কলকাতা, 15 মার্চ : কলকাতা পৌরনিগমের অধীনে থাকা ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডটি ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। এই ওয়ার্ডেই রয়েছে গড়পার রোড৷ যা সুকুমার রায়, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরি ও সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতিধন্য। এককালে এই ঠিকানা থেকেই প্রকাশিত হত সন্দেশ পত্রিকা। রামমোহন রায়ের বাড়ির কিছুটা অংশও এই ওয়ার্ডে। অন্যদিকে এখানেই রয়েছে শহরের হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালটি। হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ পাশাপাশি বাস করেন এই ওয়ার্ডে। ৫৫ শতাংশ মুসলিম ভোটার রয়েছেন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে। বাকি ভোটার হিন্দু।
২৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর দিকে বিবেকানন্দ রোড ৷ পূর্বদিকে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোড। উত্তর দিকেই রয়েছে গ্যাস স্ট্রিট ও রাজাবাজার। অপর প্রান্তে ওয়েস্ট ক্যানেল রোড। রাজা দিনেন্দ্র স্ট্রিটসহ একাধিক বনেদি পাড়াও আবার এই ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সংখ্যালঘু ভোটার বেশি থাকায় স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত ওয়ার্ডটি। অতীতেও দেখা গেছে রাজাবাজার চত্বরকে ঘিরে শাসকের তৎপরতা। চলতি বছরে প্রায় ১৫০০ নতুন ভোটার সংযোজিত হয়েছেন ভোটার তালিকায়।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, নাগরিক পরিষেবায় অতীতের থেকে অনেকটাই এগিয়েছে রাজাবাজার ও সংলগ্ন এলাকা। খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেল, কেউ কেউ অন্য কথাও বলছেন ৷ অনেকের মতে, পিছিয়ে পড়েছে ওয়ার্ড। নিকাশি, পানীয় জল, পরিচ্ছন্নতায় পিছিয়ে বনেদি পাড়াগুলি।
এলাকার অন্যতম বিরোধী দল CPI(M)৷ বাম দলের স্থানীয় নেতা সোমেন বাগচির অভিযোগ, গত ১০ বছর ধরে পৌর পরিষেবা পাচ্ছেন না মানুষ। তাছাড়া বস্তি উন্নয়ন ও রাস্তাঘাট পরিষ্কার হয় না নিয়মিত। এলাকার কাউন্সিলরের প্রোমোটার চক্র এবং অবৈধ নির্মাণে মনোযোগ। ১০০ দিনের কাজের লোক দিয়ে দলীয় কাজ করানো হয়।
![ward no. 28 municipality election](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-kol-04-ward-28-corporation-election-spl-video-7203847_14032020211156_1403f_02779_875.jpg)
28 নম্বর ওয়ার্ডের বিরোধীেদের আরও মত, রাস্তাঘাট, নিকাশি এবং পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে ৷ বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতা পান না স্থানীয় গরিব মানুষ৷ যদিও অন্য মতামতও পাওয়া গেল এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দার কাছ থেকে৷ তাঁরা মনে করেন, আগের থেকে অনেকটাই উন্নত হয়েছে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড।
এদিকে তৃণমূল কাউন্সিলর ইকবাল আহমেদ জানিয়ে দিয়েছেন, ফের জয়ী হলে সল্টলেকের মতো করে সাজিয়ে তুলবেন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডকে। নিজের ঘরে বসে সর্বক্ষণ ওয়ার্ডের উপর নজর রাখেন তিনি। ২৫টি CCTV লাগিয়েছেন ওয়ার্ডে।
ইকবাল আহমেদ আত্মবিশ্বাসী হলেও শুরু হয়েছে অন্য জল্পনা৷ কে হবেন পরবর্তী কাউন্সিলর? দলেরই অপর গোষ্ঠীর বাবর নয় তো!