেসরকারিকরণ। কয়লা উত্তোলন এবং বিক্রিতে অবাধ ছাড় বেসরকারি সংস্থাকে। মহাকাশ গবেষণা এবং অভিযানেও বেসরকারি সংস্থার প্রবেশ অবাধ। আসল চেহারা বেরিয়ে আসছে, চতুর্থ দফায় গোটা দেশকেই কর্পোরেট পুঁজির হাতে বিক্রি করার পাকাপাকি ব্যবস্থা করলেন কেন্দ্রীয় সরকার।"

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন," সরকারি অনুমোদন ছাড়াই প্রতিরক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগ হতে পারবে 74 শতাংশ । এই সীমা এতদিন পর্যন্ত ছিল 49 শতাংশ। দেশের সরকারি অস্ত্র তৈরীর কারখানা গুলিকে কর্পোরেটে পরিণত করা হচ্ছে দেশের বড় বড় প্রতিরক্ষা উৎপাদক সংস্থা গুলিও এবার হয় পরিত্যক্ত বা বিদেশি সংস্থার ছোট শরিকে পরিণত হবে।"CPI(M)-এর রাজ্য সম্পাদক

সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "বিদ্যুৎ ক্ষেত্রেও বেসরকারিকরণের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও তা সরাসরি নয়। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে তুলনায় বিত্তবানদের উপরে বেশি মাশুল বসিয়ে নিম্নবিত্তের মাশুল কমানোর যে ক্রস সাবসিডি প্রথা চালু তা ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্যুৎ আইনের সংশোধনীর একটি নতুন খসড়া পেশ করেছে। সেখানেই এই পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলির জন্য মুনাফার আরো রাস্তা খুলে দিতেই এই পদক্ষেপ। কেন্দ্রশাসিত রাজ্য গুলিতে বিদ্যুৎ বণ্টন বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।"

কলকাতা,17 মে: মহাকাশ থেকে কয়লা খাদান সর্বত্র বেসরকারি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চতুর্থ দফায় দেশ বিক্রির কাজ চলছে ।এই অভিযোগ রাজ্যের বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের। কোরোনা সংক্রমণ ও তার জেরে বেহাল অর্থনীতির হাল ফেরাতে "আত্মনির্ভর ভারত অভিযান" নামে ২০ লাখ কোটি টাকার মেগা প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই আর্থিক ঘোষণাকে সমালোচনা করে এর পিছনে দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। অন্যদিকে CPI(M)-এর রাজ‍্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন," প্রতিরক্ষায় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের সীমা বেড়ে হয়েছে 74 শতাংশ। আরও ছটি বিমানবন্দর বেসরকারি হাতে যাবে। আসলে কর্পোরেট সংস্থার কাছে দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্র করছে কেন্দ্রীয় সরকারের।"

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, "বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে হবে সার্বিক বেসরকারিকরণ। কয়লা উত্তোলন এবং বিক্রিতে অবাধ ছাড় বেসরকারি সংস্থাকে। মহাকাশ গবেষণা এবং অভিযানেও বেসরকারি সংস্থার প্রবেশ অবাধ। আসল চেহারা বেরিয়ে আসছে, চতুর্থ দফায় গোটা দেশকেই কর্পোরেট পুঁজির হাতে বিক্রি করার পাকাপাকি ব্যবস্থা করলেন কেন্দ্রীয় সরকার।"

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন," সরকারি অনুমোদন ছাড়াই প্রতিরক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগ হতে পারবে 74 শতাংশ । এই সীমা এতদিন পর্যন্ত ছিল 49 শতাংশ। দেশের সরকারি অস্ত্র তৈরীর কারখানা গুলিকে কর্পোরেটে পরিণত করা হচ্ছে দেশের বড় বড় প্রতিরক্ষা উৎপাদক সংস্থা গুলিও এবার হয় পরিত্যক্ত বা বিদেশি সংস্থার ছোট শরিকে পরিণত হবে।"CPI(M)-এর রাজ্য সম্পাদক

সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "বিদ্যুৎ ক্ষেত্রেও বেসরকারিকরণের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও তা সরাসরি নয়। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে তুলনায় বিত্তবানদের উপরে বেশি মাশুল বসিয়ে নিম্নবিত্তের মাশুল কমানোর যে ক্রস সাবসিডি প্রথা চালু তা ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্যুৎ আইনের সংশোধনীর একটি নতুন খসড়া পেশ করেছে। সেখানেই এই পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলির জন্য মুনাফার আরো রাস্তা খুলে দিতেই এই পদক্ষেপ। কেন্দ্রশাসিত রাজ্য গুলিতে বিদ্যুৎ বণ্টন বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.