ETV Bharat / city

“বিচার মানি না", বলেই বিচারকক্ষে জুতো IS জঙ্গি মুসার - জুতো IS জঙ্গি মুসার

আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় IS জঙ্গি মুসাকে । শুনানি চলাকালীন বিচারকক্ষেই জুতো ছুড়ে সে ।

IS terrorist Musa throws shoe at courtroom
বিচার কক্ষে জুতো IS জঙ্গি মুসার
author img

By

Published : Feb 4, 2020, 3:29 PM IST

Updated : Feb 4, 2020, 10:56 PM IST

কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি : গ্রেপ্তারের পর সংশোধনাগারে একাধিকবার কারারক্ষীর উপর হামলা চালিয়েছে সে ৷ এবার শুনানি চলাকালীন আদালত কক্ষে জুতো ছুড়ল IS জঙ্গি মহম্মদ মসিউদ্দিন ওরফে মুসা ৷ তার লক্ষ্য আইনজীবীরা ছিলেন না কি বিচারক, তা বোঝা যায়নি । তবে জুতো ছোড়ার আগে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমার বিচার করার ক্ষমতা বিচারকের নেই । এই বিচার আমি মানি না ।"

বিচারক প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের এজলাসে আজ মামলার শুনানি শুরু হয় । প্রত্যক্ষদর্শী উপস্থিত আইনজীবীরা জানান, দুপুর সাড়ে বারোটায় মুসা কোর্ট লক আপ থেকে বলে, সে বিচারককে কিছু বলতে চায় । বিচারক অনুমতি দেন ৷ ভরা এজলাসে অন্য মামলার আইনজীবীরা সেসময়ে উপস্থিত ছিলেন । এরপরই নিজের বক্তব্য শেষ করে জুতো ছুড়ে মুসা ৷ ঘটনার পর বিচারক এজলাস ছেড়ে নেমে যান ৷

2016 সালের জুলাইয়ে CID-র হাতে গ্রেপ্তার হয় মুসা । প্রথমে তাকে রাখা হয়েছিল আলিপুর জেলে । 2017 সালের ডিসেম্বরে সে ঘটায় প্রথম বড় ঘটনা । চামচ ঘষে ছুরি বানিয়ে বন্দী গণনার সময় আচমকা ওয়ার্ডেন গোবিন্দকুমার দে'কে গলায় আঘাত করে । তার আগে সে পাথর দিয়ে মেরে ওই ওয়ার্ডেনের মাথা ফাটিয়ে দেয় । পরে চামচ ছুরি দিয়ে গোবিন্দবাবুর গলার নলি কাটার চেষ্টা করে । ঘটনায় গুরুতর আহত হন ওই ওয়ার্ডেন । সঠিক সময়ে অন্য কারারক্ষীরা এসে না পড়লে প্রাণহানি হতে পারত তাঁর ।

পরের ঘটনা গতমাসের । 4 জানুয়ারি জেলের কুঠুরি থেকে বের করে খোলা চত্বরে হাঁটাচলার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাকে । হঠাৎই পাশে থাকা একটি কলের পাইপ ভেঙে নিয়ে কারারক্ষীর মাথায় আঘাত করে মুসা । ঘটনা প্রেসিডেন্সি জেলের । আপাতত সেখানেই রাখা হয়েছে ওই জঙ্গিকে । ঘটনায় কমল কর্মকার নামে ওই কারাকর্মী গুরুতর জখম হন । তাঁর মাথা ফেটে যায় ।

