কলকাতা, 7 মার্চ : রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়কে ধন্যবাদ জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee at Rajbhawan to say thanks to Governor Jagdeep Dhankhar) । এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ বিধানসভা থেকেই সরাসরি রাজভবনে চলে যান তিনি । যাওয়ার আগেই সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়ে যান, বিজেপির প্রবল হট্টগোলের মধ্যে রাজ্যপাল যেভাবে তাঁর ভাষণ পেশ করেছেন, তাতে জয় হয়েছে গণতন্ত্রের । রাজভবনে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে প্রায় 40 মিনিট কথা হয় । সেখানে পরস্পরের মধ্যে হাসিমুখেই কুশল বিনিময় করতে দেখা যায় ৷ যদিও মুখ্যমন্ত্রী এই সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখ খোলেননি (Mamata-Dhankhar Meeting)।
তবে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Bengal LoP Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেছেন, ভাষণের সময় যেভাবে রাজ্যপালকে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয়েছে, তা নজিরবিহীন । এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ইশারায় তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা বিধায়করা রীতিমতো হেনস্থা করেছেন রাজ্যপালকে । তিনি (রাজ্যপাল) বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চাইলেও তাঁকে বেরিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি ।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আরও অভিযোগ, গত বছরের মতো রাজ্যপাল চাইলেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভাষণ পেশ করে বেরিয়ে যেতে পারতেন । কিন্তু তাঁকে অযৌক্তিকভাবে আটকে রাখা হয় । এবং রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যেভাবে তাঁকে ধাক্কা দিলেন, তা নজিরবিহীন ।
এদিন বিরোধী দলনেতার এই অভিযোগের জবাব দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন বিরোধী দলনেতা । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও প্রয়োজন পড়ে না এ ধরনের আচরণের । বরং তিনি রাজ্যপালের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করেছিলেন যে অন্তত এক লাইন হলেও যেন রাজ্যপাল ভাষণ পাঠ করেন এবং তা পেশ করেন । আমরাও একই অনুরোধ করেছি ।’’
এরপর তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘রাজ্যপাল সমস্ত অনুরোধ উপেক্ষা করেই বারবার উঠছিলেন বসছিলেন । কাজেই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে । তিনি এই ঢং এর নায়ক । তার নাম ধনকড় না হয়ে হওয়া উচিত ঢংকর ।’’
আরও পড়ুন : Budget Session in Assembly : "ভোটে হেরে নাটক করছে’’, বিধানসভায় বিজেপির বিক্ষোভ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার