কলকাতা, 26 অক্টোবর: এবার থেকে মাস্ক ছাড়া বাজারে গেলে যেতে হতে পারে শ্রীঘরে। বাজারে ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলকেই ব্যবহার করতে হবে মাস্ক। শহরের সব বাজার, শপিংমল থেকে দোকানেও 'মাস্ক নো এন্ট্রি' বাধ্যতামূলক করা হল আজ থেকে। এমনই কড়াকড়ি পদক্ষেপ শুরু হতে চলেছে আগামিকাল থেকে। এদিন কলকাতা পৌরনিগমের সদর দফতরে কলকাতা পুলিশের উচ্চআধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক। উৎসবের মরসুমে ইতিমধ্যেই করোনার বাড়বাড়ন্ত দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। করোনার বিধিনিষেধকে তোয়াক্কা না করেই মানুষের অবাধ বিচরণের ফলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পৌরনিগম। বাজারগুলিতে ফের পুলিশি নজরদারি শুরু হচ্ছে।
বাজারে সবজি বিক্রেতা থেকে মাছ বিক্রেতা অথবা বড় রাস্তার ধারে যে হকাররা বা দোকানদাররা রয়েছেন, তাঁদের সকলেরই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। একইভাবে ক্রেতারা যাঁরা বাজারে আসবেন, তাঁদের সকলকেই মাস্ক পরতে হবে। ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই যাতে 100 শতাংশ মাস্ক পরেন সে বিষয়ে নজর রাখবে কলকাতা পুলিশ। রাস্তার ধারে বা বাজারের বাইরে যেসব হকাররা সামগ্রী নিয়ে বসবেন তাঁরা যদি মাস্ক না পরেন তাঁদের বসতে দেওয়া হবে না। কোনও ক্রেতা যদি মাস্ক ছাড়া দোকানে আসেন তাঁকে সামগ্রী বিক্রিও করা হবে না। কলকাতা পুরসভার বাজার-সহ শহরে যতগুলি বাজার আছে সবকটি বাজারে আগামীকাল থেকে চালু হচ্ছে এই কড়া নজরদারি।
আরও পড়ুন: সোনারপুরে 3 দিন কার্যত লকডাউন, কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের
কলকাতা পৌরনিগম প্রত্যেকটি বাজার কমিটিকে নোটিশ পাঠাতে শুরু করে দিয়েছে। বাজারের বাইরে নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশ।করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও এখনই কনটেনমেন্ট জোন তৈরিতে নারাজ কলকাতা পৌরনিগম। দুর্গাপুজোর পর এই শহরে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বরো 10,11 ও 12 তে করোনা সংক্রমণ সবথেকে বেশি। তাই এই বরোগুলিতে মাইক্রো কনটেনমেন্ট শুরু করা হচ্ছে।