খাগড়াগড়কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে CID । এমনিতেই জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া বা জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ আলকায়দাপন্থী । খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সময় জামাতুল মুজাহিদিনের সঙ্গেই জঙ্গি কাজকর্ম চালাত সে । পরে তাদের একটি দল তৈরি করে নব্য জামাত । তারা IS পন্থী । এই দলটি বিশ্বাস করে সংগঠন গড়ে ধীরে সুস্থে কোনও কাজ হবে না । যা করতে হবে এখনই করতে হবে । বাংলাদেশ নব্য জামাতের নাশকতা অনেকটাই বেশি । হলি আর্টিজান মামলায় দায়ি ছিল এই জঙ্গি সংগঠন । এই সংগঠনে যেমন নাম লিখেছিল হাত কাটা নাসিরুল্লাহ, তেমনভাবেই তাদের সঙ্গে ছিল মুসা । বাংলাদেশ পুলিশের অ্যান্টি ক্রাইম এবং অ্যান্টি টেরোরিজ়ম ইউনিট RAB (ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন) মনে করে, মুসা কোনওকালেই জামাতুল মুজাহিদিনের লোক ছিল না । আগাগোড়াই সে কাজ করত ভারতের মাটিতে বসে । সেই সূত্রে মনে করা হয় নব্য জামাত তৈরির মূল মাথাদের অন্যতম এই মুসা । এহেন মুসাকে গ্রেপ্তারের পর প্রচুর তথ্য পান গোয়েন্দারা । জানা যায়, দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বীরভূমের কীর্ণাহারের বাড়ির কাছে এক বিত্তশালী পরিবারকে সপরিবারে হত্যার ছক কষেছিল সে ।

মুসাকে আজ তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে । আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী শ্যামল ঘোষ । তিনি বলেন, “হঠাৎই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মুসা । চিৎকার করে বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার কথা জানাতে থাকে । বলে বিচার মানি না । মানি শুধু আল্লাহর পথ । শরিয়ত আইন । আমার বিচার করার ক্ষমতা শুধু আল্লাহর আছে । তারপরই জুতো ছুড়ে মারে।" এই ঘটনার পর বাড়ানো হয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালতের নিরাপত্তা ।

কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি : গ্রেপ্তারের পর সংশোধনাগারে একাধিকবার কারারক্ষীর উপর হামলা চালিয়েছে সে ৷ এবার শুনানি চলাকালীন আদালত কক্ষে জুতো ছুড়ল IS জঙ্গি মহম্মদ মসিউদ্দিন ওরফে মুসা ৷ তার লক্ষ্য আইনজীবীরা ছিলেন না কি বিচারক, তা বোঝা যায়নি । তবে জুতো ছোড়ার আগে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমার বিচার করার ক্ষমতা বিচারকের নেই । এই বিচার আমি মানি না ।"

বিচারক প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের এজলাসে আজ মামলার শুনানি শুরু হয় । প্রত্যক্ষদর্শী উপস্থিত আইনজীবীরা জানান, দুপুর সাড়ে বারোটায় মুসা কোর্ট লক আপ থেকে বলে, সে বিচারককে কিছু বলতে চায় । বিচারক অনুমতি দেন ৷ ভরা এজলাসে অন্য মামলার আইনজীবীরা সেসময়ে উপস্থিত ছিলেন । এরপরই নিজের বক্তব্য শেষ করে জুতো ছুড়ে মুসা ৷ ঘটনার পর বিচারক এজলাস ছেড়ে নেমে যান ৷

2016 সালের জুলাইয়ে CID-র হাতে গ্রেপ্তার হয় মুসা । প্রথমে তাকে রাখা হয়েছিল আলিপুর জেলে । 2017 সালের ডিসেম্বরে সে ঘটায় প্রথম বড় ঘটনা । চামচ ঘষে ছুরি বানিয়ে বন্দী গণনার সময় আচমকা ওয়ার্ডেন গোবিন্দকুমার দে'কে গলায় আঘাত করে । তার আগে সে পাথর দিয়ে মেরে ওই ওয়ার্ডেনের মাথা ফাটিয়ে দেয় । পরে চামচ ছুরি দিয়ে গোবিন্দবাবুর গলার নলি কাটার চেষ্টা করে । ঘটনায় গুরুতর আহত হন ওই ওয়ার্ডেন । সঠিক সময়ে অন্য কারারক্ষীরা এসে না পড়লে প্রাণহানি হতে পারত তাঁর ।

