কলকাতা, 7 অগস্ট: পার্ক স্ট্রিটে জাদুঘর চত্বরে সিআইএসএফ জওয়ানের গুলি চালানোর ঘটনায় প্রকাশ্যে এল ব্যবহার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ৷ অভিযুক্ত জওয়ান অক্ষয় কুমার মিশ্রের সেই একে-47 রাইফেলের ছবি এ দিন প্রকাশ করেন ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার (Lalbazar Releases Picture of AK-47 Rifle Which Use in Park Street Shootout) ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, গতকালের ঘটনায় অক্ষয় কুমার মিশ্র তাঁর সহকর্মীদের লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়েছিলেন ৷ তিনি ব্যারাক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছিলেন ৷ ঘটনায় এক ডেপুটি কমান্ডান্টের মৃত্যু হয়েছে ৷
শনিবার ভর সন্ধেয় পার্ক স্ট্রিটে জাদুঘরের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় আধাসেনার এক জওয়ান আচমকাই একে-47 স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালান ৷ প্রায় 20 রাউন্ড গুলি চলেছে বলে জানা যাচ্ছে ৷ সেই ঘটনায় এ দিন লালবাজারের তরফে ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার ঘাতক রাইফেলটির ছবি প্রকাশ করেছেন ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত অক্ষয় কুমার মিশ্র তাঁর সহকর্মী এক ডেপুটি কমান্ডান্ট এবং এক ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিককে লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়েছিলেন ৷
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে কেন তিনি এমনটা করলেন ? সেই উত্তর পেতে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার ৷ গতকালের ঘটনায় গুলি চালানোর পর অস্ত্র ব্যারাকেই আত্মগোপন করেছিলেন অক্ষয় ৷ তাঁকে নিরস্ত্র করতে কলকাতা পুলিশের বিশেষ কমান্ডো বাহিনী নামানো হয় ৷ যে দলের নেতৃত্বে ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার ৷ লাইফ জ্যাকেট এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা ৷ আলো নিভিয়ে পুরো অভিযান করা হয় ৷ যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘মোজো’ ৷
আরও পড়ুন: অপারেশন 'মোজো' শেষে বাহিনীকে কুর্নিশ নগরপালের
এ দিন পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সিআইএসএফ এর হেড কনস্টেবল অক্ষয় কুমার মিশ্র পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ না করলে, বড় কোনও ঘটনা ঘটতে পারত ৷ মূলত, গুলিযুদ্ধের আশঙ্কার কথাই এখানে উল্লেখ করা হয়েছে পুলিশের তরফে ৷ কিন্তু, অক্ষয় কুমার মিশ্র বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে আত্মসমর্পণ করায়, পরিস্থিতি সহজেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ৷