কলকাতা, 5 জুন: 500 বছরের ইতিহাস । পর্তুগিজদের ঐতিহ্য । সবই এখনও ছড়িয়ে রয়েছে আমাদের এই বাংলায় । এর অনেক কিছুই হয়তো প্রকাশিত । অনেক কিছুই ক্রমে হারিয়ে যেতে বসেছে কালের অতলে । নবান্নের তরফে চেষ্টা করা হচ্ছে এমনই কিছু হারিয়ে যেতে বসা শিল্প সামগ্রীকে বাঁচিয়ে রাখার । এই তালিকায় নাম রয়েছে ব্যান্ডেলের হারিয়ে যেতে বসা পর্তুগিজ চিজের (Bandel Cheese)। এই বিলুপ্তপ্রায় স্বাদ আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ।
ভিনদেশি পর্তুগিজরা চলে গেলেও আমাদের উপহার দিয়ে গিয়েছে পর্যটক আকর্ষণের ব্যান্ডেল ব্যাসিলিকা অর্থাৎ গির্জা, তেমনই তারা রসনাপ্রিয় বাঙালিকে উপহার দিয়ে গিয়েছে ‘ব্যান্ডেল চিজ’। একসময়ে গোটা এশিয়া জুড়ে ব্যান্ডেল চিজের সুখ্যাতি ছিল । তবে এখন সেই চিজ বিলুপ্তির পথে । রাজ্যের হাতে গোনা কয়েকটি দোকান ছাড়া এই চিজ অমিল । কলকাতার হগ মার্কেটের মাত্র এক-দুটি দোকানে এই পর্তুগিজ চিজ এখনও পাওয়া যায় ঠিকই তবে তা আসে সেই ব্যান্ডেল থেকেই (Nabanna takes initiative to revive Bandel Cheese)।
এখন হুগলি ও বাঁকুড়া জেলার হাতে মাত্র কয়েকটি পরিবার ব্যান্ডেল চিজ তৈরির সঙ্গে যুক্ত । সেটাই পাওয়া যায় নিউ মার্কেটের কয়েকটি দোকানে । তবে এর চাহিদা রয়েছে সারা বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই । এই কথা জানতে পেরে চিজ তৈরির এই শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন । ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে কিছু বিনিয়োগকারী জোগাড় করে এই বিরল চিজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: Education Commissioner : নয়া শিক্ষা কমিশনার নিয়োগ, বিতর্কে নবান্ন
যেহেতু দেশজুড়ে এর চাহিদা রয়েছে, তাই প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও ভাবছে রাজ্য সরকার । নবান্নের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা লুপ্তপ্রায় খাবারের শিল্পগুলি বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । অবশ্যই এর মধ্যে একটি ব্যান্ডেল চিজ । অতীতে যথেষ্ট চাহিদা ছিল । কিন্তু এখন এগুলি হারিয়ে যেতে বসেছে । আমরা চাইছি, এই ব্যান্ডেল চিজ নিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে উৎপাদনে আগ্রহী করে তুলতে ।"
আগামী 10 জুন এই নিয়ে একটি অনুষ্ঠান রয়েছে হুগলির রবীন্দ্রভবনে । মোটের উপর এই ব্যান্ডেল চিজ উৎপাদন বাড়ানো গেলে বহু সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে বলে মনে করছে নবান্ন (Nabanna takes initiative to revive 500 years old Bandel Cheese)।