পরের ঘটনা গতমাসের । 4 জানুয়ারি জেলের কুঠুরি থেকে বের করে খোলা চত্বরে হাঁটাচলার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাকে । হঠাৎই পাশে থাকা একটি কলের পাইপ ভেঙে নিয়ে কারারক্ষীর মাথায় আঘাত করে মুসা । ঘটনা প্রেসিডেন্সি জেলের । আপাতত সেখানেই রাখা হয়েছে ওই জঙ্গিকে । ঘটনায় কমল কর্মকার নামে ওই কারাকর্মী গুরুতর জখম হন । তাঁর মাথা ফেটে যায় ।

খাগড়াগড়কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে CID । এমনিতেই জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া বা জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ আলকায়দাপন্থী । খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সময় জামাতুল মুজাহিদিনের সঙ্গেই জঙ্গি কাজকর্ম চালাত সে । পরে তাদের একটি দল তৈরি করে নব্য জামাত । তারা IS পন্থী । এই দলটি বিশ্বাস করে সংগঠন গড়ে ধীরে সুস্থে কোনও কাজ হবে না । যা করতে হবে এখনই করতে হবে । বাংলাদেশ নব্য জামাতের নাশকতা অনেকটাই বেশি । হলি আর্টিজান মামলায় দায়ি ছিল এই জঙ্গি সংগঠন । এই সংগঠনে যেমন নাম লিখেছিল হাত কাটা নাসিরুল্লাহ, তেমনভাবেই তাদের সঙ্গে ছিল মুসা । বাংলাদেশ পুলিশের অ্যান্টি ক্রাইম এবং অ্যান্টি টেরোরিজ়ম ইউনিট RAB (ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন) মনে করে, মুসা কোনওকালেই জামাতুল মুজাহিদিনের লোক ছিল না । আগাগোড়াই সে কাজ করত ভারতের মাটিতে বসে । সেই সূত্রে মনে করা হয় নব্য জামাত তৈরির মূল মাথাদের অন্যতম এই মুসা । এহেন মুসাকে গ্রেপ্তারের পর প্রচুর তথ্য পান গোয়েন্দারা । জানা যায়, দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বীরভূমের কীর্ণাহারের বাড়ির কাছে এক বিত্তশালী পরিবারকে সপরিবারে হত্যার ছক কষেছিল সে ।

মুসাকে আজ তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে । আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী শ্যামল ঘোষ । তিনি বলেন, “হঠাৎই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মুসা । চিৎকার করে বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার কথা জানাতে থাকে । বলে বিচার মানি না । মানি শুধু আল্লাহর পথ । শরিয়ত আইন । আমার বিচার করার ক্ষমতা শুধু আল্লাহর আছে । তারপরই জুতো ছুড়ে মারে।" এই ঘটনার পর বাড়ানো হয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালতের নিরাপত্তা ।

Intro:কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি: এক কান্ড ঘটালো আইএস জঙ্গি মুসা। এবার সরাসরি বিচারব্যবস্থাকে আঘাত হানার চেষ্টা। বিচারকক্ষে জুতো ছিল ওই জঙ্গি। তার লক্ষ্যে আইনজীবীরা ছিলে না নাকি বিচারক, তা অবশ্য বোঝা যায়নি। তবে জুতো ছোড়ার আগে তাকে বলতে শোনা যায়, “ আমার বিচার করার ক্ষমতা বিচারকের নেই। এই বিচার আমি মানি না। মানে শুধু আল্লাহর পথ। শরীয়ত আইন। আমার বিচার করার ক্ষমতা শুধু আল্লাহর আছে।" ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বরে।


Body:বিস্তারিত আসছে


Conclusion:
Last Updated : Feb 4, 2020, 10:56 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.