ETV Bharat / city

MHRD, UGC থেকে চিঠি আসেনি, সোশাল মিডিয়ায় বিবৃতি শিক্ষামন্ত্রীর - শিক্ষাবর্ষ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বিবৃতি শিক্ষামন্ত্রী

অনেকেই মনে করছিলেন, সেপ্টেম্বরে নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু করার গাইডলাইন দিয়েছে UGC। MHRD বা UGC তেমন কোনও গাইডলাইন দেয়নি বলেই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী।

statement by education minister
শিক্ষামন্ত্রী
author img

By

Published : Apr 26, 2020, 5:19 PM IST

কলকাতা, 26 এপ্রিল: মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (MHRD) ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) তরফ থেকে কোনও চিঠি আসেনি রাজ্য সরকারের কাছে। আজ ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাবর্ষ জুলাই মাসের পরিবর্তে সেপ্টেম্বরে চালু হোক, এমনই সুপারিশ করেছে UGC দ্বারা গঠিত সাত সদস্যের কমিটি। আর সেই সংবাদেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে রাজ্যের শিক্ষা মহলে। অনেকেই মনে করছেন, সেপ্টেম্বরেই হয়তো নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু করার গাইডলাইন দিয়েছে UGC। সেই বিভ্রান্তি দূর করতেই আজ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই বিবৃতি জারি করলেন

পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ ফেসবুক বিবৃতিতে লেখেন, "আমাদের কাছে MHRD থেকে কোনও চিঠি আসেনি। UGC-র তরফ থেকেও কোনও চিঠি আসেনি। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কতগুলি পরামর্শ সরকারকে দিয়েছে। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছাত্র সমাজের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নেবে, যা শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে, তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও কোনও সংবাদ মাধ্যমে এই বিষয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে কেউ যেন বিভ্রান্তি না হন। শিক্ষা দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে চলেছে।"

কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই পরিস্থিতিতে দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার ও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সুপারিশ করার জন্য সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এ ছাড়া, অনলাইন শিক্ষা দেখার জন্য আরও একটি কমিটি গঠন করেছিল UGC। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠিত কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশের আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, শুধুমাত্র চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা হবে। বাকি সিমেস্টারগুলি একটি করে এগিয়ে যাবে। যেখানে UGC সিমেস্টার পরীক্ষা ও অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের বিষয়গুলি দেখার জন্য কমিটি গঠন করেছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় বিতর্ক সৃষ্টি হয় উচ্চশিক্ষা মহলে। কারও মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করছেন মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী। আবার কারও মতে, যেখানে UGC সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে এই বিষয়গুলির উপর সুপারিশ করার জন্যে, সেখানে তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৈরি গাইডলাইন অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। গোটা বিষয়টি ঘিরে শিক্ষা ক্ষেত্রেও রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়।

এদিকে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দেয়, তাঁরা UGC, AICTE, NCTE-র মতো নীতি নির্ধারণকারী সংস্থার গাইডলাইন বা পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করবে। গাইডলাইন বা পরামর্শ আসার পরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনাক্রমেই সিদ্ধান্ত নেবে তাঁরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তরফ থেকে রাজ্য তথা দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ই-মেল করে জানানো হয়েছিল, কোরোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত নিয়ে একটি গাইডলাইন বা নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই চিঠিকে কেন্দ্র করেও অব্যাহত রাজ্য-কেন্দ্র তরজা। UGC-র পাঠানো সেই চিঠির প্রেক্ষিতে পাল্টা চিঠিও পাঠায় পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সচিব মণীশ জৈনের তরফ থেকে UGC-র সচিব রজনীশ জৈনকে চিঠি পাঠিয়ে দাবি জানানো হয়েছিল, বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টের উপর সব রাজ্যের মতামত নেওয়া হোক। এমনকী, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে রিপোর্টের উপর কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় আদর্শ-বিরোধী বলেও লেখা হয়েছিল চিঠিতে।

এরপর গত 24 এপ্রিল দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটিই তাদের রিপোর্ট পেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে। তারপরই জানা যায়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাবর্ষ জুলাই মাসের পরিবর্তে সেপ্টেম্বর মাস থেকে চালু করা হোক। পরীক্ষা নেওয়া হোক জুলাই মাসে। এমনই সুপারিশ করেছে সাত সদস্যের কমিটি। অনলাইন পঠন-পাঠন খতিয়ে দেখার দায়িত্বে থাকা কমিটি সুপারিশ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিকাঠামো থাকলে অনলাইন পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারে। না থাকলে লকডাউন ওঠার পরে পূর্ববর্তী ব্যবস্থায় পরীক্ষা নিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, দুটি কমিটির পেশ করা রিপোর্ট নিয়ে UGC কমিশনের বৈঠকে আলোচনা হবে। রিপোর্টের সুপারিশ খতিয়ে দেখে আগামী সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিকে গাইডলাইন বা পরামর্শ দেওয়া হবে বর্তমান ও নতুন শিক্ষাবর্ষ নিয়ে।

