কলকাতা, 7 ডিসেম্বর : বিধায়ক তহবিলের টাকায় নতুন অ্যাম্বুলেন্স কেনা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় যে বিধায়ক তহবিলের অর্থে কেনা অ্যাম্বুলেন্সগুলি ছিল সেগুলির বয়স হয়ে গিয়েছে প্রায় 15-20 বছর। অধিকাংশ অ্যাম্বুলেন্সের যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় বসে গিয়েছে গাড়িগুলি। ভ্রাম্যমাণ এই চিকিৎসা পরিষেবার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা জানতে চেয়ে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাত পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান বিভাগের মন্ত্রী তাপস রায়কে প্রশ্ন করেন । তবে মন্ত্রীর উত্তরে সন্তুষ্ট নন নেপাল মাহাত ।
২৯৪ জন বিধায়কের বিধানসভা কেন্দ্রে এলাকার উন্নয়নের তদারকি করে পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান বিভাগ । এই দপ্তর ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা পরিষেবার জন্য মোবাইল অ্যাম্বুলেন্স কেনার অর্থও বরাদ্দ করে । কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিধায়ক তহবিলের অর্থে কেনা অ্যাম্বুলেন্সগুলি বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিধায়করা নতুন অ্যাম্বুলেন্স কেনার অর্থ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার বিষয়টি বিধানসভায় উপস্থাপিত করেছেন । তাঁদের দাবি, বিকল হয়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সগুলি বিক্রি করে সেই অর্থের সঙ্গে সরকারি সাহায্য মিলিয়ে এলাকায় এলাকায় নতুন অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হোক।
বিধানসভায় তোলা বিধায়কদের দাবির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাত জানিয়েছেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলি যদি নিলাম করে বিক্রি করা যেত তাহলে সরকারের আয় হত। তিনি আরও বলেন ,"রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধায়ক এলাকায় উন্নয়নের একটা গাইডলাইন রয়েছে। সেই অনুযায়ী এলাকা উন্নয়ন খাতে টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সগুলি বিকল হয়ে গেলে বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে পড়লে তখন তার ভবিষ্যৎ কী সে বিষয়ে গাইডলাইনে কিছু বলা নেই। 10 বা 15 বছর পর দেখা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট এলাকার অ্যাম্বুলেন্সটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে । মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারছ না ।" নেপালবাবু জানান, এই বিষয়ে তিনি এলাকার জেলাশাসকের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন ৷ কিন্তু ইতিবাচক উত্তর পাননি ৷