কলকাতা, 21 মার্চ : কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রাখা 4টি লোকসভা আসনের মধ্যে 2টিতে প্রার্থী ঘোষণা করল বামফ্রন্ট। গতকাল দলের তরফে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আসনে জ়ুলফিকর আলি ও মালদা উত্তর আসনে বিশ্বনাথ ঘোষকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো হয়। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া হলে এই দু'টি আসনের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিতে পারে তারা। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
দুটি দফায় লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট। খোলা রেখেছিল কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার রাস্তা। 42টির মধ্যে 38টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও কংগ্রেসের জেতা 4টি আসনে কোনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। কিন্তু গতকাল তার মধ্যে দু'টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। রাজনৈতিক মহলের মত, এর ফলে বাম কংগ্রের আসন সমঝোতা যে হচ্ছে না তা একপ্রকার পরিষ্কার।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু গতকাল এক বিবৃতিতে জানান, BJP ও তৃণমূল বিরোধী ভোট এক জায়গায় সমবেত করতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন বোঝাপড়া নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য বামফ্রন্ট। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কংগ্রেসের গতবারের জেতা চারটি আসন ও বামফ্রন্টের জেতা দুটি আসনে কোনও পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। এই প্রস্তাব কংগ্রেসের তরফেও গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ বামফ্রন্টের জেতা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে কংগ্রেস। যার ফলে আসন সমঝোতায় দেখা দেয় জটিলতা। এই পরিস্থিতিতে বারে বারে বামফ্রন্টের সভা করে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। মঙ্গলবার কংগ্রেসের জেতা চারটি আসন বাদে সব আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বামফ্রন্ট। এরপর গতকাল পর্যন্ত ছেড়ে রাখা 4টি আসনের মধ্যে 2টিতে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
এপ্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল CPI(M) নেতা রবীন দেবকে। তিনি বলেন, "কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার জন্য এখনও পথ খোলা রেখেছে বামফ্রন্ট। যদিও দীর্ঘদিন এই পথ খোলা থাকবে না।"
তিনি আরও বলেন, "আসন সমঝোতা নিয়ে আমরা আর কী সিদ্ধান্ত নেব? আমরা অপেক্ষা করলাম। সময় দিলাম কংগ্রেসকে। আমি আর আসন সমঝোতার কোনও পথ দেখছি না। ওদের(কংগ্রেসের) কোনও সাড়াশব্দ নেই। আমাদের জেতা দুটি আসনে ওরা প্রার্থী দিয়েছে। ওদের জেতা দুটি আসন ছেড়ে দিয়ে আমরা বার্তা দিলাম। অথচ ওরা রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল। ওদের উচিত ছিল এই দুই জায়গা থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করা।"
আসন সমঝোতা না হওয়ার জন্য কংগ্রেসকে দায়ি করে তাঁর বক্তব্য, 42টি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার দিকে এগোচ্ছে কংগ্রস। তাই বামফ্রন্টের তরফেও ছেড়ে রাখা আসনগুলিতে প্রার্থী দেওয়া হবে।