কলকাতা, 1 ডিসেম্বর : জোট প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে থাকার কথা তখন ভিতরে ভিতরে ভাঙনের চোরা স্রোত বইছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস ঐক্যে । আসন সমঝোতা নিয়ে চূড়ান্ত মতবিরোধ তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে । সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু বলতে না চাইলেও কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই "ঐক্য" ভেঙে দেওয়া প্রয়োজন । না হলে কংগ্রেসের সমূহ বিপদ । সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে যাবে । চূড়ান্ত ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় চলে যাবে এ রাজ্যের কংগ্রেস । কংগ্রেসের সিংহভাগ নেতৃত্ব এবং তৃণমূল স্তরের কর্মীরা চাইছেন না বামফ্রন্টের সঙ্গে ঐক্য হোক । অন্তত নির্বাচনী পরিপ্রেক্ষিতে । সমঝোতা হলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব ।
রাজ্যে 294টি আসনের মধ্যে সিংহভাগ আসনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বামফ্রন্ট । অথচ কংগ্রেস চাইছে আরও কিছু আসন । অর্থাৎ বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের ঘরোয়া আলোচনায় বামফ্রন্ট নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছে, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বহু জায়গায় কংগ্রেস চাইছে তাদের প্রার্থীকে দাঁড় করাতে । অথচ বামফ্রন্ট চাইছে বিগত বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যে দলের যেমন ফল হয়েছিল সে কথা মাথায় রেখে প্রার্থী দিতে । কংগ্রেসের নেপাল মাহাতো, শংকর মালাকার, মিল্টন রশিদ-সহ একগুচ্ছ বিধায়ক চাইছেন না বামফ্রন্টের সঙ্গে ঐক্য করতে । CPI(M) তথা রাজ্য বামফ্রন্ট ঐক্য করলে তাদের তৃণমূল স্তরের কর্মীরা জোটের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসকে ভোট দেবেন । কিন্তু কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীরা কী করবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের রাজ্য স্তরের নেতৃত্বের ।