ETV Bharat / city

কয়েক ঘণ্টার জন্য 'উধাও', কোথায় যাচ্ছে নামী স্কুলের ছাত্রীরা ?

সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই পড়ুয়ারা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে শহরের হুক্কা বার কিংবা পাবে । সাধারণভাবে স্কুলের সময়টা এই পাব কিংবা বারগুলোতে চলে “হ্যাপি আওয়ার"। অর্থাৎ ওই সময়টায় হুক্কা কিংবা বিয়ারের উপর থাকে ডিসকাউন্ট । অন্যদিকে আবার, এর আগে শহরের বেশ কয়েকটি হুক্কা বারে মাদকচক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছিল । পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছিল কয়েকজনকে । তবে কি সেখানে মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা?

কিশোরী
author img

By

Published : Jul 23, 2019, 4:29 AM IST

Updated : Jul 23, 2019, 1:36 PM IST

কলকাতা, 23 জুলাই : বাড়ি থেকে বের হচ্ছে স্কুলের পোশাক পরেই । কিন্তু স্কুলে যাচ্ছে না 14-15 বছর বয়সি ছাত্রীরা । নামী স্কুলের পড়ুয়া, অভিজাত পরিবারের ওইসব কিশোরীরা কয়েক ঘণ্টার জন্য উধাও হয়ে যাচ্ছে । এই খবর পাচ্ছেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা । "বড় কিছু" ঘটার আগে লালবাজারের দ্বারস্থ হলেন কমিশনের এক সদস্য । অনুরোধ করলেন বিষয়টিতে নজরদারি বাড়ানোর ।

সম্প্রতি কলকাতার একটি স্কুলের শৌচাগারে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে । বালিগঞ্জ এলাকার আর এক স্কুলছাত্রী হাত কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে । প্রতিটি ক্ষেত্রেই উঠে এসেছে পরিবারের তরফে অবহেলার অভিযোগ । সেই অবহেলা থেকেই তৈরি হচ্ছে মানসিক অবসাদ । উলটো দিকে আবার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্ক স্ট্রিটের একটি নামজাদা স্কুলের সামনে থেকে ধরা হয়েছে মাদক বিক্রেতাদের । পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট বলছে, ওই মাদক বিক্রেতারা স্কুল এবং ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিতে এসেছিল ড্রাগ । অর্থাৎ একশ্রেণির স্কুল পড়ুয়া মাদকের নেশায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে । সমাজের কাছে যা যথেষ্ট চিন্তার কারণ । এরই মাঝে আবার শিশু সুরক্ষা কমিশনের নজরে ধরা পড়েছে আরও একটি বিষয় । বাড়ি থেকে স্কুলের নামে বেরিয়ে ক্লাসে থাকছে না পড়ুয়ারা ।

কোথায় যাচ্ছে তারা?

সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই পড়ুয়ারা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে শহরের হুক্কা বার কিংবা পাবে । সাধারণভাবে স্কুলের সময়টা এই পাব কিংবা বারগুলোতে চলে “হ্যাপি আওয়ার"। অর্থাৎ ওই সময়টায় হুক্কা কিংবা বিয়ারের উপর থাকে ডিসকাউন্ট । অন্যদিকে আবার, এর আগে শহরের বেশ কয়েকটি হুক্কা বারে মাদকচক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছিল । পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছিল কয়েকজনকে । তবে কি সেখানে মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা? কমিশনের চিন্তা, এই পাব এবং বারগুলোতে কেউ কিশোর-কিশোরীদের বিপথে চালনা করছে না তো !

গতকাল লালবাজারে আসেন কমিশনের অন্যতম সদস্য কবি প্রসূন ভৌমিক । তিনি দেখা করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মার সঙ্গে । বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন । পরে ইটিভি ভারতকে প্রসূন বলেন, “ওইভাবে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না । তবে আমরা বিষয়টি লক্ষ্য করেছি । স্কুলে যাওয়ার নামে বহু কিশোরী কয়েক ঘণ্টার জন্য হারিয়ে যাচ্ছে । আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি এই বিষয়টি দেখার জন্য ।" এ বিষয়ে যথাযথ নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ ।

কলকাতা, 23 জুলাই : বাড়ি থেকে বের হচ্ছে স্কুলের পোশাক পরেই । কিন্তু স্কুলে যাচ্ছে না 14-15 বছর বয়সি ছাত্রীরা । নামী স্কুলের পড়ুয়া, অভিজাত পরিবারের ওইসব কিশোরীরা কয়েক ঘণ্টার জন্য উধাও হয়ে যাচ্ছে । এই খবর পাচ্ছেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা । "বড় কিছু" ঘটার আগে লালবাজারের দ্বারস্থ হলেন কমিশনের এক সদস্য । অনুরোধ করলেন বিষয়টিতে নজরদারি বাড়ানোর ।

সম্প্রতি কলকাতার একটি স্কুলের শৌচাগারে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে । বালিগঞ্জ এলাকার আর এক স্কুলছাত্রী হাত কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে । প্রতিটি ক্ষেত্রেই উঠে এসেছে পরিবারের তরফে অবহেলার অভিযোগ । সেই অবহেলা থেকেই তৈরি হচ্ছে মানসিক অবসাদ । উলটো দিকে আবার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্ক স্ট্রিটের একটি নামজাদা স্কুলের সামনে থেকে ধরা হয়েছে মাদক বিক্রেতাদের । পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট বলছে, ওই মাদক বিক্রেতারা স্কুল এবং ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিতে এসেছিল ড্রাগ । অর্থাৎ একশ্রেণির স্কুল পড়ুয়া মাদকের নেশায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে । সমাজের কাছে যা যথেষ্ট চিন্তার কারণ । এরই মাঝে আবার শিশু সুরক্ষা কমিশনের নজরে ধরা পড়েছে আরও একটি বিষয় । বাড়ি থেকে স্কুলের নামে বেরিয়ে ক্লাসে থাকছে না পড়ুয়ারা ।

কোথায় যাচ্ছে তারা?

সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই পড়ুয়ারা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে শহরের হুক্কা বার কিংবা পাবে । সাধারণভাবে স্কুলের সময়টা এই পাব কিংবা বারগুলোতে চলে “হ্যাপি আওয়ার"। অর্থাৎ ওই সময়টায় হুক্কা কিংবা বিয়ারের উপর থাকে ডিসকাউন্ট । অন্যদিকে আবার, এর আগে শহরের বেশ কয়েকটি হুক্কা বারে মাদকচক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছিল । পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছিল কয়েকজনকে । তবে কি সেখানে মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা? কমিশনের চিন্তা, এই পাব এবং বারগুলোতে কেউ কিশোর-কিশোরীদের বিপথে চালনা করছে না তো !

গতকাল লালবাজারে আসেন কমিশনের অন্যতম সদস্য কবি প্রসূন ভৌমিক । তিনি দেখা করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মার সঙ্গে । বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন । পরে ইটিভি ভারতকে প্রসূন বলেন, “ওইভাবে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না । তবে আমরা বিষয়টি লক্ষ্য করেছি । স্কুলে যাওয়ার নামে বহু কিশোরী কয়েক ঘণ্টার জন্য হারিয়ে যাচ্ছে । আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি এই বিষয়টি দেখার জন্য ।" এ বিষয়ে যথাযথ নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ ।

Intro:কলকাতা, 22 জুলাই: বাড়ি থেকে বের হচ্ছে স্কুলের পোশাক পরেই। কিন্তু স্কুলে যাচ্ছে না 14-15 বছর বয়সের ছাত্রীরা। নামী স্কুলের পড়ুয়া অভিজাত পরিবারের ওইসব কিশোরীরা কয়েক ঘণ্টার জন্য উধাও হয়ে যাচ্ছে। এমন খবরই পাচ্ছেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। “বড় কিছু" ঘটার আগে তাই লালবাজারের দ্বারস্থ হলেন কমিশনের এক সদস্য। অনুরোধ করলেন বিষয়টিতে নজরদারি বাড়ানোর।Body:সম্প্রতি স্কুলের টয়লেটে আত্মহত্যা করেছে কৃত্তিকা পাল। বালিগঞ্জ এলাকার আরেকটি স্কুলের ছাত্রী হাত কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই উঠে এসেছে পরিবারের তরফে অবহেলার অভিযোগ। সেই অবহেলা থেকেই তৈরি হচ্ছে মানসিক অবসাদ। উল্টো দিকে আবার, যাদবপুর ইউনিভার্সিটি কিংবা পার্ক স্ট্রিটের ডন বস্কো স্কুলের সামনে সম্প্রতি পাকড়াও করা হয়েছে ড্রাগ বিক্রেতাদের। পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট বলছে, ওই মাদক বিক্রেতারা স্কুল এবং ইউনিভার্সিটি পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিতে এসেছিল ড্রাগ। অর্থাৎ একশনের স্কুল পড়ুয়া মাদকের নেশায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। সমাজের কাছে যা যথেষ্ট চিন্তার কারণ। এরই মাঝে আবার শিশু সুরক্ষা কমিশনের নজরে ধরা পড়েছে আরও একটি বিষয়। বাড়ি থেকে স্কুলের নামে বেরিয়ে ক্লাসে থাকছে না পড়ুয়ারা।
Conclusion:তবে কোথায় যাচ্ছে তারা?

সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই পড়ুয়ারা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে শহরের হুক্কা বার কিংবা পাবে। সাধারণভাবে স্কুলের সময়টা এই পাব কিংবা বার গুলোতে চলে “হ্যাপি আওয়ার"। অর্থাৎ ওই সময়টায় হুক্কা কিংবা বিয়ারের উপর থাকে ডিসকাউন্ট। অন্যদিকে আবার, এর আগে শহরের বেশ কয়েকটি হুক্কা বারে মাদক চক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছিল কয়েকজনকে। তবে কি সেখানে মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা? কমিশনের চিন্তা, এই পাব এবং বার গুলোতে কেউ কিশোর-কিশোরীদের বিপথে চালনা করছে না তো! আজ এ বিষয়ে লালবাজারে আসেন কমিশনের অন্যতম সদস্য কবি প্রসূন ভৌমিক। তিনি দেখা করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মার সঙ্গে। সেখানে তিনি বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন বলে সূত্রের খবর। পরে ইটিভি ভারতকে প্রসূন বলেন, “ ওইভাবে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না। তবে আমরা বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। স্কুলে যাওয়ার নামে বহু কিশোরী কয়েক ঘণ্টার জন্য হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি এই বিষয়টি দেখার জন্য।" কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এ বিষয়ে যথাযথ নজরদারি চালানো হবে।
Last Updated : Jul 23, 2019, 1:36 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.