কলকাতা, 12 জুন : নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে নিহত দুই গ্য়াংস্টারের ফ্ল্য়াটে নিয়মিত আনাগোনা ছিল তৃতীয় কোনও ব্যক্তির ৷ ফরেনসিক রিপোর্টে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য ৷ সূত্রের খবর, শুটআউটের পর ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ৷ তবে তৃতীয় সেই ব্য়ক্তির পরিচয় কী, কেনই বা তিনি সাপুরজির ফ্ল্যাটে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন, তার সদুত্তর মেলেনি ৷
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, শুটআউটের সময় গুলি চলেছিল দুই তরফেই ৷ অর্থাৎ রাজ্য় পুলিশের এসটিএফ গোয়েন্দাদের ছোড়া গুলির জবাব দিয়েছিল দুই গ্য়াংস্টারও ৷ কিন্তু কোন পক্ষ আগে গুলি চালিয়েছিল, সেটা এখনও স্পষ্ট নয় ৷ মোট কত রাউন্ড গুলি চলেছিল, জানা যায়নি তাও ৷ তবে নিহতদের শরীরের একাধিক ক্ষত দেখে বোঝা গিয়েছে, বহু গুলি তাদের এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছিল ৷
ইতিমধ্যেই নিউটাউন শুটআউটে নিহত দুই গ্য়াংস্টারের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ৷ সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের ডিএনএ-র নমুনা ৷ তবে তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও ঢের বাকি বলেই মত সূত্রের ৷ ঘটনাস্থল থেকে রক্তের নমুনা ছাড়াও অন্যান্য় বহু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ আপাতত সেই সবকিছুই গোয়েন্দাদের তদন্তের চাবিকাঠি ৷
আরও পড়ুন : পাড়া ভেঙে আবাসন, বদলে যাওয়া বাঙালির লাইফ স্টাইলেই জয়পালরা বহাল তবিয়তে
গোয়েন্দারা জানতে চাইছেন, রোজের প্রয়োজনের জিনিস সংগ্রহ করতে কী ব্যবস্থা করেছিল দুষ্কৃতীরা ? কেন তাদের আচরণে কারও কোনও সন্দেহ হয়নি ? তাদের কি এলাকার কেউ কোনওভাবে সাহায্য করছিল ? সাহায্যকারী কি তৃতীয় সেই ব্যক্তি ? যার আঙুলের ছাপ খুঁজে পেয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ? তাছাড়া, দুষ্কৃতীরা পুলিশের উপর গুলি চালাতে যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিল, সেগুলোই বা তারা কোথা থেকে সংগ্রহ করেছিল ? সেগুলো কোথাকার তৈরি ? আপাতত এই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ ৷