ETV Bharat / city

Behala Murder: সন্দেহ এড়াতে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে নাটক জোড়া খুনের অভিযুক্তদের - লালবাজার হোমিসাইড শাখা

পর্ণশ্রী মা ও ছেলের জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দুই ভাই ৷ মৃত সুস্মিতা মণ্ডলের মাসতুতো দুই ভাইকে গ্রেফতার করল লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ অভিযুক্তের নাম সঞ্জয় দাস এবং সন্দীপ দাস ৷ বোনের টাকা ও গয়না লুঠ করতেই খুন বলে পুলিশকে জানিয়েছে অভিযুক্তরা ৷

lalbazar-police-arrest-two-accused-of-behala-parnasree-double-murder-case
সন্দেহ এড়াতে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে নাটক অভিযুক্তদের !
author img

By

Published : Sep 12, 2021, 8:10 PM IST

Updated : Sep 12, 2021, 8:46 PM IST

কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর : বেহালা পর্ণশ্রী জোড়া খুনের কিনারা করল লালবাজার হোমিসাইড শাখার পুলিশ ৷ গ্রেফতার করা হল মৃত সুস্মিতা মণ্ডলের মাসতুতো দুই ভাইকে ৷ ধৃতদের পরিচয় সঞ্জয় দাস এবং সন্দীপ দাস ৷ মূলত লুঠের উদ্দেশ্যেই বোন এবং ভাগ্নেকে খুন করেছে তারা ৷ গতকাল রাতেই সঞ্জয় দাসকে তার মহেশতলার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ ৷ গতকাল রাত থেকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পর সে নিজের দোষ স্বীকার করে ৷ জানা গিয়েছে, দুপুরে বোন ও তাঁর ছেলেকে খুনের পর, রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশও করে দুই অভিযুক্ত ৷ পুলিশের অনুমান, সন্দেহ থেকে বাঁচতেই এই পথ বেছেছিল তারা ৷ আজ বেলা 2টো নাগাদ সঞ্জয় দাসকে গ্রেফতার করে লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ বিকেল 4টে নাগাদ সঞ্জয়ের ভাই সন্দীপ দাসকে কলকাতার এক সরকারি অফিসের বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে পুলিশ মৃতার নিকট আত্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ৷ জানা গিয়েছে, সঞ্জয় ও সন্দীপ খুনের ঘটনা জানাজানি হতে রাতে বাকি আত্মীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল ৷ এমনকি বোনের মৃত্যুর শোকপ্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছিল তাদের ৷ তদন্তকারীদের অনুমান নিজেদের সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দিতেই সেই নাটক করেছিল অভিযুক্ত সঞ্জয় এবং সন্দীপ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের নিকট আত্মীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় পর্ণশ্রীর ওই ফ্ল্যাটে কান্নাকাটি করতে দেখা গিয়েছিল ওই দু’জনকে ৷ এর পর রাতের দিকে দু’জনেই হঠাৎ করে সবার চোখের আড়ালে চলে যায় এবং গা ঢাকা দেয় ৷ বিষয়টি আত্মীয়দের থেকে জানতে পেরেই সন্দেহ হয় লালবাজারের গোয়েন্দাদের ৷ সেই মতোই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সঞ্জয়ের ধার-দেনার বিষয়টি সামনে আসে ৷ এর পর গতকাল রাতে মহেশতলার বাড়ি থেকে সঞ্জয়কে লালবাজারে নিয়ে আসা হয় জেরার জন্য ৷ সেখানেই সারা রাত এবং আজ সারাদিন জেরার পর দুপুরে অপরাধ স্বীকার করে অভিযুক্ত সঞ্জয় ৷ পাশাপাশি জানায়, তার ভাই সন্দীপও এই অপরাধে যুক্ত রয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Behala murder: বেহালা মা-ছেলে খুনে ধৃত মৃতার দুই মাসতুতো ভাই

আজ সাংবাদিক বৈঠক করে গোয়েন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে, সঞ্জয় দাস দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন ৷ দেনার টাকা শোধ করার জন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল ৷ সেই অর্থের জোগান দিতে বোন সুস্মিতা মণ্ডলের বাড়িতে লুঠের পরিকল্পনা করে সঞ্জয় এবং তার ভাই সন্দীপ ৷ পুলিশকে সঞ্জয় জানিয়েছে, সঞ্জয় যাকে বিয়ে করেছিল, সেই মহিলার এক ছেলে রয়েছে ৷ তাঁর বিয়েতে প্রচুর খরচ করতে হয় সঞ্জয়কে ৷ আর সেই খরচের জেরেই প্রচুর ঋণ হয়ে গিয়েছিল সঞ্জয় দাসের ৷ টাকা শোধ করতে আত্মীপরিজনদের কাছ থেকে টাকা চেয়েছিল সে কিন্তু, সবাই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল ৷

