নিমতা, 18 অক্টোবর : নবমীর রাতে দেবাঞ্জনের উপর চলে দুই রাউন্ড গুলি ! এই তথ্যই সম্প্রতি এসেছে পুলিশের হাতে ৷ ব্যারাকপুর কমিশনারেটর গোয়েন্দা শাখা এবং নিমতা থানার পুলিশ গতরাতে জিজ্ঞাসাবাদ করে মেঘাকে (নাম পরিবর্তিত ) ৷ জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে আরও কিছু অজানা তথ্য !
সেই রাতে দেবাঞ্জনের সঙ্গেই ছিল মেঘা (নাম পরিবর্তিত ) ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন নিজের লোকেশন ৷ কোথায় ছিলেন তাঁরা? তা দেখে সহজেই বুঝতে পারে দুষ্কৃতীরা ৷ প্রায় 15 জন ছিল৷ সুপারি কিলারদের সাহায্য নিয়েই করা হয় দেবাঞ্জনের খুন ৷ 7 MM গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল ৷ পুজোর ভিড়েই মিশেছিল আততায়ীরা ৷
ফরেনসিক পরীক্ষা হয় দেবাঞ্জনের গাড়ির ৷ কত দূর থেকে গুলি করা হয়েছে ? কী ভাবে ঘটেছে দুর্ঘটনাটি ? তা পরীক্ষা করে দেখন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ৷ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানান কিছু নমুনা সংগ্রহ হয়েছে । সেইগুলি ল্যাবটারিতে পাঠানো হবে । ফাইনাল রিপোর্ট এলে খুনের ঘটনাটি আরও স্পষ্ট হবে । পাওয়া গেছে গুলির নমুনাও ৷
নবমীর রাতে ঠাকুর দেখে দেবাঞ্জন বান্ধবীকে ছাড়তে গেছিল উত্তর 24 পরগনার নিমতা এলাকায় । দশমীর ভোরে তাঁর দেহ বিরাটি রেলগেটের সামনে একটি গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় । প্রাথমিকভাবে পরিবারের সকলে বিষয়টিকে দুর্ঘটনা হিসেবে মেনে নিলেও দেবাঞ্জনের বাবা অরুণ দাস ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে থাকেন । সন্দেহ হওয়ায় ঘটনার তিনদিন পর তিনি নিমতা থানার সামনে গাড়িটি দেখতে যান । গাড়ির ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা-খুঁজি করতে গিয়ে সিটের তলা থেকে বুলেটের ভাঙা অংশ মেলে । তারপরই নিমতা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করতে যান অরুণবাবু । এই ঘটনার পর মূল অভিযুক্ত প্রিন্স সিং পলাতক । তাকে ধরতে গতকাল তল্লাশি চালানো হয় । প্রিন্সকে ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ ।