কলকাতা, 21 অক্টোবর : গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে মিঠু হালদারকে 3 নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা 2 টো নাগাদ তাকে আলিপুর পুলিশ আদালতে পেশ করা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷ লালবাজারের গোয়েন্দারা আদালতে জানান, মিঠু হালদারের ছেলে ভিকি এখনও পলাতক। তাকে গ্রেপ্তার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি তার মা মিঠু হালদারকেও জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে ৷ তার জন্যই তাকে পুলিশ হেফাজতে নিতে হবে ৷ এই কথা শুনে বিচারক মিঠু হালদারকে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান।
গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে সুবীর চাকির বাড়ির পরিচারিকা মিঠু হালদারকে বুধবারই গ্রেফতার করা হয় ৷ দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ জিজ্ঞাসাবাদের সময় কাঁদতে কাঁদতে পুরো ঘটনার গোয়েন্দাদের কাছে তুলে ধরে সে। তারপরই পরিষ্কার হয়ে যায় পুরো ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তার ছেলে ভিকি। এখন পর্যন্ত সে পলাতক। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : রক্তমাখা জামা ধোওয়ায় সন্দেহ, গড়িয়াহাটে জোড়া খুনে গ্রেফতার পরিচারিকা
গড়িয়াহাটের বাড়িটি সুবীরবাবু বিক্রি করতে চান, এই খবর ছিল ভিকি'র কাছে ৷ এরপরই নাম ভাঁড়িয়ে সুবীরের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার কথা বলে ভিকি। লালবাজার সূত্রের খবর, ভিকির পরিকল্পনা ছিল সুবীরের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে সে চম্পট দেবে। কিন্তু শেষমেশ ধরা পড়ে যায় ভিকি ৷ ঘটনার দিন সুবীর চাকি ভিকিকে চিনে ফেলে ৷ সেই কারণে সুবীর চাকিকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়। সুবীরবাবুর গাড়ি চালক রবীনবাবু পুরো ঘটনা দেখে ফেলায় ৷ ফলে তাঁর হাত পা চেপে উপরের ঘরে নিয়ে গিয়ে খুন করে ভিকি। তবে ঘটনার সময় ভিকির সঙ্গে আরও অনেকে ছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের ৷ কারণ একা ব্যক্তির পক্ষে দু'জনকে খুন করা অসম্ভব। ঠান্ডা মাথায় জোড়া খুনের পর সুবীরবাবুর হাতের সোনার আংটি নিয়ে পালায় ভিকি। পরের দিন ডায়মন্ড হারবার নিজের বাড়িতে এসে তার মা মিঠু হালদারকে পুরো ঘটনাটি জানায় সে ৷