আরও পড়ুন : Behala Double Murder: বেহালা জোড়া খুনে মৃতের স্বামীর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি, নমুনা সংগ্রহ ফরেনসিকের

প্রসঙ্গত, সঞ্জয়ের আত্মীদের মধ্যে একমাত্র সুস্মিতা মণ্ডল আর্থিকভাবে সচ্ছল ছিলেন ৷ যেহেতু তাঁর স্বামী ব্যাঙ্ক আধিকারিক ছিলেন ৷ তাই তাঁর থেকে টাকা পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করেছিল সঞ্জয় দাস ৷ আর তাই বোনের থেকেই সোনা গয়না লুঠ করে খুনের পরিকল্পনা করে সঞ্জয় ৷ আর এই গোটা পরিকল্পনায় ভাই সন্দীপকে দলে নেয় সে ৷ সোমবার খুনের আগে বেশ কয়েকদিন সুস্মিতা মণ্ডলের আবাসনের রেইকি করে সঞ্জয় এবং সন্দীপ ৷ সেই মতো তারা জানতে পারে, সুস্মিতার আবাসনের সিসিটিভি খারাপ ৷ আর তার পরেই হামলার পরিকল্পনা করে ৷

আরও পড়ুন : Behala Murder : মাকে কুড়ি এবং ছেলেকে পাঁচবার আঘাত, উঠছে ব্যক্তিগত আক্রোশের তত্ত্ব

পুলিশ জানিয়েছে, দুই দাদাকে দেখেই দরজা খুলে দিয়েছিলেন সুস্মিতা মণ্ডল ৷ তাঁর ছেলে সেই সময় অনলাইন ক্লাস করছিল ৷ ছেলের যাতে অসুবিধা না হয় তাই কথা বলার সময় ওই ঘরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ আর সেই সুযোগেই সঞ্জয় এবং সন্দীপ সুস্মিতা মণ্ডলকে নৃশংসভাবে খুন করে ৷ কিন্তু, কোনওভাবে সুস্মিতা দেবীর ছেলে মামাদের সেই কীর্তি দেখে ফেলে ৷ ফলে তাকেও প্রাণ হারাতে হয় ৷ লালবাজারের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সঞ্জয় দাস এবং সন্দীপ দাসের বাড়ি মহেশতলার শ্যামপুরে ৷ আগামিকাল অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে ৷

কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর : বেহালা পর্ণশ্রী জোড়া খুনের কিনারা করল লালবাজার হোমিসাইড শাখার পুলিশ ৷ গ্রেফতার করা হল মৃত সুস্মিতা মণ্ডলের মাসতুতো দুই ভাইকে ৷ ধৃতদের পরিচয় সঞ্জয় দাস এবং সন্দীপ দাস ৷ মূলত লুঠের উদ্দেশ্যেই বোন এবং ভাগ্নেকে খুন করেছে তারা ৷ গতকাল রাতেই সঞ্জয় দাসকে তার মহেশতলার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ ৷ গতকাল রাত থেকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পর সে নিজের দোষ স্বীকার করে ৷ জানা গিয়েছে, দুপুরে বোন ও তাঁর ছেলেকে খুনের পর, রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশও করে দুই অভিযুক্ত ৷ পুলিশের অনুমান, সন্দেহ থেকে বাঁচতেই এই পথ বেছেছিল তারা ৷ আজ বেলা 2টো নাগাদ সঞ্জয় দাসকে গ্রেফতার করে লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ বিকেল 4টে নাগাদ সঞ্জয়ের ভাই সন্দীপ দাসকে কলকাতার এক সরকারি অফিসের বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে পুলিশ মৃতার নিকট আত্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ৷ জানা গিয়েছে, সঞ্জয় ও সন্দীপ খুনের ঘটনা জানাজানি হতে রাতে বাকি আত্মীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল ৷ এমনকি বোনের মৃত্যুর শোকপ্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছিল তাদের ৷ তদন্তকারীদের অনুমান নিজেদের সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দিতেই সেই নাটক করেছিল অভিযুক্ত সঞ্জয় এবং সন্দীপ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের নিকট আত্মীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় পর্ণশ্রীর ওই ফ্ল্যাটে কান্নাকাটি করতে দেখা গিয়েছিল ওই দু’জনকে ৷ এর পর রাতের দিকে দু’জনেই হঠাৎ করে সবার চোখের আড়ালে চলে যায় এবং গা ঢাকা দেয় ৷ বিষয়টি আত্মীয়দের থেকে জানতে পেরেই সন্দেহ হয় লালবাজারের গোয়েন্দাদের ৷ সেই মতোই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সঞ্জয়ের ধার-দেনার বিষয়টি সামনে আসে ৷ এর পর গতকাল রাতে মহেশতলার বাড়ি থেকে সঞ্জয়কে লালবাজারে নিয়ে আসা হয় জেরার জন্য ৷ সেখানেই সারা রাত এবং আজ সারাদিন জেরার পর দুপুরে অপরাধ স্বীকার করে অভিযুক্ত সঞ্জয় ৷ পাশাপাশি জানায়, তার ভাই সন্দীপও এই অপরাধে যুক্ত রয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Behala murder: বেহালা মা-ছেলে খুনে ধৃত মৃতার দুই মাসতুতো ভাই

