কলকাতা, 24 সেপ্টেম্বর: কলকাতার দুর্গাপুজোর (Kolkata Durga Puja) ইউনেসকো (UNESCO)-র স্বীকৃতি পাওয়ার পিছনে কার অবদান কত বেশি, তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের দড়ি টানাটানি এখনও থামার নাম নেই ৷ দু'পক্ষেরই দাবি, তারাই এই স্বীকৃতির আসল কারিগর ! শনিবার আরও একবার সেই ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা ৷ ইউনেসকো-র স্বীকৃতি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) নাম উঠতেই তাঁকে কার্যত ছোট মনের মানুষ বলে দেগে দিলেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি (Meenakshi Lekhi) ৷ একইসঙ্গে এই স্বীকৃতি লাভের পিছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও তাঁর সরকারের কতটা ভূমিকা রয়েছে, তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন তিনি ৷ তবে, মীনাক্ষী এও বলেছেন যে এই স্বীকৃতি আসলে বহু মানুষের সমবেত চেষ্টার ফসল ৷
কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরে শনিবার একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় ৷ যার বিষয় ছিলেন স্বয়ং দেবী দুর্গা ৷ এদিকে, রাত পোহালেই শুরু দেবীপক্ষ ৷ এমন একটা আবহেই এদিন এই প্রদর্শনীতে যোগ দেন মীনাক্ষী ৷ সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই ওঠে কলকাতার দুর্গাপুজোর ইউনেস্কোর কাছ থেকে পাওয়া 'অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য' (Intangible Cultural Heritage)-এর স্বীকৃতি পাওয়ার প্রসঙ্গ ৷
আরও পড়ুন: দিঘায় 100 কোটির জগন্নাথ মন্দির, তেইশেই শেষ হবে নির্মাণকাজ
উল্লেখ্য, এই স্বীকৃতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছিল রাজ্য সরকার ৷ তাদের বার্তা ছিল, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকারের একান্ত প্রচেষ্টাতেই এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কলকাতার ঝুলিতে এসেছে ৷ সেই ঘটনা নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি ৷ এমনকী যে তপতী গুহঠাকুরতা এবং তাঁর সহকর্মীদের ঐকান্তিক পরিশ্রমে এই স্বীকৃতি পায় কলকাতার দুর্গাপুজো, বিভিন্ন মহল থেকে তাঁদের সেই পরিশ্রমকেও অস্বীকার করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে রাজ্য়ের বিরুদ্ধে ৷
এই প্রেক্ষাপটে মীনাক্ষী এদিন বলেন, "যিনি সবসময় আমি আমি করেন এবং আপন পরের বিভেদ করেন, তিনি আসলে ছোট মনের মানুষ ৷ ছোট মন নিয়ে কখনও বড় মানুষ হওয়া যায় না ৷" ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, মীনাক্ষী এখানে মমতাকেই নিশানা করেছেন ৷ যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নাম উচ্চারণ করেননি তিনি ৷ একইসঙ্গে, কীভাবে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এই স্বীকৃতি এল, তারও বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন মিনাক্ষী ৷ এমন স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য আপামর বাঙালির পাশাপাশি বিশেষ করে অবাঙালিদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি ৷ আর এই প্রসঙ্গেই একাধিকবার তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্তূতি ৷