কলকাতা, ১০ মার্চ: দেশে নভেল কোরোনা ভাইরাস (COVID-19)-এ আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমে বেড়ে চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক একের পর এক ব্যবস্থা নেওযর কথা বলছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। দেশজুড়ে সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এ দিকে, ইতিমধ্যেই, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের বেডের সংখ্যা ৯২ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৬৩। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, আগামী দিনে যেমন প্রয়োজন দেখা দেবে, সেই মতো বাড়ানো হবে এই বেডের সংখ্যা। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। সতর্ক রয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
নভেল কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় এ রাজ্যে শুরুতে কলকাতার ইনফেকশাস ডিজিজেস অ্যান্ড বেলেঘাটা জেনারেল (ID&BG) হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করে স্বাস্থ্য দপ্তর। এর পরে, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অন্য আরও ১৪টি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর করার কথা বলে স্বাস্থ্য দপ্তর। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল এবং মহকুমা হাসপাতালে প্রয়োজনে যাতে দ্রুত আইসোলেশন করার ওয়ার্ড চালুর ব্যবস্থা করা যায়, তার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও প্রস্তুত থাকার কথাও বলা হয়। সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৬৩টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, "আমরা সতর্ক রয়েছি। প্রয়োজন অনুযায়ী আইসোলেশন ওয়ার্ডের বেডের সংখ্যা বাড়ানো হবে।" কলকাতা এবং বাগডোগরা বিমানবন্দর, বন্দর এবং, এ রাজ্যের সঙ্গে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগকারী সাতটি সীমান্তে আরও জোরদার নজরদারি রাখা হয়েছে। এই সব স্থানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ব্যবস্থায় কারও ক্ষেত্রে নভেল কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সন্দেহ দেখা দিলে, তাঁকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে। যাঁদেরকে হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন পড়ছে না, তাঁদেরকে হোম আইসোলেশনে রাখার কথা বলা হচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নভেল কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য বিভিন্ন ধাপে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
নভেল কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য প্রথমে সোয়াবের নমুনা পাঠানো হচ্ছিল পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে। এর পরে, কলকাতার বেলেঘাটায় অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এনটেরিক ডিজ়িজ়েস (NICED)-এ নমুনা পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, যেভাবে পরিস্থিতি বদলে চলেছে, তার জেরে, কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (IPGME&R) তথা SSKM হাসপাতালে COVID-19 নির্ণয়ের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। তবে, শুধুমাত্র IPGME&R-এ পরীক্ষার ব্যবস্থা নয়। COVID-19 নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহের জন্য এ রাজ্যে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
কোরোনা মোকাবিলায় সতর্ক রাজ্য, আইসোলেশন ওয়ার্ডে বাড়বে বেড
দেশে কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । রাজ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের বেডের সংখ্যা ৯২ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৬৩। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, আগামী দিনে যেমন প্রয়োজন দেখা দেবে, সেই মতো বাড়ানো হবে এই বেডের সংখ্যা। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।
কলকাতা, ১০ মার্চ: দেশে নভেল কোরোনা ভাইরাস (COVID-19)-এ আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমে বেড়ে চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক একের পর এক ব্যবস্থা নেওযর কথা বলছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। দেশজুড়ে সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এ দিকে, ইতিমধ্যেই, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের বেডের সংখ্যা ৯২ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৬৩। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, আগামী দিনে যেমন প্রয়োজন দেখা দেবে, সেই মতো বাড়ানো হবে এই বেডের সংখ্যা। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। সতর্ক রয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
নভেল কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় এ রাজ্যে শুরুতে কলকাতার ইনফেকশাস ডিজিজেস অ্যান্ড বেলেঘাটা জেনারেল (ID&BG) হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করে স্বাস্থ্য দপ্তর। এর পরে, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অন্য আরও ১৪টি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর করার কথা বলে স্বাস্থ্য দপ্তর। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল এবং মহকুমা হাসপাতালে প্রয়োজনে যাতে দ্রুত আইসোলেশন করার ওয়ার্ড চালুর ব্যবস্থা করা যায়, তার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও প্রস্তুত থাকার কথাও বলা হয়। সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৬৩টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, "আমরা সতর্ক রয়েছি। প্রয়োজন অনুযায়ী আইসোলেশন ওয়ার্ডের বেডের সংখ্যা বাড়ানো হবে।" কলকাতা এবং বাগডোগরা বিমানবন্দর, বন্দর এবং, এ রাজ্যের সঙ্গে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগকারী সাতটি সীমান্তে আরও জোরদার নজরদারি রাখা হয়েছে। এই সব স্থানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ব্যবস্থায় কারও ক্ষেত্রে নভেল কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সন্দেহ দেখা দিলে, তাঁকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে। যাঁদেরকে হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন পড়ছে না, তাঁদেরকে হোম আইসোলেশনে রাখার কথা বলা হচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নভেল কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য বিভিন্ন ধাপে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
নভেল কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য প্রথমে সোয়াবের নমুনা পাঠানো হচ্ছিল পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে। এর পরে, কলকাতার বেলেঘাটায় অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এনটেরিক ডিজ়িজ়েস (NICED)-এ নমুনা পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, যেভাবে পরিস্থিতি বদলে চলেছে, তার জেরে, কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (IPGME&R) তথা SSKM হাসপাতালে COVID-19 নির্ণয়ের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। তবে, শুধুমাত্র IPGME&R-এ পরীক্ষার ব্যবস্থা নয়। COVID-19 নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহের জন্য এ রাজ্যে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।