আজ সাংবাদিক বৈঠক করে গোয়েন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে, সঞ্জয় দাস দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন ৷ দেনার টাকা শোধ করার জন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল ৷ সেই অর্থের জোগান দিতে বোন সুস্মিতা মণ্ডলের বাড়িতে লুঠের পরিকল্পনা করে সঞ্জয় এবং তার ভাই সন্দীপ ৷ পুলিশকে সঞ্জয় জানিয়েছে, সঞ্জয় যাকে বিয়ে করেছিল, সেই মহিলার এক ছেলে রয়েছে ৷ তাঁর বিয়েতে প্রচুর খরচ করতে হয় সঞ্জয়কে ৷ আর সেই খরচের জেরেই প্রচুর ঋণ হয়ে গিয়েছিল সঞ্জয় দাসের ৷ টাকা শোধ করতে আত্মীপরিজনদের কাছ থেকে টাকা চেয়েছিল সে কিন্তু, সবাই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল ৷

আরও পড়ুন : Behala Double Murder: বেহালা জোড়া খুনে মৃতের স্বামীর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি, নমুনা সংগ্রহ ফরেনসিকের

প্রসঙ্গত, সঞ্জয়ের আত্মীদের মধ্যে একমাত্র সুস্মিতা মণ্ডল আর্থিকভাবে সচ্ছল ছিলেন ৷ যেহেতু তাঁর স্বামী ব্যাঙ্ক আধিকারিক ছিলেন ৷ তাই তাঁর থেকে টাকা পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করেছিল সঞ্জয় দাস ৷ আর তাই বোনের থেকেই সোনা গয়না লুঠ করে খুনের পরিকল্পনা করে সঞ্জয় ৷ আর এই গোটা পরিকল্পনায় ভাই সন্দীপকে দলে নেয় সে ৷ সোমবার খুনের আগে বেশ কয়েকদিন সুস্মিতা মণ্ডলের আবাসনের রেইকি করে সঞ্জয় এবং সন্দীপ ৷ সেই মতো তারা জানতে পারে, সুস্মিতার আবাসনের সিসিটিভি খারাপ ৷ আর তার পরেই হামলার পরিকল্পনা করে ৷

আরও পড়ুন : Behala Murder : মাকে কুড়ি এবং ছেলেকে পাঁচবার আঘাত, উঠছে ব্যক্তিগত আক্রোশের তত্ত্ব

পুলিশ জানিয়েছে, দুই দাদাকে দেখেই দরজা খুলে দিয়েছিলেন সুস্মিতা মণ্ডল ৷ তাঁর ছেলে সেই সময় অনলাইন ক্লাস করছিল ৷ ছেলের যাতে অসুবিধা না হয় তাই কথা বলার সময় ওই ঘরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ আর সেই সুযোগেই সঞ্জয় এবং সন্দীপ সুস্মিতা মণ্ডলকে নৃশংসভাবে খুন করে ৷ কিন্তু, কোনওভাবে সুস্মিতা দেবীর ছেলে মামাদের সেই কীর্তি দেখে ফেলে ৷ ফলে তাকেও প্রাণ হারাতে হয় ৷ লালবাজারের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সঞ্জয় দাস এবং সন্দীপ দাসের বাড়ি মহেশতলার শ্যামপুরে ৷ আগামিকাল অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে ৷

Last Updated : Sep 12, 2021, 8:46 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.