এদিকে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত থাকলেও এক্সপার্ট কমিটির রিপোর্ট নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে যে সব লেখা হচ্ছে তাতে পড়ুয়ারা বিভ্রান্ত হতে পারেন। এই আশঙ্কা থেকে শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

কলকাতা, 26 এপ্রিল: মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (MHRD) ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) তরফ থেকে কোনও চিঠি আসেনি রাজ্য সরকারের কাছে। আজ ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাবর্ষ জুলাই মাসের পরিবর্তে সেপ্টেম্বরে চালু হোক, এমনই সুপারিশ করেছে UGC দ্বারা গঠিত সাত সদস্যের কমিটি। আর সেই সংবাদেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে রাজ্যের শিক্ষা মহলে। অনেকেই মনে করছেন, সেপ্টেম্বরেই হয়তো নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু করার গাইডলাইন দিয়েছে UGC। সেই বিভ্রান্তি দূর করতেই আজ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই বিবৃতি জারি করলেন

পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ ফেসবুক বিবৃতিতে লেখেন, "আমাদের কাছে MHRD থেকে কোনও চিঠি আসেনি। UGC-র তরফ থেকেও কোনও চিঠি আসেনি। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কতগুলি পরামর্শ সরকারকে দিয়েছে। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছাত্র সমাজের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নেবে, যা শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে, তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও কোনও সংবাদ মাধ্যমে এই বিষয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে কেউ যেন বিভ্রান্তি না হন। শিক্ষা দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে চলেছে।"

কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই পরিস্থিতিতে দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার ও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সুপারিশ করার জন্য সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এ ছাড়া, অনলাইন শিক্ষা দেখার জন্য আরও একটি কমিটি গঠন করেছিল UGC। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠিত কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশের আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, শুধুমাত্র চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা হবে। বাকি সিমেস্টারগুলি একটি করে এগিয়ে যাবে। যেখানে UGC সিমেস্টার পরীক্ষা ও অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের বিষয়গুলি দেখার জন্য কমিটি গঠন করেছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় বিতর্ক সৃষ্টি হয় উচ্চশিক্ষা মহলে। কারও মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করছেন মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী। আবার কারও মতে, যেখানে UGC সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে এই বিষয়গুলির উপর সুপারিশ করার জন্যে, সেখানে তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৈরি গাইডলাইন অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। গোটা বিষয়টি ঘিরে শিক্ষা ক্ষেত্রেও রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়।

এদিকে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দেয়, তাঁরা UGC, AICTE, NCTE-র মতো নীতি নির্ধারণকারী সংস্থার গাইডলাইন বা পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করবে। গাইডলাইন বা পরামর্শ আসার পরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনাক্রমেই সিদ্ধান্ত নেবে তাঁরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তরফ থেকে রাজ্য তথা দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ই-মেল করে জানানো হয়েছিল, কোরোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত নিয়ে একটি গাইডলাইন বা নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই চিঠিকে কেন্দ্র করেও অব্যাহত রাজ্য-কেন্দ্র তরজা। UGC-র পাঠানো সেই চিঠির প্রেক্ষিতে পাল্টা চিঠিও পাঠায় পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সচিব মণীশ জৈনের তরফ থেকে UGC-র সচিব রজনীশ জৈনকে চিঠি পাঠিয়ে দাবি জানানো হয়েছিল, বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টের উপর সব রাজ্যের মতামত নেওয়া হোক। এমনকী, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে রিপোর্টের উপর কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় আদর্শ-বিরোধী বলেও লেখা হয়েছিল চিঠিতে।

এরপর গত 24 এপ্রিল দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটিই তাদের রিপোর্ট পেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে। তারপরই জানা যায়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাবর্ষ জুলাই মাসের পরিবর্তে সেপ্টেম্বর মাস থেকে চালু করা হোক। পরীক্ষা নেওয়া হোক জুলাই মাসে। এমনই সুপারিশ করেছে সাত সদস্যের কমিটি। অনলাইন পঠন-পাঠন খতিয়ে দেখার দায়িত্বে থাকা কমিটি সুপারিশ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিকাঠামো থাকলে অনলাইন পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারে। না থাকলে লকডাউন ওঠার পরে পূর্ববর্তী ব্যবস্থায় পরীক্ষা নিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, দুটি কমিটির পেশ করা রিপোর্ট নিয়ে UGC কমিশনের বৈঠকে আলোচনা হবে। রিপোর্টের সুপারিশ খতিয়ে দেখে আগামী সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিকে গাইডলাইন বা পরামর্শ দেওয়া হবে বর্তমান ও নতুন শিক্ষাবর্ষ নিয়ে।

এদিকে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত থাকলেও এক্সপার্ট কমিটির রিপোর্ট নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে যে সব লেখা হচ্ছে তাতে পড়ুয়ারা বিভ্রান্ত হতে পারেন। এই আশঙ্কা থেকে শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.