ETV Bharat / city

মার্চের 2 তারিখেও ফেব্রুয়ারির বেতন মিলল না রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের - শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্রোপাধ্যায়

সাধারণত মাসের এক থেকে দুই তারিখের মধ্যেই ঢুকে যায় বেতন । কোনও কারণে ওই দিনগুলিতে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলে তার আগেই বেতন ঢুকে যায় । কিন্তু এই প্রথমবার দুই তারিখেও বেতন ঢুকল না । এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্রোপাধ্যায় জানান, "ট্রেজারিতে টাকা দেওয়ার পরেও কেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন পেলেন না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"

Teachers
শিক্ষক-শিক্ষিকা
author img

By

Published : Mar 2, 2020, 9:54 PM IST

Updated : Mar 2, 2020, 10:17 PM IST

কলকাতা, 2 মার্চ : আজ মার্চ মাসের দুই তারিখ । সাধারণত যে কোনও মাসের এক অথবা দুই তারিখেই বেতন পেয়ে যান রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও স্পন্সরড আপার প্রাইমারি ও হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা । গতকাল এক মার্চ রবিবার থাকায় তাঁদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন আসেনি । তাঁরা আশায় ছিলেন, আজ দুই মার্চ তাঁদের বেতন হয়ে যাবে । কিন্তু, আজও ঢুকল না বেতন । এই প্রথম দুই তারিখ পার হয়ে যাওয়ার পরেও বেতন পেলেন না বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের । এমনকি শিক্ষাকর্মীরাও বেতন পাননি বলে জানা গেছে । শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, কোনও জেলাতেই এখনও পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা বেতন পাননি ।

বর্তমানে রাজ্যজুড়ে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে দুই লাখের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন । তৃণমূল আমলে সাধারণত মাসের এক থেকে দুই তারিখের মধ্যেই ঢুকে যায় বেতন । কোনও কারণে ওইদিনগুলিতে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলে তার আগেই বেতন ঢুকে যায় । কিন্তু এই প্রথমবার দুই তারিখেও বেতন ঢুকল না । যদিও, বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গেছে, 27 ফেব্রুয়ারি সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন ঢুকে গেছে । তাহলে কেন সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দিতে দেরি হচ্ছে? সূত্রের খবর, বেতন খাতে শিক্ষা দপ্তরের কাছে টাকা নেই । শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন খাতে পড়ে থাকা টাকা থেকে তাঁদের বেতন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে । যদিও সেই টাকাও অপ্রতুল বলে জানা গেছে ।

মাধ্যমিক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্রের বক্তব্য, "পশ্চিমবঙ্গের সব জেলার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন এখনও হয়নি । এই প্রথম আমরা দেখলাম মাস পয়লার বেতন বিঘ্নিত হল । এ রাজ্যে মাস পয়লার বেতন একমাত্র এপ্রিল মাসে হয় ফাইনান্সিয়াল ইয়ার এন্ডিংয়ের জন্য । কিন্তু, মার্চ মাসে যেটা ঘটল সেটা মোটেই স্বাভাবিক নয় । অর্থ দপ্তর ও শিক্ষা দপ্তর এবিষয়ে যথাযথ যুক্তিও দিচ্ছেন না । তাঁরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফান্ড ক্রাইসিসের কথা বলেছেন । বলেছেন, ফাইল নবান্নে পাঠিয়েছি । যে টাকার দরকার সেই টাকা দেওয়া হয়নি । বলা হয়েছে, DI অফিসে যেগুলো পেন্ডিং আছে সেগুলো তুলে কভার করুন । সেখানেও দেখা যাচ্ছে কভার করা যাচ্ছে না । ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন এখনও পর্যন্ত হয়নি । কবে হবে সেটাও তাঁরা বলতে পারছেন না । স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের একটা আতঙ্ক রয়েছে । কারণ, অনেককে বাড়ি ভাড়া দিতে হয় । সংসার চালানোর খরচও লাগে । সেক্ষেত্রে তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন ।"

বেতন না ঢোকার বিষয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, "বর্তমান সরকার আসার পরেই এক তারিখে বেতন চালু হয়েছিল সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং স্পন্সরড স্কুলগুলিতে । এটা খুবই আশাব্যঞ্জক ছিল । কিন্তু এই মাসেই দুই তারিখ হলেও এখনও বেতন ঢোকেনি । যদিও, গতকাল রবিবার ও তার আগের দিন শনিবার ছিল । তাছাড়াও সাধারণত ছুটির দিন থাকলে তার আগেই বেতন হয়ে যেতে দেখেছি । এই মাসের দুই তারিখ হয়ে গেছে । যেহেতু, সরকারের একটা স্বীকৃতি দেওয়া ছিল, বলা ছিল মাসের এক তারিখে বেতন দেওয়া হবে । কোনও অজানা কারণে তার বিচ্ছিন্ন হয়েছে । সেটা দ্রুত কাটিয়ে যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা যায় সেটার চেষ্টা করতে হবে ।" ইতিমধ্যেই শিক্ষকদের বেতন না ঢোকার বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নজরে এসেছে । তিনি জানিয়েছেন, "ট্রেজারিতে টাকা দেওয়ার পরেও কেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন পেলেন না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"

