কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি : কেন্দ্রীয় সরকার নীতি এনেছে এক দেশ, এক রেশন কার্ড তৈরির । আরও অনেক বিষয়ের মতো এতে নিমরাজি রাজ্য সরকার । গুজরাট, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, হরিয়ানা, রাজস্থানের মত 12 টি রাজ্য ইতিমধ্যেই এক দেশ, এক রেশন কার্ড নীতি গ্রহণ করে কাজ শুরু করে দিয়েছে । তখন পশ্চিমবঙ্গ গ্রাহকদের বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে, এই নীতিতে পা মেলাতে রাজি হয়নি । সেই সূত্রে খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান এবার চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিকে সমর্থন জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর ।
জানা গেছে, আগামী জুন মাস থেকে এক দেশ, এক রেশন কার্ড নীতি চালু করতে চাইছে কেন্দ্র ৷ কিন্তু তাতে নিমরাজি এ রাজ্যের সরকার । কারণ জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন মোতাবেক কেবলমাত্র প্রায়োরিটি হাউজহোল্ডেই সস্তায় চাল, গম, দানাশস্য পাওয়া যায় । সেক্ষেত্রে মূলত BPL কার্ড হোল্ডারদের জন্য নেওয়া আছে বিশেষ ব্যবস্থা । রাজ্য সরকারের তরফে BPL তালিকাভুক্ত ছাড়াও রাজ্যের কয়েক লাখ গ্রাহককে দেওয়া হয় দু'টাকা কেজি দরে চালের মত পরিষেবা । কেন্দ্রের নীতি মানলে এই সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হবেন । এই কারণ দেখেই কেন্দ্রীয় নীতিতে যেতে চাইছে না রাজ্য সরকার । কিন্তু রাজ্যের এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক । তাদের পাল্টা দাবি এতে আখেরে সুবিধাই হবে রাজ্যবাসীর । এ রাজ্য থেকে অনেকেই ভিন রাজ্যে কাজের জন্য যায় । সেখানেও তারা রেশনের প্রাপ্য ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না । যদিও রাজ্য মনে করছে এতে স্টক মেন্টেন করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে ।
নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে লিখেছেন, ওয়ান নেশন, ওয়ান রেশন কার্ডের জন্য আলাদা করে কোনও কার্ড করতে হবে না । রাজ্যের দায়িত্ব কেবল আধারের সঙ্গে রেশন কার্ডের সংযোগ করা । NIC অর্থাৎ ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার গোটা দেশে এই কাজ করবে । প্রতিটি রেশন দোকানে থাকবে e-passbook মেশিন । সেখান ছোঁয়ালেই বোঝা যাবে কোথা থেকে কত রেশন তুলেছে গ্রাহক । রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রীকে কী উত্তর পাঠানো হয় সেটাই এখন দেখার ।