কলকাতা, 14 জানুয়ারি : বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের আসন বণ্টনকে ঘিরেই হয়ত ভেঙে যেতে পারে জোট প্রক্রিয়া। এমনই মনে করছেন বাম এবং কংগ্রেসের নিচু তলার কর্মীরা। নেতৃত্বের মতে, সব জায়গায় হয়ত জোট সম্ভব নয়। তবে সিংহভাগ জায়গাতেই আসন সমঝোতা হবে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় দেওয়ালের দখলদারি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। সাগরদিঘি, জঙ্গিপুর, পুরুলিয়া, বলরামপুর, কাশীপুর সহ বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। ফলে আসন সমঝোতা বা জোট প্রক্রিয়া কীভাবে নির্বাচন পর্যন্ত স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই।
মালদার কংগ্রেস বিধায়ক মোস্তাক আলম ঘোরতরভাবে আসন সমঝোতার বিরুদ্ধে। এমনকী ফারাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক চাইছেন না, বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হোক। প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা দেবপ্রসাদ রায়ও বামফ্রন্ট বিরোধী। পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতর প্রশ্ন, আমাদের নেতা বিমান বসু নাকি অধীর চৌধুরি? সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে বামফ্রন্ট নেতৃত্বের সঙ্গে যতই কংগ্রেস নেতৃত্ব আলাপ-আলোচনা করুক, নিচু তলার কর্মীরা এবং কংগ্রেসের সিংহভাগ বিধায়ক ও নেতা চাইছেন না যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হোক।
আরও পড়ুন : নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে কড়া পদক্ষেপ, বৈঠকে বার্তা সুদীপ জৈনের
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। সংবাদমাধ্যমে সরাসরি কিছু বলতে না চাইলেও, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথাতেই স্পষ্ট বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ফাটল দেখা দিতে পারে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের আসন সমঝোতার আলোচনায়।