ETV Bharat / city

কোরোনা-আমফানের দাপটে এখনও প্রকাশিত হয়নি বেশিরভাগ পুজোসংখ্যা

লকডাউন এবং বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে আর্থিক মন্দার মুখে পড়েছে বই প্রকাশক ও বই বিক্রেতারা । দা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বাজারে পুজোসংখ্যা চলে আসে । কিন্তু এবছর কোরোনা আতঙ্ক সবকিছু গ্রাস করেছে । এবার লেখকদের মনের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাঁরা পুজোসংখ্যার কোনও লেখা ঠিক সময় পাঠাতে পারেননি ।"

author img

By

Published : Sep 26, 2020, 5:57 PM IST

puja special magazine
puja special magazine

কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর : লকডাউনের জেরে বিরাট আর্থিক ধাক্কার মুখে পড়েছে রাজ্যের বই বাজার । লকডাউনের পরে ধীরে ধীরে অনলাইনে শুরু হয় বই বিক্রি । এরই মাঝে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফান। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বই বিক্রেতাদের । বৃষ্টির জলে নষ্ট হয়ে যায় হাজার হাজার বই । চৌপাট হয়েছে ছোটো-বড় ব্যবসা । এখনও ফেরেনি বই পাড়ার হাল । আর্থিক মন্দার মুখে পড়েছে বই প্রকাশক ও বই বিক্রেতারা । পুজোসংখ্যার বাজারেও বড়সড় আর্থিক ধাক্কা এসেছে । বাজারে এখনও আসেনি বেশিরভাগ শারদীয়া পুজোসংখ্যা ।

দা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বাঙালিরা পুজোসংখ্যার জন্য প্রতিবছর অপেক্ষা করে থাকে । একটা বিরাট আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছে বাংলার বই জগৎ। শুধু এ রাজ্যেই নয়, বাংলা বইয়ের একটা বিশাল বাজার ছড়িয়ে রয়েছে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, ত্রিপুরা, অসম, শিলচরসহ আরও অন্যান্য জায়গায় । সাধারণত অন্যান্য বছরে মার্চ মাস থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোসংখ্যার কাজ । মার্চ ও এপ্রিল মাসের মধ্যেই লেখকরা তাঁদের লেখা পাঠিয়ে দেন । জুন মাস থেকে লেখা ছাপা শুরু হয়ে যায় । অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বাজারে পুজোসংখ্যা চলে আসে । কিন্তু এবছর কোরোনা আতঙ্ক সবকিছু গ্রাস করেছে । এবার লেখকদের মনের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাঁরা পুজোসংখ্যার কোনও লেখা ঠিক সময় পাঠাতে পারেননি ।"

পাশাপাশি এবার বিজ্ঞাপনের হালও বেশ খারাপ । পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক না হলেও পুজোসংখ্যার কাজ তো শুরু করতেই হবে । অনেক দেরি করে শুরু হয় । স্বাভাবিকভাবেই বাজারে অধিকাংশ পুজোসংখ্যা এখনও আসেনি । ত্রিদিববাবু বলেন, "ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে । আমরা এরই মধ্যে বহু অর্ডার পেয়েছি । এমনকী রাজ্যের বাইরে থেকেও অর্ডার এসেছে ।"

বই পাড়ার এক বই বিক্রেতা নিতাই দাস বলেন, "এ বছর যেহেতু মহালয়ার প্রায় এক মাস পর পুজো পড়েছে তাই বহু পুজোসংখ্যা এখনও বেরোয়নি । অন্যান্য বছরে মহালয়ার অনেক আগেই বেরিয়ে যায় সব বইগুলি । পাশাপাশি লকডাউনের ফলে বইগুলি ছাপার কাজ শেষ হয়ে আমাদের হাতে এসে পৌঁছতে বিস্তর সময় লেগেছে ।"

ছোটো-বড় বই ও ম্যাগাজিন মিলিয়ে প্রতিবছর বহু পুজোসংখ্যা প্রকাশ হয় । এবছরে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ পেয়েছে মোট পাঁচ থেকে ছয়টি পুজোসংখ্যার বই । বেশিরভাগ পুজোসংখ্যা এখনও প্রকাশিত হয়নি ।