কলকাতা, 2 মার্চ : আজ মার্চ মাসের দুই তারিখ । সাধারণত যে কোনও মাসের এক অথবা দুই তারিখেই বেতন পেয়ে যান রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও স্পন্সরড আপার প্রাইমারি ও হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা । গতকাল এক মার্চ রবিবার থাকায় তাঁদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন আসেনি । তাঁরা আশায় ছিলেন, আজ দুই মার্চ তাঁদের বেতন হয়ে যাবে । কিন্তু, আজও ঢুকল না বেতন । এই প্রথম দুই তারিখ পার হয়ে যাওয়ার পরেও বেতন পেলেন না বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের । এমনকি শিক্ষাকর্মীরাও বেতন পাননি বলে জানা গেছে । শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, কোনও জেলাতেই এখনও পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা বেতন পাননি ।

বর্তমানে রাজ্যজুড়ে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে দুই লাখের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন । তৃণমূল আমলে সাধারণত মাসের এক থেকে দুই তারিখের মধ্যেই ঢুকে যায় বেতন । কোনও কারণে ওইদিনগুলিতে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলে তার আগেই বেতন ঢুকে যায় । কিন্তু এই প্রথমবার দুই তারিখেও বেতন ঢুকল না । যদিও, বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গেছে, 27 ফেব্রুয়ারি সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন ঢুকে গেছে । তাহলে কেন সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দিতে দেরি হচ্ছে? সূত্রের খবর, বেতন খাতে শিক্ষা দপ্তরের কাছে টাকা নেই । শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন খাতে পড়ে থাকা টাকা থেকে তাঁদের বেতন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে । যদিও সেই টাকাও অপ্রতুল বলে জানা গেছে ।

মাধ্যমিক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্রের বক্তব্য, "পশ্চিমবঙ্গের সব জেলার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন এখনও হয়নি । এই প্রথম আমরা দেখলাম মাস পয়লার বেতন বিঘ্নিত হল । এ রাজ্যে মাস পয়লার বেতন একমাত্র এপ্রিল মাসে হয় ফাইনান্সিয়াল ইয়ার এন্ডিংয়ের জন্য । কিন্তু, মার্চ মাসে যেটা ঘটল সেটা মোটেই স্বাভাবিক নয় । অর্থ দপ্তর ও শিক্ষা দপ্তর এবিষয়ে যথাযথ যুক্তিও দিচ্ছেন না । তাঁরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফান্ড ক্রাইসিসের কথা বলেছেন । বলেছেন, ফাইল নবান্নে পাঠিয়েছি । যে টাকার দরকার সেই টাকা দেওয়া হয়নি । বলা হয়েছে, DI অফিসে যেগুলো পেন্ডিং আছে সেগুলো তুলে কভার করুন । সেখানেও দেখা যাচ্ছে কভার করা যাচ্ছে না । ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন এখনও পর্যন্ত হয়নি । কবে হবে সেটাও তাঁরা বলতে পারছেন না । স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের একটা আতঙ্ক রয়েছে । কারণ, অনেককে বাড়ি ভাড়া দিতে হয় । সংসার চালানোর খরচও লাগে । সেক্ষেত্রে তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন ।"

বেতন না ঢোকার বিষয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, "বর্তমান সরকার আসার পরেই এক তারিখে বেতন চালু হয়েছিল সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং স্পন্সরড স্কুলগুলিতে । এটা খুবই আশাব্যঞ্জক ছিল । কিন্তু এই মাসেই দুই তারিখ হলেও এখনও বেতন ঢোকেনি । যদিও, গতকাল রবিবার ও তার আগের দিন শনিবার ছিল । তাছাড়াও সাধারণত ছুটির দিন থাকলে তার আগেই বেতন হয়ে যেতে দেখেছি । এই মাসের দুই তারিখ হয়ে গেছে । যেহেতু, সরকারের একটা স্বীকৃতি দেওয়া ছিল, বলা ছিল মাসের এক তারিখে বেতন দেওয়া হবে । কোনও অজানা কারণে তার বিচ্ছিন্ন হয়েছে । সেটা দ্রুত কাটিয়ে যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা যায় সেটার চেষ্টা করতে হবে ।" ইতিমধ্যেই শিক্ষকদের বেতন না ঢোকার বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নজরে এসেছে । তিনি জানিয়েছেন, "ট্রেজারিতে টাকা দেওয়ার পরেও কেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন পেলেন না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"

Last Updated : Mar 2, 2020, 10:17 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.