কলকাতা, 18 এপ্রিল : বিক্ষোভ প্রদর্শনে নেমে গ্রেপ্তার বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, CPI(M) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রসহ বামফ্রন্টের একাধিক নেতা। রাজ্য সরকার দ্বিচারিতা করছে, এই অভিযোগে রেড রোডে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা । অংশ নিয়েছিল বামেদের 17টি দল । সেখানেই বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিম, মনোজ ভট্টাচার্য, সমীর পুততুন্ডদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ বামেদের তরফে জানানো হয়েছে, শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন হচ্ছিল ৷ কিন্তু, পুলিশ এসে তাঁদের একাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে ৷
গণবণ্টন ব্যবস্থায় দুর্নীতি, কালোবাজারি বন্ধ করে মানুষকে ন্যায্য রেশন প্রদান, বিমানূল্যে রেশন দেওয়া, রাজ্যজুড়ে নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো ইত্যাদি দাবি-দাওয়া নিয়ে আজ প্রতীকী বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল রাজ্য বামফ্রন্ট নেতৃত্ব ৷ বেলা তিনটে নাগাদ এন্টালি মার্কেটের সামনে বাম ও অন্যান্য দলের স্বাস্থ্যবিধি মেনে যৌথ প্রতীকী বিক্ষোভ দেখানোর কথা ছিল । বিধিনিষেধে থাকার কারণে স্থান পরিবর্তন করে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির সামনে প্রতীকী বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন বিমান বসু, সূুজন চক্রবর্তীরা । তখন তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় ৷
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানান, ‘‘বিনা পয়সায় যে খাদ্য সামগ্রী রাজ্য সরকারের সরবরাহ করার কথা, সেই খাদ্য সামগ্রী মানুষের কাছে সরবরাহ করছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক এবং কাউন্সিলর অথবা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা । এই সমস্ত ঘটনার বিরুদ্ধে আজ বামফ্রন্ট পথে । শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতীকী প্রতিবাদ করা হয়েছে । রাজ্য সরকারের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বিপন্ন রাজ্যের মানুষ । নিয়মিত তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার । এরই বিরুদ্ধে আজ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভে হঠাৎ করে এসে পুলিশ অশান্তি সৃষ্টি করে ।’’
আজ প্রতীকী বিক্ষোভের সময় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে ধাক্কা পুলিশ মেরে সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ । গ্রেপ্তারের পর লালবাজারের কেন্দ্রীয় লকআপে নিয়ে যাওয়া হয় বামফ্রন্ট নেতাদের । CPI(M) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘কোরোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য পৃথিবী জুড়ে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে ৷ অথচ এই রাজ্যে শারীরিক পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি । মানুষের মনে আতঙ্ক ধরিয়ে দেওয়ার জন্য হটস্পট ঘোষণা করা হচ্ছে । জনগণের পেটে ভাত নেই, পকেটে পয়সা নেই, বিশাল পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে । তা বন্টন করা যাচ্ছে না সরকারি দুর্নীতির কারণে । মানুষের পকেটে অর্থ দিতে হবে । এই কঠিন রোগ মোকাবিলায় আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে রাজ্য সরকারকে । রেশনিং ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করতে হবে ।"
লালবাজারের তরফে জানা গেছে, মোট 19 জনকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ পরে তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয় ৷