ETV Bharat / city

"রাজকুমারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, পুলিশকে দায় নিতে হবে"

আইন অনুযায়ী কাউকে হেপাজতে নিলে তার সব দায় দায়িত্ব পুলিশের । এক্ষেত্রেও তাদের দায় নিতে হবে । বললেন মৃত রাজকুমার সাউয়ের আইনজীবী অমর্ত্য দে ।

author img

By

Published : Feb 11, 2020, 1:53 AM IST

Updated : Feb 11, 2020, 9:39 AM IST

man died in police custody
সিঁথি থানা

কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি : বাড়ি থেকে জিনিস চুরির অভিযোগে 9 ফেব্রুয়ারি এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে সিঁথি থানার পুলিশ ৷ জেরায় সে মহিলা জানায়, চুরির জিনিস রাজকুমার সাউকে বিক্রি করেছে সে ৷ তারপর থেকেই রাজকুমারের খোঁজ শুরু করে পুলিশ ৷ ওই মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে গতকাল আটক করা হয় তাকে । নিয়ে যাওয়া হয় সিঁথি থানায় । এমনটাই ফোনে জানানো হয়েছিল হাইকোর্টের আইনজীবী অমর্ত্য দে-কে । তখন তিনি হাইকোর্টে । পরে সেখান থেকে সোজা যান RG কর হাসপাতালে । সেখানে গিয়ে তিনি নাকি জানতে পারেন, রাজকুমারকে মৃত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে । তার দাবি, যা হয়েছে থানাতেই হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার পথে হাঁটতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


পুলিশি হেপাজতে রাজকুমার সাউয়ের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে অমিতের দাবি, ইলেকট্রিক শক দিয়ে মারা হয়েছে তাঁর বাবাকে । তাঁর অভিযোগ, “১ লাখ 20 হাজার টাকা চেয়েছিল পুলিশ । সেটা দিতে না পারাতেই বাবাকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে । আমি এর ন‍্যায‍্য বিচার চাই ।"

ইলেকট্রিক শক দিয়ে মারা হয়েছে বাবাকে দাবি ছেলের


যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, সন্ধ্যে ছ'টা নাগাদ অজ্ঞান হয়ে যান রাজকুমার । তখন তাকে RG কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেই মৃত্যু হয় তার । এই দাবি খারিজ করে আইনজীবী অমর্ত্যবাবু বলেন, মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে । তাঁর বক্তব্য, “আইন অনুযায়ী কাউকে হেপাজতে নিলে তার সব দায় দায়িত্ব পুলিশের । এক্ষেত্রেও তাদের দায় নিতে হবে । আমার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কথা হয়েছে । আমরা প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেব ।"

কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি : বাড়ি থেকে জিনিস চুরির অভিযোগে 9 ফেব্রুয়ারি এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে সিঁথি থানার পুলিশ ৷ জেরায় সে মহিলা জানায়, চুরির জিনিস রাজকুমার সাউকে বিক্রি করেছে সে ৷ তারপর থেকেই রাজকুমারের খোঁজ শুরু করে পুলিশ ৷ ওই মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে গতকাল আটক করা হয় তাকে । নিয়ে যাওয়া হয় সিঁথি থানায় । এমনটাই ফোনে জানানো হয়েছিল হাইকোর্টের আইনজীবী অমর্ত্য দে-কে । তখন তিনি হাইকোর্টে । পরে সেখান থেকে সোজা যান RG কর হাসপাতালে । সেখানে গিয়ে তিনি নাকি জানতে পারেন, রাজকুমারকে মৃত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে । তার দাবি, যা হয়েছে থানাতেই হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার পথে হাঁটতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


পুলিশি হেপাজতে রাজকুমার সাউয়ের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে অমিতের দাবি, ইলেকট্রিক শক দিয়ে মারা হয়েছে তাঁর বাবাকে । তাঁর অভিযোগ, “১ লাখ 20 হাজার টাকা চেয়েছিল পুলিশ । সেটা দিতে না পারাতেই বাবাকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে । আমি এর ন‍্যায‍্য বিচার চাই ।"

ইলেকট্রিক শক দিয়ে মারা হয়েছে বাবাকে দাবি ছেলের


যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, সন্ধ্যে ছ'টা নাগাদ অজ্ঞান হয়ে যান রাজকুমার । তখন তাকে RG কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেই মৃত্যু হয় তার । এই দাবি খারিজ করে আইনজীবী অমর্ত্যবাবু বলেন, মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে । তাঁর বক্তব্য, “আইন অনুযায়ী কাউকে হেপাজতে নিলে তার সব দায় দায়িত্ব পুলিশের । এক্ষেত্রেও তাদের দায় নিতে হবে । আমার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কথা হয়েছে । আমরা প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেব ।"

Intro:কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: রাজ কুমার সাউকে আটক করা হয়েছে। তিনি নাকি চুরির মালপত্র কিনেছেন। এই অভিযোগে তাকে আটক করে নিয়ে গেছে সিঁথি থানা। এমনটাই ফোনে জানানো হয়েছিল হাইকোর্টের আইনজীবী অমর্ত্য দেকে। তখন তিনি হাইকোর্টে। পরে সেখান থেকে সোজা যান আরজি কর হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন রাজকুমারকে মৃত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। সেই সূত্রেই তার দাবি, যা হয়েছে থানাতেই হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার পথে হাঁটতে চলেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।


Body:পুলিশি হেফাজতে রাজকুমার সাউয়ের মৃত্যুর পর তার ছেলে অমিতের দাবি, ইলেকট্রিক শক দিয়ে মারা হয়েছে তার বাবাকে। তার অভিযোগ, “ এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা চেয়েছিল পুলিশ। সেটা দিতে না পারাতেই আমার বাবাকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এর ন‍্যায‍্য বিচার চাই।"


Conclusion:এদিকে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, সন্ধ্যে ছটা নাগাদ অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। তখন তাকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় তার। এই দাবিকেই নস্যাৎ করে আইনজীবী অমর্ত্য বাবু দাবি করেছেন, মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। তার বক্তব্য, “ আইন অনুযায়ী কাউকে হেফাজত নিলে তার সব দায় দায়িত্ব পুলিশের। এক্ষেত্রেও তাদের দায় নিতে হবে। আমার সঙ্গে পরিবারের লোকজনের কথা হয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেব।"
Last Updated : Feb 11, 2020, 9:39 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.