আরেক বই বিক্রেতা অমর দাস বলেন, "অনেক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বড় প্রকাশনী সংস্থাগুলি সময়ের মধ্যেই তাঁদের পুজোসংখ্যা প্রকাশ করেছে । বাকি আরও কয়েকটি পুজো সংখ্যা দিন 15 পরে বাজারে আসবে । এবছরটা বাদ দিলে অন্যান্য বছরে পুজোর প্রায় 40 দিন আগেই বাজারে সব বই চলে আসে ।"

কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর : লকডাউনের জেরে বিরাট আর্থিক ধাক্কার মুখে পড়েছে রাজ্যের বই বাজার । লকডাউনের পরে ধীরে ধীরে অনলাইনে শুরু হয় বই বিক্রি । এরই মাঝে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফান। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বই বিক্রেতাদের । বৃষ্টির জলে নষ্ট হয়ে যায় হাজার হাজার বই । চৌপাট হয়েছে ছোটো-বড় ব্যবসা । এখনও ফেরেনি বই পাড়ার হাল । আর্থিক মন্দার মুখে পড়েছে বই প্রকাশক ও বই বিক্রেতারা । পুজোসংখ্যার বাজারেও বড়সড় আর্থিক ধাক্কা এসেছে । বাজারে এখনও আসেনি বেশিরভাগ শারদীয়া পুজোসংখ্যা ।

দা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বাঙালিরা পুজোসংখ্যার জন্য প্রতিবছর অপেক্ষা করে থাকে । একটা বিরাট আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছে বাংলার বই জগৎ। শুধু এ রাজ্যেই নয়, বাংলা বইয়ের একটা বিশাল বাজার ছড়িয়ে রয়েছে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, ত্রিপুরা, অসম, শিলচরসহ আরও অন্যান্য জায়গায় । সাধারণত অন্যান্য বছরে মার্চ মাস থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোসংখ্যার কাজ । মার্চ ও এপ্রিল মাসের মধ্যেই লেখকরা তাঁদের লেখা পাঠিয়ে দেন । জুন মাস থেকে লেখা ছাপা শুরু হয়ে যায় । অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বাজারে পুজোসংখ্যা চলে আসে । কিন্তু এবছর কোরোনা আতঙ্ক সবকিছু গ্রাস করেছে । এবার লেখকদের মনের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাঁরা পুজোসংখ্যার কোনও লেখা ঠিক সময় পাঠাতে পারেননি ।"

পাশাপাশি এবার বিজ্ঞাপনের হালও বেশ খারাপ । পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক না হলেও পুজোসংখ্যার কাজ তো শুরু করতেই হবে । অনেক দেরি করে শুরু হয় । স্বাভাবিকভাবেই বাজারে অধিকাংশ পুজোসংখ্যা এখনও আসেনি । ত্রিদিববাবু বলেন, "ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে । আমরা এরই মধ্যে বহু অর্ডার পেয়েছি । এমনকী রাজ্যের বাইরে থেকেও অর্ডার এসেছে ।"

বই পাড়ার এক বই বিক্রেতা নিতাই দাস বলেন, "এ বছর যেহেতু মহালয়ার প্রায় এক মাস পর পুজো পড়েছে তাই বহু পুজোসংখ্যা এখনও বেরোয়নি । অন্যান্য বছরে মহালয়ার অনেক আগেই বেরিয়ে যায় সব বইগুলি । পাশাপাশি লকডাউনের ফলে বইগুলি ছাপার কাজ শেষ হয়ে আমাদের হাতে এসে পৌঁছতে বিস্তর সময় লেগেছে ।"

ছোটো-বড় বই ও ম্যাগাজিন মিলিয়ে প্রতিবছর বহু পুজোসংখ্যা প্রকাশ হয় । এবছরে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ পেয়েছে মোট পাঁচ থেকে ছয়টি পুজোসংখ্যার বই । বেশিরভাগ পুজোসংখ্যা এখনও প্রকাশিত হয়নি ।

আরেক বই বিক্রেতা অমর দাস বলেন, "অনেক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বড় প্রকাশনী সংস্থাগুলি সময়ের মধ্যেই তাঁদের পুজোসংখ্যা প্রকাশ করেছে । বাকি আরও কয়েকটি পুজো সংখ্যা দিন 15 পরে বাজারে আসবে । এবছরটা বাদ দিলে অন্যান্য বছরে পুজোর প্রায় 40 দিন আগেই বাজারে সব বই চলে আসে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.